কবিতা এ কা ন্ন ব র্ত্তী

না, খাইয়া আসি নাই— তোয়ালে দিন, হাতমুখ ধুইয়া আসি,
(পরমান্ন)
গরম ভাতের ঘ্রাণে মোচড় মারিতেছে
ক্ষুধার পাঁচালী!
কমরেড্,
আপনার কি মনে আছে?
(পাঠশালায় পড়া)
‘একান্ন’ শব্দের সন্ধির ৰিচ্ছেদ— একান্ন = √এক্ + অন্ন!

আমাদের হাটের হাঁড়িটি
ভাঙ্গাভাঙ্গির ৰিপরীতে এক হৈতে পারিত—
আমরা ত
একান্নৰর্ত্তী পরিৰারের মানুষ ছিলাম, একৈ অন্নে লালিত
এই
একান্ন পীঠের পটভূমে,

অতীত
তাহাই ৰলে, যাহার কাহিনী জানে, ব্রহ্মাণ্ডের ভাণ্ডময়
দেহের মাঝারে
(সাতস্থ) কুণ্ডুলিনী সত্তার প্রতীক
(ফণায়িত সাপ) লৈয়া শুইয়া থাকা
মহাকাল/মহাদেৰের বুকে
সময়ের পটভূমিকায়, পাদপদ্মে
(পদ-অর্থ-ভারে)
দণ্ডায়মান কালের প্রতিভূ, মা কালী!
[অনাদিকালের (ত্রি-মাত্রিক) না ৰলা কথার প্রকাশনায়]
যাহার
কালের অলঙ্কারে
গলায় শোভিত (মুণ্ডরূপী) ৰর্ণমালা!
যাহা;
(কথা কহিতে চাওয়া)
ৰাঙ্গালা ভাষার
ৰর্ণের অক্ষমালায় ‘আ’ থেকে ‘ৎ’ ৰর্ণ—
গঠনে
√আৎ্ + √ম্ + আ > আত্মা > আলো > পঞ্চভূতের দিশায়
(পঞ্চের পঞ্চাশে) উদ্ভাসিত পঞ্চানন্দ > পঞ্চানন!
এৰং
(ৰহন-অস্তিত্ব-মিত) ৰাম হাতের মুঠোয়
ঝুলিয়া থাকা (মুণ্ডরূপী) ‘অ’ (অস্তিত্বন্/অন্ধকার) ৰর্ণের
৫১ৰর্ত্তী সংসার—

[কালের ৰরণে
(ৰর্ণের)
ৰর্ণীল কথার মালায়, কালির লিখিত কাল রঙে
(ঘ-ট-মা-ন)
ক্রিয়ার প্রকাশময় (ধ্বনির গুঞ্জনে জাগা) ৰর্ণে
জগৎ পালক
(‘আমি’র উদ্ভাসে) জ্ঞানের প্রকাশনায় ‘আ’ থেকে ‘ৎ’
ৰর্ণের পঞ্চাশ!
এৰং
ছেদনে অজ্ঞান/অঘা
অর্থ্যাৎ অস্তিত্বন্ অর্থ্যাৎ ‘অ’ অর্থ্যাৎ ৰর্ণের এক—
যাহা;
পালন দিশায়
‘এক + অস্তিত্বন্ + নাকরণ্~অন্-করণ্ +
নাকৃত~অন্-কৃত’— ‘এক্ + অন্ + ন’ পুরাণ!

আৰার
(এক্ + অন্নে) একের অস্তিত্বৰাদে
(পঞ্চের ব্যঞ্জনাময় অন্নের) পঞ্চাশপ্রিয় যুক্তাঞ্চল;
যাহা;
‘এক্ + অস্তিত্ব + নাকরণ্~অন্-করণ্ +
নাকৃত~অন্-কৃত’— ‘এক্ + আ + ন্ + ন’ পুরাণ!
এই যেন
একের আথিত্যে পঞ্চাশ,
পঞ্চাশের আতিথ্যে একের পীট; পালন সক্রিয় টঙ্কারী—
পঞ্চভূত/পঞ্চাননের সংসারকার্য্য, জীৰনরসনা!


আরণ্যক টিটোর মাতুলালয়
(পিছনে, বাম থেকে) নিলুফার সুলতানা বুলবুল, সামসুল আলম মিতু, নিগাৎ পারভীন, নূরুল আলম, হাসিনা আলম, নূর হাবিবা, নূর সালেহা।
(সামনে, বাম থেকে) নূরুল হক-রহিমা হক।}

(অ অর্থ্যাৎ অজ্ঞেয়)
একের
(জ্ঞানম্) নন্দনকানন, (আৎ-ম-পঞ্চাশে) ভাষিত মালঞ্চ
আজ
(একের উৎপাতে) গদ্যময়—
একান্নের সংসার যেনৰা অরণ্য, ক্ষুধিত পাষাণ!
জীৰন মৃদঙ্গে ৰাজিয়া ওঠা আজিকার কালের কথায় (…)
(ভাৰনার ৰৈশ্বিক প্রপঞ্চে)
অন্নদা, আপনি কী ভাৰিতেছেন?
সংসারসমুদ্রে, পরম আলোয় (পঞ্চৰর্গীয়)
ভাষাই
আমাদের একমাত্র ভেলা, ফেলিয়া আসা আশার সন্ধানে …

অন্ ন দা!
ভাৰনা অন্ করুন—
পরমা ভাষার (ৰোধন) উদ্বোদনে

(ষ ড় আ য় ত ন) কালচেতনায় সময়সিন্ধুর কূলে;
স/ময়ের ব্যক্ততায়;

[(অ) অস্তিত্বন্/অন্ধকার (প্রত্যয়/পুরুষ)
(উ) (নবরূপে) উত্তীর্ণন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(আ) অস্তিত্ব/আলো (প্রকৃতি)
(ই) সক্রিয়ণ্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ঋ) আৰর্ত্তন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ঋৃ) আৰর্ত্ত/পৃথিৰী (প্রকৃতি)]
— ব্রহ্মাপর্ব্বময়

‘চার’ প্রত্যয় কিংৰা ক্রিয়ার কাজল এৰং ‘দুই’ প্রকৃতির ‘ছয়’ স্বরে ৰিরচিত

[(ন্) নাকরণ্-অন্করণ্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(স্) সত্-শক্তিযোজন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ব) অন্তঃস্থ বহন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ৰ্) ৰহন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(গ্) গমন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(দ্) দানন্] (প্রত্যয়/পুরুষ)]
— ৰিষ্ণুপর্ব্বময়
‘ছয়’ ক্রিয়ার কাজলে রাঙ্গা জীৰনের ব্যঞ্জনায় জাত হয়

[(ন্) নাকরণ্-অন্করণ্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ৰ্) ৰহন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ই) সক্রিয়ণ্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(ন্) নাকরণ্-অন্করণ্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(দ্) দানন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)
(উ) (নবরূপে) উত্তীর্ণন্ (প্রত্যয়/পুরুষ)]
— মহেশ্বরপর্ব্বময়
এই
‘ছয়’ ক্রিয়ার কাজলে রাঙ্গা জীৰনের ব্যঞ্জনা!

যাহা;
র/রক্ষক (প্রকৃতি)
স/ সত্-শক্তিযোজক (প্রকৃতি)
চ/চায়ী (প্রকৃতি)
এই
ত্রি-মাত্রিক গুণ জাগানিয়া
‘চ-র-স’ ৰিতানে
জীৰনের (ত্রি-মাত্রিক) ষড়ায়তনের ‘আঠার পুরাণ’!

ব্রহ্মাণ্ডের ভাণ্ডময়
আঠার পুরাণ, আঠার মোকাম
পাঠে
(নৃত্যপর গোধূলী সন্ধ্যায়, তিন পাগলের মিলনমেলায়)
চারের চয়ণে
চোদ্দ স্বরের ব্যঞ্জনায়
(আঠারোর আঠা লাগা) আঠার ৰৎসর ৰয়স জানে,
জীৰন; রসিয়া স্বজন—

সাতের সন্ধানে পাগলপরাণ সাতের সংসার!
যাহা;
(দানন্ ক্রিয়ায়) চোদ্দের মিলনমেলায়
(ষড়ায়তনে)
উৎপাদিত আরেক সাতের প্রসৰিত নন্দনকানন …
(ন্) নাকরণ-অনকরণ
(ৰ্ + ই + ন্ + দ্ + উ)
পঞ্চভূতেসু (ৰিন্দু) কিংৰা
ন্ + ৰ্ + ই + ন্ + দ্ + উ
কিংৰা (নব ইন্দু)-র জীৰনভাষিত কথার আলেখ্য! …

(চাঁদের কপালে চাঁদ টীপ দিয়া যাওয়া)
জীৰনসিন্ধুর অৰৰাহিকায়
‘একান্নৰর্ত্তী’ ৰার্ত্তাৰাহী/ৰরৰাহী
[চোদ্দ ৰর্ণের
একুশ ক্রিয়ায় ৰিরচিত]
অনুস্বার, ৰিসর্গ ও চন্দ্রৰিন্দুর (ত্রি-মাত্রিক) ভাষাৰিশ্ব;
ৰিশ্বকর্ম্মা ৰিরচিত
ৰিশে ৰিরাজিত
ৰিশ্বরূপ দর্শনের ৰ্যক্ততায় মুখরিত আজি …

পাঠে;
আসুন সচল করি,
তিনের রহস্য জাগানিয়া সপ্তাঙ্গের পরিচালকরূপী
মাথা
এৰং তাহার
চোখ, কাণ, নাক,
ঠোঁট, দাঁত, জিহ্বা ও গলার দ্বৈতসত্তার
(চোদ্দ স্বরের) নন্দনে ৰাজা (সাতটা ৰর্ণের) ডুগডুগির
ধ্বনির কানন। …

(পঞ্চানন) জীৰন পালকের
আদো আদো ৰোল জাগা কুসুম কাননে
সাত্রিশ + তিন
= চল্লিশের অনুপাতে
চন্দ্রের চয়ণে কথার মাধুরী;
চুয়ান্ন ৰর্ণের ললিতকলায় জাগিয়া রহিয়াছে
(ছয়টা) কারকের ‘কার্য্য’—
ছয়ের
(দশমিক) সূচক; ষাটের নন্দন > কালের চৈতন্য!
‘কারণ’
(সত্তর সহস্র পর্দ্দার
সূচনীয়) সাতের সত্তার (দশমিক) সূচক,
সত্তরে;
(সাতের ৰিভক্তিময়) সময়ের সূচনায় জাগিয়া রহিয়াছে
আটের (দশমিক) সূচক; আশির পটভূমিকা
এৰং
(অ্যাটমিক) জীৰনের
অষ্টাধ্যায়ী ৰ্যাকরণ > পদ্ + অর্থ + ৰি/জ্ঞান! …

এইৰার
প্রৰেশ করা যাক, চিত্রকলার দেশে—
জীৰনের
মিলনমেলায়, সাতের যুগলে
আমাদের
সাতপুরুষ ও চৌদ্+দ গোষ্ঠির খপরাখপর জানে
(অনুস্বার-ৰিসর্গ-চন্দ্রৰিন্দুর) চয়ণের সংসার!

যেমন; পিতৃকাৰর্ণ
চিত্রার্পিত

ৰর্ণরূপী
অনুস্বার শব্দের প্রত্যেকটা ৰর্ণ
‘সাতের সত্তায়’ দানের মানের চিহ্নায়ক!

যুগলসন্ধ্যায়;
দুইয়ের দানের চিহ্ন (ং)
দণ্ডরূপী
ঘাসের ডগার ওপরে
চুপচাপ ৰসিয়া থাকা শিশিররূপিণী (০) ৰিন্দু;
যাহার (ৰর্ণিত) মান পাঁচ—
(পাঁচ যোগ দুইয়ের)
পূর্ণসত্তায়
(প্রকৃতিপ্রত্যয় কিংৰা প্রকৃতিপুরুষ)
(দুই-ভাগের নন্দনময়) সংখ্যার যুক্ততায় হয়
সাত দু’গুণে চোদ্+দ!
যাহা;
সত্-শক্তিযোজন্ + অন্তঃস্থ বাহক + রক্ষক,
যাহা;
স্ + ব + র। — ব্রহ্মাপর্ব্ব।

আৰার
‘ৰিসর্গ’ শব্দ;
সাতের সত্তায় আৰর্ত্তিত ‘ৰর্ণের পঞ্চক’ ‘মানুষ’
আমাদের
ইন্দ্রীয় পুরাণের চিহ্নায়ক—
যাহা;
(পালনের আৰর্ত্তনে, গমনে) পাঁচের গুণিতক;
যাহার পূর্ণফল: পঁচিশের ৰর্গীয় ব্যঞ্জন!— ৰিষ্ণুপর্ব্ব!

(মাতৃকাৰর্ণ) চন্দ্রৰিন্দু ৰর্ণের অঙ্কিত রূপতত্ত্ব দেখুন—

চন্দ্রের ৰাঁকানো গর্ভে
রূপায়িত
চন্দ্রের চার এৰং ৰিন্দুর পাঁচটা ৰর্ণের অভিসারে
(নয়টা ৰর্ণের নয়ন দর্শনে) উদ্ভাসিত নব ইন্দুর
মুখের ভাষায় চয়ণ করি
(আগমনী গানের) ধ্বনির নন্দন!
যাহা;
[ছয় স্বর,
নয় ব্যঞ্জন ৰর্ণের (নয়ছয়) জীৰনে]
দশের দিশায়,
দিশাগ্রস্তন্-গমন্-অস্তিত্ব-রক্ষকের
ৰারোর/মহেশ্বর পর্ব্বের
আৰর্ত্তনে ঘোরা (দিৰা-নিশির) কাৰ্যকথার পাঁচালী …

অন্নদা,
(ৰিন্দুরূপিণির উদ্ভাসে জাগা) চারের চয়িত ভ্রুণ,
[চল্লিশায়
ধারণ করিয়াছি সপ্তাঙ্গ তত্ত্বের দেহ!]
নয়টা খোলা একটা ৰন্ধ
(গোপন চাৰির মর্ম্মে গড়া) দেহঘড়ি চোদ্দ তালার
দশটা নালায়
সপ্তাঙ্গ তত্ত্বের মাঝারের ভাষিক প্রকাশে
নিৰিড় ব্যঞ্জনে ধারণ করি অনাদিকালের চয়িত ৰেদ-ন্-আ!
যাহা;
ষড়ায়তণে
চোদ্দ স্বরসত্তার
পঁচিশের ৰর্গীয় ও ৰারোর আৰর্ত্তক ব্যঞ্জনে ব্যক্ত করা
অনুস্বার, ৰিসর্গ ও চন্দ্রৰিন্দুর
(তিনের তরঙ্গময়) সময়ের কথোপকথন …

[চোদ্দ ৰর্ণের
(ত্রি-মাত্রিক) একুশ ক্রিয়ায় জাত]
অনুস্বার, ৰিসর্গ ও চন্দ্রৰিন্দুর ভাষাৰিশ্ব;
একান্ন ৰর্ণের
(ৰায়ান্নৰাহিত) লড়াইয়ের মাঠে
অ/অজ্ঞান
‘পঞ্চভুতেসু’ এক-এর আত্মিক পঞ্চাশে উদ্ভাসিত! …

(অনুস্বারের) সাত, (বিসর্গের) পাঁচ ভাবা
(চন্দ্রবিন্দুর) নয়ের জীবন আমাদের;
করণে
উৎস/বে রঙ্গীন …
আসুন;
আন্তঃজাতিক মাতৃভাষা দিৰসে
(সমৰেত কণ্ঠের মূর্চ্ছনায়)
গাহি
: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি …

*** ছবি: ইণ্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, এ কা ন্ন ব র্ত্তী — তে সম্পাদিত।

৬ Comments

  1. চমৎকার! মন্ত্রমুগ্ধ হলাম।

  2. অনন্য

  3. কবিতার চেয়ে বেশী কিছু….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *