কলিম খান

ভ থেকে ভাষা

‘ভ’ বর্ণের অর্থ ভাতি যুক্ত যে অর্থাৎ যে সত্তা অস্তিত্বলাভ করে দীপ্তমান। ভ-এর আধার— ‘ভা’ ভা-এর দিশাগ্রস্থ বিচ্ছুরণ— ‘ভাষ’ ভাষ-এর আধার— ‘ভাষা’ অর্থাৎ যে কোনো শোভমান সত্তা নিজেকে যে সব শব্দ, রস, রূপ বা গন্ধের মাধ্যমে প্রকাশ করে তাকেই তার ভাষা বলা যায়। তাই পাখীর

চন্দ্রবিন্দু কথা

সংস্কৃতে ং কে বিন্দু (.) দিয়েও লেখা হয়। আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রমতে বিন্দু থেকেই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং সৃষ্টির আদি মহাশব্দ এই ‘ং’ (ওম > ওঁ) ধ্বনি যা আবার ভাষার জগতে ‘অব্যক্ত’ রহস্যরূপিনী হিসেবে পরিচিত। সে যাই হোক, রহস্য রূপিনী ‘ং’ এর আরো পাঁচটি পঞ্চ-বর্গীয় রূপ

ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী?

ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী? ১) ব্যুৎপত্তি নির্ণয়— ধৃ + ম (মন্)— কর্তৃবাচ্যে। (বঙ্গীয় শব্দকোষ, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়— সংক্ষেপে ‘ব.শ.’।) ২) ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক অর্থ— ধর্ মিতি মিত যাহাতে। (বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ, কলিম খান ও রবি চক্রবর্ত্তী— সংক্ষেপে‘ব.শব্দা.’)। শরীরসাধন যে কর্ম্মের অপেক্ষা করে। (অমরকোষ)। লোকধারণ করে যে। (ব.শ.)। ৩) অভিধানাদিতে

বাঙ্গালাভাষার বানান-সমস্যা সমাধানের পথ (১ম খসড়া)

এক — বাঙ্গালাভাষার বানানে ব্যাপক নৈরাজ্য দেখে রবীন্দ্রনাথ তা দূর করার কথা ভাবেন ১৯৩৫ সালে। নিজেই তা দূর করবেন, এমন সময় বা উপায় নিশ্চয় তাঁর হাতে ছিল না। তাই তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য্য শ্রীযুক্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।

কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন

            “কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।              রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন।              আমার কালো মেয়ের আঁধার কোলে শিশু রবি শশী দোলে;

‘ধ্বনি’, ‘বর্ণ’ ও ‘বানান’ শব্দগুলির ‘ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক’ অর্থব্যাখ্যা

[কেন কলিম খান ও রবি চক্রবর্ত্তী তাঁহাদের উদ্ভাবিত শব্দার্থতত্ত্ব ও বানানবিধিকে ‘ক্রিয়াভিত্তিক-ধ্বনিভিত্তিক’ না বলে ‘ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক’ শব্দার্থতত্ত্ব ও ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক বানানবিধি’ বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং তাহার পিছনে তাঁহারা কী ধরণের যুক্তি-দর্শন-ভাষাবিজ্ঞান সম্বলিত ভাব-ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তাহা অনুধাবন করিতে এই ধ্বনি, বর্ণ প্রভৃতি সংজ্ঞার সঙ্গে পাঠকের সম্যক ধারণা

যোজনগন্ধবিকার : ‘সিষ্টেম ডিজাইনিং’-এর সমস্যা

‘শ্রীভগবান কহিলেন … হে ভারত। মহৎ ব্রহ্মৈ আমার যোনি। তাহাতেই আমি গর্ভ নিক্ষেপ করি। তাহা হইতেই সর্ব্বভূতের উৎপত্তি হয়।’ … গীতা ১৪ : ৩। ‘There are other pitfalls, including the widespread practice of manipulating information. Public relations people, for example, often put out press releases

বিশ্বকর্ম্মা পূজায় ঘুড়ি ওড়ান হয় কেন

অনেক সময় সবচেয়ে সহজ ব্যাপারের পিছনেই থাকে সবচেয়ে কঠিন সত্য। আপেল মাটিতে পড়ার চেয়ে সহজ সরল ঘটনা আর কী হতে পারে! কিন্তু তাই নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হয়, তখনই টনক নড়ে। সত্যিই তো, আপেল কেন মাটিতে পড়ে? কেন সোজা দিগন্তের দিকে ছুটতে শুরু করে না?

মৌলবাদ : তত্ত্ব

[মূল প্রবন্ধটির নাম ‘মৌলবিবাদ থেকে নিখিলের দর্শনে’ যা চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত – প্রথম অধ্যায়ের নাম (১) “মৌলাব্দঃ তত্ত্ব” এবং যা আলোচ্য নিবন্ধের বিষয়বস্তু। বাকী তিনটি অধ্যায়ের নাম যথাক্রমে – (২) মৌলবাদঃ তথ্য, (৩) মৌলবাদঃ প্রেক্ষাপট, এবং (৪) উপসংহার। প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ “মৌলবাদঃ তত্ত্ব” ছয়ভাগে বিভক্ত

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উৎপত্তি

স্বরবর্ণের উৎপত্তি: যে কোন সৃষ্টির মূলে শক্তি বিদ্যমান। আমাদের তন্ত্রশাস্ত্র মতে পরমাপ্রকৃতির আদি মূল শক্তি বিভাজিত হয়ে “সপ্তশক্তি’’র সৃষ্টি। তাহাই সপ্তরূপে, সপ্তসুরে, সপ্তবর্ণে ইত্যাদিতে ক্রমবিকশিত হয়। তাদেরই প্রতিনিধিত্বকারী আমাদের সাতটি মূল স্বরবর্ণ— ঃ > অব্যক্ত শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ং > জ্ঞানশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী অ > ইচ্ছাশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ই >