কবিতা : বন্ধু

একটা নতুন সকালের রোদ, বয়ঃসন্ধিকালের লাবণ্য নিয়ে আমাকে ঘাসের ভিতর এনে দিয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশিরের প্রণয়। আমি একটা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পিছনে, হিরোশিমার সব ক্ষত ভুলে গিয়ে, সামনে এগোতে হাতে তুলে নিয়েছিলাম সভ্যতার প্রথম সুমেরীয় চাকা। নূহের প্লাবনের পর, তুমিই ত আমার ভুবনে বিবর্ত্তন ঘটিয়েছিলে… এককোষী অ্যামিবা

অনুবাদ : সত্তা ও সৌন্দর্য্য : রবীন্দ্রনাথ ও আইনষ্টাইন কথোপকথন

Tagore: You have been busy, hunting down with mathematics, the two ancient entities, time and space, while I have been lecturing in this country on the eternal world of man, the universe of reality. ঠাকুর: আপনি অঙ্কশাস্ত্রের দুইটা প্রাচীন সত্তা, স্থান এবং কাল-এর অনুসন্ধানে নিজেকে

কবিতা : চেয়ার

একটা চেয়ারের জন্যই তো এতো সভা, মিছিলের আযোজন। অথচ একটি চেয়ার যেটা কিনা মৃত ডালের তৈরি, তার সোনালি শৈশব ফেলে এসেছে বৃক্ষের পরিবারে, এখন সে নিস্প্রাণ, উবু হয়ে বসে আছে। কোন অভিযোগ নেই, চাহিদা নেই, ঘুরছে অনবরত এ অফিস থেকে ও অফিসে… কর্তার মর্জিমতো… একদা

কবিতা : প্রেম শুধু ডুপেমিন নয়

৮.২ সেকেন্ড কোন রমনীর দিকে গভীর দৃষ্টিতে থাকালেই যদি পিটুইটারি গ্রন্হিতে প্রেমের রসায়ন শুরু হয়, তাহলে এরকম শেক্সপীয়ারিয়ান লাভ তো কতো সহস্র জনের জন্যই ছিল, সে খবর কী রোমিও-জুলিয়েটরা জানে? সত্যিই যদি প্রেম শুধু ডুপেমিনের খেলা হতো, সমাজ আমার এ অপকর্মের জন্য কয়েক’শ ক্যারেকটার সার্টিফিকেট

কবিতা : ঝরা পাতার কবিতা

প্রিয় কবিতা, তুমি একটু সেলুলয়েড জগত থেকে ফিরে এসে দেখো। কয়েকটা গুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া ফুল, দোকানের কাছে গুটিকতেক গোলাপের উপচে পড়া ফুলের ঢেউয়ে, তুমি ভেসে যেওনা। তারা তোমাকে সুন্দরের সংজ্ঞা শিখাবে না, তারা তোমাকে জীবন দেখাবে না। গাঢ় কালচে সবুজের দিকে তাকাও, চারপাশে ন্যাড়া বৃক্ষগুলোর দিকে

কবিতা : স্মার্টকার্ড

পাখিদের কোথাও উড়ে যেতে স্মার্টকার্ড লাগে না, গোলাপেরা মাখে না আলাদা সুগন্ধি বা আতর, একমাত্র মানুষেরই সব লাগে- যেকোন ভূখন্ড বা হৃদয়ের অলি গলিতে পৌঁছতেও এখন দরকার পাসপোর্ট, ভিসা কিংবা স্মার্টকার্ডের, কেননা কেনা বেচার এ যুগে, মাংসাশী প্রাণিদের বাজারে, হৃদয়ও আজকাল নিলামে বিক্রি হয়, এখন

কবিতা : শিশুকাল

বড়োদের শিশুপাঠ থেকে শিখেছিলাম অ-তে অজগর… আর ভূগোল পড়েই জেনেছি, পৃথিবীতে নিঃসঙ্গতার চে’ বড়ো কোন সাম্রাজ্য নেই, বর্বরতার চে’ বড়ো কোন শাসক নেই। তাই এখন শিশুদের কাছে শেখার পালা। দেখা যাক তারা কী পছন্দ করে? দেয়াল? নাকি দিগন্ত? ইটের শিখর? নাকি ঘাসের শেকড়? একবার তাদের

সমসাময়িক : হাজার বছরের বাঙালী

ভীতু বাঙালী, ‘থিতু’ বাঙালী, হুজুগে বাঙালী, সাম্প্রদায়িক, পরশ্রিকাতর, কখনও ধর্ম্মপ্রবণ তো অপরাধপ্রবণ। একদিকে যেমন অতিথিপরায়ণ, আবার অকৃতঘ্নও বটে। মানুষের বিপতে (বিপদে) এগিয়ে যায়, আবার ভাই ভাইয়ের, প্রতিবেশীর রক্ত ঝরাতেও দ্বিধাবোধ করে না। বাঙালীর এই চিন্তার মানসপট বুঝতে হলে হাজার বছর পিছনে যেতে হবে। প্রাচীন এই

গল্প : দ্য গার্ল সিটিং বাই দ্য উইণ্ডো

বলা হয়, 8.2 seconds কোন সুন্দরী রমনীর দিকে একনজরে তাকালে, মস্তিস্কে ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয়। তখন পুরুষ এক অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অনুভব করে এবং ওই নারীর প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। এটাকে ল্যভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট বা শেক্সপীয়রিয়ান ল্যভ বলে। উঁনার নাটকে নায়ক নায়িকা প্রায়শই প্রথম

গল্প : লাইব্রেরী অব ব্যাবেল

“আয়না এবং সঙ্গম উভয়ই পরিত্যাজ্য। কারণ তা সংখ্যা বৃদ্ধি করে”। বোর্হেসের কথাটা লাইব্রেরীর ওপর লেখা দেখে রঞ্জু অবাক হয়ে গেল। জাহিদের মত money minded মানুষের বাড়ীতে এত সুন্দর একটা লাইব্রেরী। জাহিদের motto/মূলমন্ত্র ছিল ‘money is second god’ কিন্তু সময় মানুষকে কী না করে! একজন নির্দ্দয়,

গল্প : ইমসোমনিয়া

৪০ সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ মুসাকে ৪০ রাতের ওয়াদা করেছিলেন। ইলিয়টের কাছে কবিতার দীক্ষা নিতে এলে উনি একজনকে উপদেশ দেন ৪০ বছর পর আসার জন্য। মানে চল্লিশ না হলে মানুষ পরিপক্ব হয় না। নবিজীও নবুয়ত পেয়েছেন ৪০ বছরে। ৪০বছরে মানুষ ভিন্ন মাত্রার জগতে প্রবেশ করে। টাকা,

গল্প : দুই পৃথিবী

অন্যদেশ থেকে বিয়ে করে আনলি? তাতে আপত্তি নেই। তবে নিজের মেয়ের বয়সের? তাও তালাকপ্রাপ্ত? এ বিয়ে টিকবে তো? মায়ের হাজার সংশয়। রঞ্জু উত্তর দিল— কেন মা, তোমাদের বয়সের হলে কি আপত্তি থাকত না? যতদূর জানি ঠাম্মার এ বাড়িতে এসে দাঁত পড়েছিল। আর এমন কেন ভাব