ক্লাইভের চেয়ারের নীচে জমছিল যেই রাইত
দু্ইশত চৌষট্টি বছর আগে
তা’র কতক আন্ধাইর আইজো আমাদের ‘একাডেমিক’ চেয়ারের পাছায়
কলাভবনের খাঁজে লাইব্রেরির সেলফে ঝুল্লু খায়
সে’ এক দেশী বিলাইর কালা মুখ
নিরাকার ইঁদুর বিলাই খেলে সে’ চতুর
আমাদের আম জাম কাঁঠালের উঠ্তি চারাগুলোর লগে
সোনারইদে ঝলঝলা ফিরিঙ্গী শিকলের দাগ হাতে পায়ে
মহামাতা ভিক্টোরিয়ার কর্পোরেট সিল বুঝি
কয়জন আবাল অধ্যাপক লেখক রাখে দেলের ভিতর।
তা’রা পার হৈতে চায় বুক পকেটের তাড়াহুড়াগুলি
আর বহুজাতিক সকালের মোড়
বোধের ভিতর ঘোলা পাণি ‘বিশ্বায়ণ’ হরফের মালা
সে’ কি আর জানে ফিরিঙ্গির সাজানোর গুণে হরফ-ও খে’লতে জানে
তিনশ বছরের পুরানা খেইল।
বিশ্ববাজারের মোকামের পায়ের তলা পার হৈয়া
যে’খানে পৌঁ‘ছবে এই আবালের দল
তা’রা ত জানে না সেইখানে হরফেরা লিইখা রাখ্ছে ‘দাসের বাযার’।
ফয়েজ আলম রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, ক্লাইভের চেয়ারের নীচের রাইত — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।
সবগুলো কবিতাই অসাধারণ হয়েছে স্যার। ক্লাইভের চেয়ারের নীচের রাইত কবিতাটা একেবারেই অন্যরকম হয়েছে স্যার। বিশ্বায়নের ঘূর্ণীপাকের এই চক্রবাকে আমরা দাসত্বের দাস হয়ে থাকবো যুগ থেকে যুগান্তর কাল থেকে কালান্তর। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ স্যার।
চারবাক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবগুলো কবিতা বাস্তবধমী, ছন্দে অতুলনীয়। আমাদের এই ইহজগতের সাথে মিল আছে।কবি যে ছন্দে কবিতা রচনা করেছে তা মনে দাগ কাটে। বার বার পড়ার আগ্রহ জন্মায়।
যে বেদনা লুকায়ে কাকের মতো ময়ুরের পেখম ধরে ময়ুর হতে চাই সেই বেদনাকে জনমনের সামনে আনাই যেন কবি ফয়েজ আলমের কাজ আর ময়ুর হতে চাওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবার। এ যেন এক দায়িত্ব। ঘাড়ে নিয়ে চলেছেন গত প্রায় কয়েকযুগ ধরে। উপনিবেশের ক্ষত, নব উপনিবেশিতর যন্ত্রণা আর আগ্রাসন এইসব কিছু থেকে নিজের শিকড়টা আঁকড়ে ধরে বের হয়ে আসা বের করে আনাই যেন কবি ও উত্তর উপনিবেশি তাত্ত্বিক কবি ফয়েজ আলমের কাজ। আর তাই কবিতা যেন তার এক বাহানা। দেখিয়ে দেয়া। এমন শব্দে পারা যায়। এমন নিজের বাক্যে ভুলানো সম্ভব। এমন শক্তি আমার নিজের শব্দেই আছে। কেবল ধার দেয়া। এইভাবে বোধের গভীর থেকে কাজ করা বোধের গভীরে নিয়ে যাওয়া সাধারণের চিন্তাকে, এই গভীর জীটিল কাজটি নিজের কাঁধে তুলে নেয়া এক কবি। হাজার সালাম জানাই তার এই যুদ্ধকে………কবিতা সবগুলোই আগে পড়া আর অসাধারণ…