হাসিব উল ইসলাম

তিনটা ‘ট্যাঙ’ কবিতা ও ভূমিকা

ভূমিকা— ট্যাঙ ডাইনেস্টির (৬১৮—৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) সময়কে বলা হয়ে থাকে চৈনিক কবিতার স্বর্ণযুগ। চৈনিক ইতিহাসের মহত্তম কবিতাসমূহ ট্যাঙ রাজবংশের এই তিন শতাব্দী সময় জুড়ে রচিত হয়েছে। এবং প্রায়শই বলা হয়ে থাকে তিন থেকে চারজন কবিশ্রেষ্ঠ এই যুগে বসবাস করতেন। ওয়াঙ হান, কুই হু, এবং লি বাই-এর

ব্যাখ্যা বিজ্ঞান

(সাহিত্য পাঠ এবং সাহিত্য অনুধাবন দুটো আলাদা ব্যাপার।) সাহিত্যের অতি সাধারণ পাঠকের মুখ থেকে অনায়াসে ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের কথা শোনা যায় না। ইংরেজী Hermeneutics (বাংলা হের্মেনেত্য, বাখ্যা বা দ্বিভাষিকতার বিজ্ঞান) বলতে, সাধারণত লিখিত শব্দ থেকে মর্ম্মার্থ বের করা বোঝায়। ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়ার সাথে ঠিক

কুবলা খানের জগতে

এক— কখনো কখনো বাস্তবতা থেকে দূরে সরে গিয়ে কবীরা স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন। নির্ম্মাণ করেন নিজস্ব মায়ার শহর। শব্দের প্রতিবেশিতার ফাঁকে ফাঁকে সুবাসিত হয় পরাবাস্তব সৌন্দর্য্য। যেমন, কোলরিজের কুবলা খান। কুবলা খানের জানাডুর মতন রবীন্দ্রনাথও ‘উজ্জয়নিপুর’ তৈরী করেছেন। পবিত্র আলফ নদীর মত, রবীন্দ্রনাথেও শিপ্রানদী বয়ে

মিমেসিস

(বাস্তব নয়, তবে সত্য হতে পারে) [মিমেসিস (Mimesis) কে বলা যেতে পারে ‘প্রকৃতির আয়না’। প্রাচীন এই গ্রীক শব্দটির গ্রহণযোগ্য বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে ‘অনুকরণ’। অনুকরণ বললে আবার নিন্দাসূচক অর্থে কোন কিছুর ‘শুধু মাত্র কপি’ করার ব্যাপারটাও চলে আসে। ‘রূপায়ণ’ বললেও যথেষ্ট বলে মনে হয় না।

অনুবাদ : তিনটা কবিতা

ডেরেক এ্যালটন ওয়ালকট (জানুয়ারি ২৩, ১৯৩০ — মার্চ ১৭, ২০১৭) একজন সেন্ট লুসিয়ান কবি, নাট্যকার, ও লেখক। ক্যারিবিয়ান ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং উপনিবেশবাদ তাঁর কবিতার অন্যতম বিষয়বস্তু। ব্যক্তিমানুষের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতাও ওয়ালকটের কবিতায় ব্যঞ্জনা পেয়েছে। হোমারীয় মহাকাব্য ওমেরস কবির অনবদ্য সৃষ্টি। তিনি ১৯৯২ সালে সাহিত্যে