কবিতা

ত্রিশপারা জীবন

… (পরিয়াছি) গলার শোভায় রুদ্রাক্ষের মালা। … দেখিয়া তিনের লীলা, বলিলেন তিন-ই; ‘তিনটা’?! … বলিলাম, হ্যাঁ। … আবারো বলিলেন তিন-ই, কেন তিনটা? … বলিলাম অতঃপর, এই ‘তিন’ হৈল রহস্য— ‘আলিফ, লাম, মিম’— যাহার প্রকাশ (ত্রিশপারা জীবন) হৈলাম আমি কিংবা আল্ কোরান অর্থাৎ ‘যালিকাল কিতাবু’। জানে

মিত

মিত যা কিছু সবকিছুই তার সংক্ষেপিত, অমিতের নেই সীমা। সসীমে বাস করে মিত, প্রিয় মিতবাক। মিতব্যয়ী মিত ব্যয় করে সুখে থাকে তাই, মিতভূক চিরসুখী, খুশিতে নিত্য চিত্ত পাতে। মিতভূক্ত মিতাহারী ভোগে না অম্লতায়, মিত তাই মিতা হয়ে মিতালি পাতে অহিংসায়। অমিতব্যয়ী অপরিণামদর্শী, মনোকষ্ট পরিণাম, অমিতভাণ্ডার

মায়া শহরে মধ্যরাত ও অন্যান্য কবিতা

মায়া শহরে মধ্যরাত মধ্যরাতের মায়া শহরে হেঁটে যাই … আছড়ে পড়ছে এজটেক ড্রাম বিটস নৃত্যপর উচ্ছ্বাস লোহিত কণিকায় চোখ ধাঁধাচ্ছে ক্রিষ্টাল বলের বিচ্ছুরণ তুমি সাথে থাকলেই উৎসব! জেগে ওঠে প্রাচীন কলরব … জাগরণ কড়া নাড়ে ঘুমের দরজায় স্পর্শের মত দূর … নিঃশ্বাসের সন্নিকট! তুমি সাথে

সোহেল ইয়াসিনের কবিতা

শূন্য ও জীবন যোগফল শূন্য জেনে যে জীবন বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যায় আয়নায় তার প্রতিবিম্ব ওজনহীন হয়ে ভঙ্গিটুকু ফেলে রাখে জননী মৃত্তিকার মতন পাতাভরা অরণ্যে নির্জনতা প্রসব করে পলাশের ছায়ার পাশে একটা শূন্য ঝুলে পড়ে বেশ জরাযু খালি দেখে সে শূন্য আবার নিষেকের ব্যঞ্জনা তোলে

বার

… মৃত্যু থেকে সাড়ে এগার কদম দূরে থাকা আমরা, শূন্যের নন্দনে (ষড়ায়তনে) সাতের সত্তায় সৃজিত অ্যাটম! … মৃত্যু ও মৃত্তিকা জানে; আমাদের পরিণতি হৈল এই— ছয়টা কারকের ষড়ায়তনে সৃজিত সাতের ‘সময়’ কিংবা ‘সত্তা’ কিংবা ‘সা রে গা মা পা ধা নি’ মরণে চলিয়া গেলে মৃত্যুতে

রুদ্র শায়কের কবিতা

নন্দনচেতনায় হলুদ বিপ্লব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্ধ প্রফেসর সারাদিন লাইব্রেরী খুঁজে শুধু আমাকে পেয়েছে তাহার পাঠযোগ্য আর কোন টেক্সট নায় আমি নাকি তাহার রাষ্ট্র চেতনা আমি বেমালুম রাজনৈতিক জ্ঞান ভুলে গেছি তাহাকে সরল ভাবে জানিয়ে দিলাম রাষ্ট্রের প্রতিটি গিটে গিটে গিরগিটির বসবাস গিনগিন এসব গিটে আমি

সাজ্জাদ শাকিলের কবিতা

জোয়ার (আরুকে) শিউরে ওঠা তরল অন্ধকারে অজস্র জোনাকির হাওয়ায় ওড়ানো স্ফুলিঙ্গ! সহস্র বাজপাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মতো তোমাকে দেখে ফেলি নীলাঞ্জনা— সেখানে করুণ মিনতি ভেঙে পড়ে আচ্ছন্ন পৃথিবীর অপূর্ব এক বেদনায় সীমাহীন অভিমান উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে— যেন তুমি অসহ্য প্রেমের প্রতাপে দিশেহারা সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ঝাপটা

Bindurupini

বিন্দুরূপিণী

আপনার জীবনের নাম হৈল ‘বিন্দুরূপিণী’! ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দের মাঝে যেই কয়টা বর্ণ কিংবা সংখ্যা রহিয়াছে ঠিক ততোটুকুই আপনি উপভোগ করিতে পারিবেন— এর বেশী কিছু নয় … কারণ, ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দৈ পরম ব্রহ্মের মাঝে বর্ণের কিংবা সংখ্যার যেই যোগফল রহিয়াছে; সেই যোগফলের পরের সংখ্যাই আপনার মৃত্যু

‘চ’ ব র্গী য়

… চ্-য়ে চয়ণ্, চ-য়ে চায়ী, চ-য়ে চার এইটুকু না জেনেই কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে আলাপনে ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি মৌমাছি সঞ্চয়পুরাণে করিতেছে (চয়ণ্) মধুর সংসার, মৌচাকবিতান, বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ! … চাঁদ জানে না— চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায় (মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ! রূপালী আলোর

তবুও বৃষ্টি হোক ও অন্যান্য কবিতা

সমস্ত আশার আলো বেদনার অশ্রুধারা অক্লান্ত হয়ে ঝরছে যখন একজোড়া শালিকের চোখে প্রেমের বিলাস তখন। জীবনের বিষন্ন নীরবতার সময় পাহাড় সমান ব্যথা, ঠোঁট নেড়ে নেড়ে শালিক দু’টা শোনাল আশার কথা। যুগ যুগান্তর এ’মন করে ব্যর্থতার ধুলা উড়েছে পথে, তাই বলে কেউ হঠাৎ করে যায়নি থেমে

সহপাঠ ও অন্যান্য কবিতা

সহপাঠ আহা সহপাঠী* সহপাঠ আমার* স্বাকারের ভিন্নতাটুকু বৈরিতা ভেবে (অনু)শীলন কর না বিচ্ছিন্নতাবাদ* শরীরের খাঁদে রেখ না পুঁতে আত্মঘাতী বিষ্পোরক** পাঠ কর তোমার সহপাঠির নামে* আমরা দুজন আদি শূন্যের তাফছির* দু’টা বুদবুদ* একে অপরের সহপাঠ** চল মুছে দিই মুছে নিই* বিশ্বাসের ক্ষত* বঞ্চনার ইতিহাস* মিলাই

আ ট চা লা ঘ র

বলিয়াছেন গুরুজন, সদা সত্য কথা বলিবে— তাই ‘প্রকাশ্য সুন্দরে’ বলিতেছি, তিন সত্য—             (তালব্য) শ,                                 (মুর্দ্ধন্য) ষ,