লেখক নির্দ্ধারিত বানান রীতি

বাংলা ভাষাতত্ত্বের নতুন দিগন্তে উদিত রবির প্রয়াণে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রবি চক্রবর্ত্তী রবি চক্রবর্ত্তী, বাংলা ভাষাতত্ত্বের প্রায় শতবর্ষস্পর্শী এক নিঃসঙ্গ বনস্পতি স্থানীয় সময়, ৩ জানুয়ারি ২০২৫-র মধ্যাহ্নে পাড়ি দিলেন অগস্ত্যযাত্রায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, হুগলি জেলার কোন্নগর শহর নিবাসী রবি চক্রবর্ত্তী (জন্ম: ২৪ অক্টোবর ১৯২৯) যাঁর জ্ঞান ও স্নেহসান্নিধ্যে আমি ধন্য হয়েছি ও সন্ধান পেয়েছি বাংলাভাষা-সংস্কৃতির অমৃতকুম্ভের—

মিত

মিত যা কিছু সবকিছুই তার সংক্ষেপিত, অমিতের নেই সীমা। সসীমে বাস করে মিত, প্রিয় মিতবাক। মিতব্যয়ী মিত ব্যয় করে সুখে থাকে তাই, মিতভূক চিরসুখী, খুশিতে নিত্য চিত্ত পাতে। মিতভূক্ত মিতাহারী ভোগে না অম্লতায়, মিত তাই মিতা হয়ে মিতালি পাতে অহিংসায়। অমিতব্যয়ী অপরিণামদর্শী, মনোকষ্ট পরিণাম, অমিতভাণ্ডার

বখশিস

আকাশ থেকে ঝরছে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই শ্রাবণের বৃষ্টি। থামার লক্ষণও নায়। আগামীকাল ঈদ, কিন্তু রসুলপুর গ্রামের একমাত্র বাজারে এখন দু’চারটি দোকান বাদে, আর একটি দোকানও খোলা নায়। আলাল মিয়া বসে আছে একটি দোকানের বারান্দায়, যে দোকানটিতে সারা দিন রাত পরিশ্রম করে সে। বেতনভোগী না হলেও

সাজ্জাদ শাকিলের কবিতা

জোয়ার (আরুকে) শিউরে ওঠা তরল অন্ধকারে অজস্র জোনাকির হাওয়ায় ওড়ানো স্ফুলিঙ্গ! সহস্র বাজপাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মতো তোমাকে দেখে ফেলি নীলাঞ্জনা— সেখানে করুণ মিনতি ভেঙে পড়ে আচ্ছন্ন পৃথিবীর অপূর্ব এক বেদনায় সীমাহীন অভিমান উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে— যেন তুমি অসহ্য প্রেমের প্রতাপে দিশেহারা সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ঝাপটা

এই লেখাটি সতর্কীকরণ চিহ্নের মত

ব্যাপারটা সাহিত্যের নয়, ব্যাপারটা জনপ্রিয় হওয়ার: ‘পুরস্কারপ্রদান’-এর উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে পলিটিক্স, আর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যদি স্যাবোটাজ টু দ্যাট ক্রিয়েটিভিটি, তবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান কতটা ক্রিয়েটিভিটির জন্য ‘পুরস্কারপ্রদান’ করে, আর কতটা পাঠকের সঙ্গে পলিটিক্স করে। অথবা এভাবেও বলা যায়— ‘ট্রাপিজ থেকে স্ট্রিপটিজ’ যা যা

সহপাঠ ও অন্যান্য কবিতা

সহপাঠ আহা সহপাঠী* সহপাঠ আমার* স্বাকারের ভিন্নতাটুকু বৈরিতা ভেবে (অনু)শীলন কর না বিচ্ছিন্নতাবাদ* শরীরের খাঁদে রেখ না পুঁতে আত্মঘাতী বিষ্পোরক** পাঠ কর তোমার সহপাঠির নামে* আমরা দুজন আদি শূন্যের তাফছির* দু’টা বুদবুদ* একে অপরের সহপাঠ** চল মুছে দিই মুছে নিই* বিশ্বাসের ক্ষত* বঞ্চনার ইতিহাস* মিলাই

সংস্কৃত ভাষা কি বাংলার জননী?

জননী শব্দটি দিয়ে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়। ভাষার ক্ষেত্রে সংস্কৃতের সঙ্গে সম্পর্ক তখনই মার খেয়ে যায় যখন সংস্কৃত হল মৃত ভাষা, আর বাংলা হল জীবন্ত ভাষা। শিশুরা মায়ের মুখ থেকে বাংলা শুনে শেখে। জীবিত ভাষা কখনও মৃত ভাষার সন্তান হয় না, তেমনি বিপরীতে মৃত ভাষার

অন্তঃস্থ ব শ্রুতি

লিমন ভাই, ‘যাওয়ার’ লিখব, না ‘যাবার’ লিখব? — যাওয়ার আর যাবার; জওয়াব না জবাব, কী হবে? তুই কি জানিস তুই কীসে হাত দিলি, নীলা? : ওমা আমি আবার করলাম? — কী করছিস মানে! ওলট-পালট করে দিয়েছিস। : কী? তোমার মন? — এহ্, আমার মন! মনই

অন্তনি আর্তো-র লিখন

[অন্তনি আর্তো ফরাসী লেখক অন্তনি আর্তো নামে খ্যাত আঁতোয়ান মারি জোসেফ পল আর্তো ছিলেন একজন ফরাসি লেখক, কবি, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা এবং নাট্য পরিচালক, বিশ শতকের থিয়েটারের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব এবং ইয়োরোপীয় অভিভাবক হিসাবে স্বীকৃত, এবং তার অমার্জিত, পরাবাস্তব এবং নৈতিক ও সামাজিক চৌহদ্দি

নাপিত ও সার্জনের দৃষ্টিতে বাংলা বানান-সংস্কার

পৃথিবীর প্রথম পাস করা শল্যবিদ বা সার্জনদের মধ্যে অনেকেই প্রথম জীবনে পেশায় নাপিত ছিলেন। ইংল্যান্ডে এখনও ডাক্তারদের ‘ডক্টর’ এবং সার্জনদের ‘মিস্টার’ (নাপিত) বলার রেওয়াজ আছে (সার্জনদের ডক্টর বললে তাঁরা নাকি অপমানিত বোধ করেন!)। মধ্যযুগে ইওরোপের নাপিতেরা দলে দলে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল শল্যবিদ্যায় ডিগ্রি নিতে।

কয়েকটি থিরুক্কুরাল

অনুবাদকের বয়ান : তামিল ভাষার প্রাচীনতম সম্পদ থিরুক্কুরাল প্রায় দুই হাজার বৎসর আগে রচিত। মানবজীবনের বিভিন্ন দিক থিরুক্কুরালগুলোর প্রধান আলোচ্য। অর্থাৎ নৈতিকতা শিক্ষা দেয়াই মূল উদ্দেশ্য। এগুলো রচনা করেন থিরুভাল্লুভার। তাঁর যথার্থ পরিচিতি নিয়ে সংশয় আছে। খুব একটা তথ্য না পাওয়ার কারণে কেউ তাঁকে রাজা,

পুনরুত্থান : একটি পুনরাধুনিক কাব্যনাটক

  অর্জুন: আমাদের আজ ওরা এলিয়েন ভাবে।         এসবের সূত্রপাত ভন দানিকেন         করে কী যে বিপত্তির সূচনা হয়েছে!         আমাদের দিব্য অস্ত্র, সেগুলোকে ওরা         ভিনগ্রহী হাতিয়ার ভেবেছে এখন।         মন্দিরের আকৃতিতে স্পেসশিপ আছে-         যাতে চড়ে অ্যাস্ট্রোনট দেবতারা এসে         পৃথিবীতে নাকি ১