কবিতা
রুদ্র শায়কের কবিতা
নন্দনচেতনায় হলুদ বিপ্লব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্ধ প্রফেসর সারাদিন লাইব্রেরী খুঁজে শুধু আমাকে পেয়েছে তাহার পাঠযোগ্য আর কোন টেক্সট নায় আমি নাকি তাহার রাষ্ট্র চেতনা আমি বেমালুম রাজনৈতিক জ্ঞান ভুলে গেছি তাহাকে সরল ভাবে জানিয়ে দিলাম রাষ্ট্রের প্রতিটি গিটে গিটে গিরগিটির বসবাস গিনগিন এসব গিটে আমি
সাজ্জাদ শাকিলের কবিতা
জোয়ার (আরুকে) শিউরে ওঠা তরল অন্ধকারে অজস্র জোনাকির হাওয়ায় ওড়ানো স্ফুলিঙ্গ! সহস্র বাজপাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মতো তোমাকে দেখে ফেলি নীলাঞ্জনা— সেখানে করুণ মিনতি ভেঙে পড়ে আচ্ছন্ন পৃথিবীর অপূর্ব এক বেদনায় সীমাহীন অভিমান উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে— যেন তুমি অসহ্য প্রেমের প্রতাপে দিশেহারা সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ঝাপটা
বিন্দুরূপিণী
আপনার জীবনের নাম হৈল ‘বিন্দুরূপিণী’! ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দের মাঝে যেই কয়টা বর্ণ কিংবা সংখ্যা রহিয়াছে ঠিক ততোটুকুই আপনি উপভোগ করিতে পারিবেন— এর বেশী কিছু নয় … কারণ, ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দৈ পরম ব্রহ্মের মাঝে বর্ণের কিংবা সংখ্যার যেই যোগফল রহিয়াছে; সেই যোগফলের পরের সংখ্যাই আপনার মৃত্যু
‘চ’ ব র্গী য়
… চ্-য়ে চয়ণ্, চ-য়ে চায়ী, চ-য়ে চার এইটুকু না জেনেই কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে আলাপনে ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি মৌমাছি সঞ্চয়পুরাণে করিতেছে (চয়ণ্) মধুর সংসার, মৌচাকবিতান, বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ! … চাঁদ জানে না— চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায় (মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ! রূপালী আলোর
গল্প
গোধূলী জন্মের উপকথা
একটা ছোট্ট চড়াই কুটকুট করে বন খাচ্ছে, বেকারীর বন। একরাশ অবহেলায় ফেলে রাখা বাঁশ পড়ে আছে রাস্তার পাশে। বনটা অতি বিস্বাদ। তবুও ঠোকর দিচ্ছে আর দিচ্ছে। হঠাৎ পাশ ঘেষে কিছু একটা ছুটে গেল। ভয়ে উড়ে গেল চড়াই। একটা সুন্দর সন্ধ্যা কেক উড়িয়ে ডাকল চড়াইটাকে। ভয়ে
বলিদান
১ এই রাসনগর মৌজায় পূজাতে সকলেই পশু বলি দেয়। পাঁঠা মহিষের বলির সাথে সাথে অন্তরের পশুর-ও নিধন হয় এ’সব শাস্ত্রের কথা নাকি পুরোহিতের বিধান এ’সব নিয়ে তা’রা মাথা ঘামায় না। এ’ছাড়া পুজায় পশু বলি দিয়ে সত্যি সত্যি কা’রোর মনের পশুর বিনাশ হয়েছে কিনা এর কোন
সবুজ ডায়েরী
ক্যাম্পাসে গেলাম। সহপাঠী ইসরাত জাহান তানিয়ার সাথে দেখা হৈল। বল্ল, তুই ত ক্যাম্পাসের বিরাট তারকা, প্রথম আলোতে দেখ্লাম। — তাই নাকি? — হুঁ। — আমিও দেখেছি। গান-বাজনা করে ক্যাম্পাসে পৌঁছলাম। ঝুপড়ীতে হায়দায় ভাইয়ের দোকানে বসলাম। (ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেয়া) ব্যাগটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন কর্ল। ব্যাগটা কাঁধে
নিউ নর্মাল ধরিত্রী
দিনরাত একাকার হয়ে গেছে। জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে সময়। ঘড়ির বুকের খাঁচায় ঘণ্টা মিনিট সেকেণ্ডের কাঁটাগুলো একগুঁয়ের মত ঠুসে গেঁথে আছে। প্রায় অচল। এগুচ্ছে কি! মনে হয় না। রুগ্ন নিথর আর সন্ত্রস্ত সময়ের উদ্বাহু যাপন চলছে পৃথিবীতে। কিন্তু আর কতদিন! আর কবে এ বনসাই
গদ্য
তাজমহল: প্রযুক্তিগত ও স্থাপত্যগত বিস্ময়
তাজমহল শুধুমাত্র একটা সৌধ নয়, বরং শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য এবং প্রযুক্তিবিদ্যার এক সম্মিলিত রূপ। তবে আজ শুধুমাত্র এটার প্রযুক্তিবিদ্যাগত অভিনবত্ব নিয়েই আলোচনা করব। আর একদিন আলোচনা করব এই স্থাপত্যের অন্তর্নিহিত দর্শন এবং সাহিত্যে এর আর্কিটাইপ এবং আর একদিন করব মুঘল আমলে শোষণ এবং মানুষের
এই লেখাটি সতর্কীকরণ চিহ্নের মত
ব্যাপারটা সাহিত্যের নয়, ব্যাপারটা জনপ্রিয় হওয়ার: ‘পুরস্কারপ্রদান’-এর উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে পলিটিক্স, আর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যদি স্যাবোটাজ টু দ্যাট ক্রিয়েটিভিটি, তবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান কতটা ক্রিয়েটিভিটির জন্য ‘পুরস্কারপ্রদান’ করে, আর কতটা পাঠকের সঙ্গে পলিটিক্স করে। অথবা এভাবেও বলা যায়— ‘ট্রাপিজ থেকে স্ট্রিপটিজ’ যা যা
বাঙ্গালা বনাম সংস্কৃত : কষ্টকল্পিত বৈপরীত্য
১— সম্প্রতিকালে যাঁহারা বাঙ্গালার বানান ও ব্যাকরণ সংস্কারের চেষ্টায় তৎপর, এক হিসাবে তাঁহারা আমাদের উপকার করিয়াছেন। তাঁহারা আমাদের চিন্তাভাবনার শিকড় ধরে নাড়া দিয়াছেন। তাঁহারা শুধু বানান ব্যাকরণের থেমে যাননি, তাঁহারা বাঙ্গালাভাষার চালচলন পর্য্যন্ত শুধরে দিতে চাহিতেছেন। তাঁহারা বানান ও ব্যাকরণকে সংস্কৃতের (অর্থাৎ সংস্কৃত বানান ও
কবিতা ভাবনা, এক : শুশ্রূষার সংস্কৃতি
কবিতার সঞ্জীবনী শক্তির কথা বলতে গেলে, অবশ্যই পাঠকের অভিজ্ঞতা এবং কবির অভিজ্ঞতাকে আলাদা করতে হবে। একটা কবিতা পাঠকের জন্য এক ধরণের মন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম : বিধ্বস্ততাকে বিন্যাস দিয়ে কোন আকৃতি বা অভিকর্ষ ছাড়াই কবিতা অন্ধকার থেকে তার পাঠককে উদ্ধার করে; অবাধ প্রপতনের জন্য কবিতা
পুনঃপঠন
শব্দের অর্থ থেকে জগতের অর্থে
[দার্শনিক ও মনীষী কলিম খানের সহযোগী এবং ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ’ ও ‘সরল শব্দার্থকোষ’ সহ আরো বেশ কিছু ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থের যুগ্ম প্রণেতা, নবতিপর পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীময় রবি চক্রবর্ত্তী মহাশয় রচিত এই নিবন্ধটির প্রথম প্রকাশ ঘটিয়াছিল ‘বঙ্গযান’-এর সহযোদ্ধা, ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ’-এর প্রকাশক সংস্থা ‘ভাষাবিন্যাস’-এর কর্ণধার শ্রীময় পূর্ণেন্দু মিত্র মহাশয়
ভাষায় ঔপনিবেশিকতা : প্রাচীন ভারতে ম্যানেজমেণ্ট ও বাৎস্যায়ণের কামসূত্র
ভাষায় ঔপনিবেশিকতা : প্রাচীন ভারতে ম্যানেজমেণ্ট ও বাৎস্যায়ণের কামসূত্র ‘শাস্ত্র’ শব্দের অর্থ ‘শাষনসাধন’, অর্থাৎ যাহার দ্বারা শাষন করিবার কাজটী সাধন করা যায়, অর্থাৎ কিনা ‘শাস্ত্র’ মানে শাষনের হাতিয়ার। ভারতীয় কোষকারগণ জানাচ্ছেন যে, শব্দের এইপ্রকার অর্থ কাহারো স্বকপোলকল্পিত নয়, শব্দটীর ভিতরেই তাহা পাওয়া যায়। যে সকল
ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী?
ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী? ১) ব্যুৎপত্তি নির্ণয়— ধৃ + ম (মন্)— কর্তৃবাচ্যে। (বঙ্গীয় শব্দকোষ, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়— সংক্ষেপে ‘ব.শ.’।) ২) ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক অর্থ— ধর্ মিতি মিত যাহাতে। (বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ, কলিম খান ও রবি চক্রবর্ত্তী— সংক্ষেপে‘ব.শব্দা.’)। শরীরসাধন যে কর্ম্মের অপেক্ষা করে। (অমরকোষ)। লোকধারণ করে যে। (ব.শ.)। ৩) অভিধানাদিতে
নাপিত ও সার্জনের দৃষ্টিতে বাংলা বানান-সংস্কার
পৃথিবীর প্রথম পাস করা শল্যবিদ বা সার্জনদের মধ্যে অনেকেই প্রথম জীবনে পেশায় নাপিত ছিলেন। ইংল্যান্ডে এখনও ডাক্তারদের ‘ডক্টর’ এবং সার্জনদের ‘মিস্টার’ (নাপিত) বলার রেওয়াজ আছে (সার্জনদের ডক্টর বললে তাঁরা নাকি অপমানিত বোধ করেন!)। মধ্যযুগে ইওরোপের নাপিতেরা দলে দলে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল শল্যবিদ্যায় ডিগ্রি নিতে।
অনুবাদ
এনলাইটেনমেণ্ট কী বস্তু?
এনলাইটেনমেণ্ট (Enlightenment) হচ্ছে স্ব-আরোপিত অভিভাবকত্ব থেকে মানুষের মুক্তি। অভিভাবকত্ব হচ্ছে অন্যের দিক্-নির্দ্দেশনা ছাড়া নিজের বোধশক্তি ব্যাবহারের অক্ষমতা। এই অভিভাবকত্বে মানুষ স্বেচ্ছায়-আবদ্ধ হয় যখন এর কারণ যুক্তির অভাবে নিহিত থাকে না, বরং অন্যের দিক্-নির্দ্দেশনা ছাড়া তা ব্যাবহারের সংকল্প এবং সাহস না থাকা এর কারণ হয়। জানার
তোমার জন্য
তোমার চুলের জন্য বুনোফুল তৃণপ্রমা আর হয়ত একটা মৌমাছি চলে গেছে পাগলের মত কেবল একটা মৌমাছি হৈতে আমাদের কেউ কেউ প্রচুর মধু খুঁজে পেতে মাটীর হাঁড়ী হাতড়াচ্ছিল সাইকেডেলিক ধাঁধায় আমরা সুড়ঙ্গ খুঁড়তে খুঁড়তে চলে এসেছি ৯০-এ তারার মেলায় ক্লান্তিকর সড়কে যেখানে কেউ আমাদের বিশ্বাস করে
একজন কবি
একজন কবি নিশ্চিন্ত মনে ধীরপায়ে এগুলেন ২৬১ এভিনিউ ধরে মাথায় টুপী পরনে নিখুঁত পরিপাটি লিভাইস কবিই সর্ব্বৈব যিনি চেয়েছেন শুধুই কবি হৈতে আর বই বিক্রেতা হৈতে আর প্রকাশক হৈতে অন্য কবির শিল্পীর অনুবাদকের সেই একজন কবি যে লিখছে ১০০১ টা ভয়াবহ শব্দ ফিদেল কাস্ত্রোর
এগার সেপ্টেম্বর
এগার সেপ্টেম্বরে তুমি বিতাড়িত, বিলুপ্ত, সমাহিতপতিত গাছের নীচে, দিগন্ত উত্তোলিত গ্রামের কাছাকাছিপাহাড়ী আশ্রমের ঘণ্টাধ্বনিতেযেখানে তোমার বার বছর বয়সী কন্যার স্বপ্ন উচ্ছেদ হচ্ছেবুকের ভেতর থেকে কবিতাসারি সারি বৃক্ষেরা সরে যাচ্ছে দৃষ্টির বাইরে এগার সেপ্টেম্বর হৃৎপিণ্ড তলিয়ে যেতে থাকেঘণ্টাধ্বনিতে, বয়ষ্ক পৃষ্ঠাগুলোর অনভিজ্ঞ পাঠেতাদের সম্মানে, যারা এসেছে আমাদের
সমসাময়িক
রুচি রসের ভাবনা
* রূচি > √রুচ্ + ই। ই > সক্রিয়ন/গতিশীল/আধেয়/পুরুষ। রূচি প্রবাহিত/চলমান। * রূচী > √রুচ্ + ঈ। ঈ > সক্রিয়/গতিশীলতা/আধার/প্রকৃতি। রূচী বদ্ধ/অপ্রবাহিত/অচলমান। রক্ষণ কিংবা রহন অথবা ভক্ষণের নবোদ্দীপ্ত চয়নের সক্রিয়ন/গতিশীল-ই হৈল রুচি। আবার বঙ্গীয় শব্দকোষ বলিতেছে, রুচ্ + ই – (দিপ্তী + সক্রিয়ন) >
ভাষা, সংস্কৃতির বৈষম্যে সমাজের অবক্ষয়
গতকাল (টিএসসি) শাহবাগে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্রের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালী কনসার্টে হামলায় যতদূর বুঝতে পারছি এটা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা ছিল ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণসংযোগ এড়াতে। বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্য্যন্ত তৎকালীন পূর্ব্ব বাংলায় (বর্ত্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত
রেহানা মরিয়ম নূর : একজন দর্শকের চোখে
রেহানা মরিয়ম নূর দেখ্লাম, এই প্রথম বাংলাদেশের কোন সিনেমা দেখে সিনেমা সিনেমা লেগেছে— সিনেমা দেখ্ছি মনে হয়েছে। সেক্স আর ভায়োলেন্স, উদ্ভট সাজপোষাক, অপ্রয়োজনীয় চিৎকার, অকথ্য ভাষায় গালাগালি এইসব বাদ দিয়েও শুধুমাত্র একটা টপিকে ফোকাস করে একটা চরিত্রকে প্রধান করে তাহার চারপাশের বাস্তবতা, সমাজ, রাজনীতি কতটা
আমপাতা ও নীল শাড়ী
বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফির্ছিলাম। বাঙ্গালাদেশের ওপর বিমাণ পৌছানোর পর সারাক্ষন জানালা দিয়ে বাঙ্গালাদেশের নদী আর সবুজ দেখ্তে দেখ্তে ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। বিমাণের চাকা যক্ষণ ঢাকার রানওয়েতে নাম্্ল, তক্ষণ আর ইমোশন ধরে রাখ্তে পারলাম না। চোখ দিয়ে তক্ষণ টপ্ টপ্ করে পাণি পড়ছিল। আমার
বটতলার বয়ান
ভাষা ও সাহিত্য
অধ্যাপক মহাশয় ভাবিতেছেন, ভাষা ও সাহিত্য একৈ বিষয় না! … ইহা ভুল ভাবনা! … কারণ, ভাষা ও সাহিত্য পরস্পরের পরিপূরক, না হৈলে সাহিত্য করার জন্য আপনি ভাষাকে বেছে নিয়েছেন কেন? … মানুষের (উদ্ভাসিত) নৈমিত্তিক জীবন যাপনের যেই ভাষ্, সেই ভাষ্-এর আধার হৈল ভাষা। এই ভাষা/প্রকৃতিই
ডমরু শব্দের সন্ধানে
ডমরু > বাদ্যযন্ত্রবিশেষ। সঙ্গ ও সঙ্গীতে… রাগে ও পরাগে এর কী ভূমিকা, সে ভাব ও ভাবনা সুর সাধক ও রসিকের! আমাদের ভাব ও ভাবনা ‘ডমরু’ শব্দের অর্থ কী? এবং তাহার ক্রিয়ার, অর্থের ব্যবচ্ছেদ। চলুন, গবেষনাগারে… গো এষনায় বা অন্বেষনে… শব্দের ভেতরে কোথায় লুকিয়ে রয়েছে (অর্থময়)
ধন ও ধনুক
‘দ্’ যেই ক্ষণে পূর্ণ হয় তেই ক্ষণে সে ‘দ’, ‘দ’ যেই ক্ষণে স্থিত হয় তেই ক্ষণে সেই ‘ধ’ রূপ পায়। বাঙ্গালা বর্ণমালায় দ্-এর ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক মান হৈল দান, দ-এর মান দাতা, ধ-এর মান দানস্থিত। দানস্থিত-মানবাহী বর্ণ ধ-এর সাথে ‘ন’ বর্ণের যোগসাধনে সৃজন হয় ‘ধন’ শব্দের। ‘ন’
হ্রস্ব-ই ও দীর্ঘ-ঈ বা আধেয় ও আধার
ভাষা মানবের মান বহনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী উদ্ভাবনা … কারণ এই যে, ভাষাই শব্দের মর্ম্মে বহন করিতেছে সকল অর্জ্জন … জীবন বৈচিত্রে মানবজাতির সাংস্কৃতিক বিন্যাসে যেই আলাদা আলাদা জাতিসত্ত্বা গড়ে ওঠেছে তাহার পেছনে রয়েছে (পরমা প্রকৃতি ও তাহার ক্রিয়ার) নানান ভাষায় রূপান্তর! আর এই রূপান্তরের
সাক্ষাৎকার
কবি ও কবী : বানান বিষয়ক আলাপচারিতা
আরণ্যক টিটো— ‘কবি’ শব্দের বানান নিয়ে আমার মন ও মননে বিশদ ভাবনা ছিল না, একসময়। কিন্তু, বর্ত্তমানে ভাবনাতাড়িত আমি… যিনি কবিতার রচয়িতা, তিনি কবি? না কি অন্যকিছু? আর কবিতা রচনা করলে তাহাকে কবি বলা হবে-ই-বা কেন? এবং ‘কবি’ ও ‘কবিতা’ এই শব্দ দু’টার অর্থই-বা কী?
‘বিনোদবিহারী চৌধুরী’ বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের শেষ জীবিত দলিল
[সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন মজিব মহমমদ, সহায়তায়— আরণ্যক টিটো ও অলক চক্রবর্তী] যদ্দুর জানি, দিনটি বোধহয় শনিবার ছিল, ছিল ঘুটঘুটে অমাবশ্যাও। আট কি সাড়ে আট’টা বাজে তখন। ভীষণ ভীতসংকুল চট্টগ্রামের অভয়মিত্র শ্মশানঘাটে ভূতপ্রেতের ভয়ে দিনের বেলায়ই যেখানে কেউ যেতে-আসতে সাহস করত না, সেখানে বিপ্লবি মন্ত্রে দীক্ষিত
কথোপকথন : রবি চক্রবর্ত্তী ও গঙ্গোত্রী চন্দ
[কিছুদিন আগে চলে গেল (ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাবিজ্ঞানের পরম কাণ্ডারী) শ্রদ্ধেয় প্রিয় শ্রীময় রবি চক্রবর্ত্তীর একানব্বইতম জন্মদিন (৬ই কার্ত্তিক, ইংরেজী ২৪শে অক্টোবর, ১৯২৯)। স্মরণীয় ও শুভ এই দিনটিকে উপলক্ষ করে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারটি পরিবেশন করা হল। ২০১৯ এর একেবারে গোড়ার দিকে ফেব্রুয়ারী-মার্চ্চ মাসে আমাদেরই সতীর্থ শ্রীময় গঙ্গোত্রী চন্দ
আরণ্যক টিটোর সাক্ষাৎকার
আরণ্যক টিটো ১৯৭৭ সালের ৬ জুন জন্মগ্রহন করেন। কবিতা লেখেন দীর্ঘদিন ধরে। এখন পর্য্যন্ত তাঁর কোন বই প্রকাশ পায়নি। সাহিত্যের ছোটকাগজ, সাহিত্য ম্যাগাজিন, অনলাইন, সহ সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় তাঁর কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। ‘ফুলেরা পোষাক পরে না’ নামে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়।
হিজিবিজি
পাঠ-পর্য্যালোচনা: ইলিয়াস ও প্রশ্নের শক্তি
লেখক পরিচিতি: আনু মুহাম্মদ। জন্ম ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬; গোপীনাথপুর, জামালপুর। বসবাস ঢাকায়। ১৯৮২ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি একি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগেও একদশকের বেশী সময় শিক্ষকতা করছেন। সমাজ অর্থনীতি ও রাষ্ট্র বিষয়ক জার্নাল ‘সর্বজনকথা’র সম্পাদক। পাঠ-পর্য্যালোচনা: আনু মুহাম্মদ রচিত ক্রিটিক্যাল প্রবন্ধগ্রন্থ ‘ইলিয়াস
শবে বরাতের সার্ব্বজনীন শুভেচ্ছা
বঙ্গোপসাগরের তীরের বাসিন্দা হিসাবে আমাদের ভূখণ্ডের পরতে পরতে জমে থাকা ঐতিহ্যের প্রতি যদি বিনয়াবনত হৈতে না পারি, তাহা হৈলে আমাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত সুরম্য সংস্কৃতির যেই ঐশ্বর্য্য, তাহার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক । যাপিত জীবনে বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে আমাদেরকে সবচেয়ে বেশী আনন্দ দেয় যাহা, তাহা
বুদ্ধিজীবী = মেধাশ্রমিক নাকি চেইনবাঁধা কুকুর?
ইতিহাসে রয়েছে, রোমা রোলাঁ তাঁহার বন্ধুর কাছে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা সরকারের চেইনবাঁধা কুকুর’। পাশ্চাত্যে কেউ কেউ বুদ্ধিজীবী বলিতে বুঝেন ‘মেধাশ্রমিক’। কেউ তাঁহাদের বলেন ‘মানবীয় ট্রান্সফরমার’, কেউ বা ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘আরে! ওরা ত মেকি মেধাসম্পন্ন উন্নসিকের দল’। আর হিটলারের আমলে নাজি ধারাভাষ্যকাররা বুদ্ধিজীবীদের ‘মেধাপশু’ নামে
‘হেরমান হেস’ বিরচিত ‘সিদ্ধার্থ’ : পাঠ পর্য্যালোচনা
লেখক পরিচিতি: ১৮৭৭ সালের ২ জুলাই দক্ষিণ জার্মানীর ছোট্ট-সহর উইটেম্বার্গের কালভ-এ হেরমান হেসের জন্ম। বাবা জোহান্স হেস। পাদরী ছিলেন। পরে, কালভ পাবলিশিং সার্ভিস-এর পরিচালক। মা নী গুনডার্ট। হেসের নানা হেরম্যান গুনডার্ট সেকালের বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও পণ্ডিত ছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হেরমান হেস ১৯৪৬ সালে নোবেল