গদ্য : ‘সবুজপত্র’ বাংলাসাহিত্যের উজ্জ্বলতর গদ্য অধ্যায়

‘ঠাকুরমার ঝুলি’ লিখে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার তখন সারাদেশে ব্যাপক পরিচিত। তিনি একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। কারণ? ‘সবুজপত্র’-এ কবিতা পাঠিয়েছেন। অথচ ছাপা হচ্ছে না। এ-যন্ত্রণায় কাতর লেখক। কবিতাটি ছাপা হলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। যে লেখক সূক্ষ্ম রসিকতায় সাধারণ পাঠকের চিত্ত আলোড়িত করে এত যশ-খ্যাতি কুড়িয়েছেন,

গল্প : আসাদের শার্ট

…পরাণপ্রিয়, হ্যাঁ হ্যাঁ পরাণপ্রিয়ই, অন্যরা হয়ত বলত ‘প্রাণপ্রিয়’, কিংবা ‘প্রাণের চেয়েও প্রিয়‘, কিংবা ‘প্রাণের মতো প্রিয়’, কিন্তু সেলিমিঞার কাছে তা ‘পরাণপ্রিয়’ই। এটা কিন্তু সে সচেতনভাবেই করে, সত্যি বলতে কি, আগাগোড়াই তার আনকমনে ভরা। নামেও ধাঁধা। সেলিম মিঞা নয়, সেলিমিঞা। হিরোর নামে নাম, তাতে কি, নাম

কবিতা : মজিব মহমমদ এর কবিতা

ক. গোলের খেলা ফুটবল ফুটবলও গোল শুটিংয়ের গয়নাবোঝাই বউয়ের মতো সাজানো বাপ-দাদার এ শহরে কৃষকের ক্ষেতে পঁচতে থাকা সবজির চেয়েও কমদামে মানুষের কাটা তাজা মাথা পাওয়া যায় মাথাও গোল। বারুদে ঠাসা ককটেল গোল গোল সলটেড বিস্কুটের মতো মোড়ানো ও প্যাচানো সূর্যের বোটা খুলে কে যে

কবিতা : চর্যাপদের কবিতা (পঞ্চম কিস্তি)

২৮ উঁচু উঁচু পর্বত, ধূঁধূঁ করছে, ওখানেই থাকে এক বালিকা সস্নিগ্ধ শরীরে ময়ুরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জাফুলের লালচে শিখা শবর, একটুকরো মত্ততা, অত অস্থির হয়োনা সহজিয়া এই ঘরণীই স-ব, দুঃখ করো না বনজুড়ে ফুলের গুঞ্জরণ, আকাশে ডালপালা মেলে ধরেছে কর্ণকুণ্ডলবজ্রধারী উদাসীন শবরী একা একা হাঁটছে পাতার অলংকারে

কবিতা : চর্যাপদের কবিতা (চতুর্থ কিস্তি)

  ত্রিধারায় অনাহত শব্দ বাজে গর্জে ওঠে যেমন ঘন মেঘ তা শুনে ভয়ঙ্কর শয়তান লুটে নেয় সকল আবেগ পাগলা গনেশ তৃষ্ণার ঘোরে ছুটছে নিরন্তর উফ! গুলিয়ে ফেলে গগণ প্রান্তর পাপ পূণ্যের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা চাই আকাশজুড়ে মুক্তির বারতা এর তো বিকল্প নাই রসে রসে

কবিতা : চর্যাপদের কবিতা (তৃতীয় কিস্তি)

১১. মায়াবতী, তোমার ঠোঁটের লোনা জলে পাক খায় অগণন ঢেউ; কাদার ভাঁজে পুঁতে ফেলো আমাকে আপাতমস্তক; ফুঁসে ওঠা চরের চিহ্ন ধরে… ঠিকই লালদাগ পার হয়ে যাব শরীরের প্রতিটি আলপথ; এই যেমন জ্ঞানকে পায়ের নূপুর আর চন্দ্রসমূহ করেছি কানের মাকড়ি রিপু রে, তুই পুড়ে ছাই না

কবিতা : চর্যাপদের কবিতা (প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি)

  দেহ যেন বৃক্ষের সদৃশ; পাঁচখানা ডাল পাঁচ ইন্দ্রিয় সমান চঞ্চলাপ্রবণ এ বুকে একদিকে বাসা বাঁধে মায়ার বিভ্রম, অন্যদিকে আসঙ্গ সুখ আর এ সুখদুখ ভোগ শেষে মৃত্যু কেন অবধারিত আমাদের, অথবা সমাধি রহস্যের কি হতে পারে স্বরূপ, গুরুই ভালো জানে মুক্তির উপায়- ইন্দ্রিয়পটুতা নয়, পরম