কবিতা : হিমাঙ্কের উচ্চারণমালা

বিস্ময়বিন্দু … ই হিহি তা উচ্চারণ কর আর দেখ শীতভাব জেঁকে বসেছে শরীরে! হিমঘ্রাণ প্রত্যাশী উন্মূল দূরত্বে নির্লিপ্ত ছায়ার অংশভাগী সে। মোমের ভাস্কর্য্য! নিজের ছায়ায় ভেঙে যায় জলমুকুর। মেঘ ও মন্তাজ। আগুনপোড়াসন্ধ্যা খুলছে পারস্যের গোপন গোলাপ … বুকের অলিন্দে ছিমছাম বাজতে থাকে মেঘমল্লার রাগ ও

কবিতা : ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ

ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ অঙ্কের গাড়ী— ধর, ১/ ২ /৩— তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশী ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ।   একটা চোখ, ভাগীরথী একটা চোখ, অলকানন্দা— দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা। আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নীচে আইসবার্গের মত নিজেরই ভঙ্গুর

গদ্য : কবিতা কুড়িয়ে পাই, কবিতা করোটীতে

০১. শূন্য গহ্বর দেখলেই করোটীতে কবিতা হাতড়াই। কবিতা কুড়িয়ে পাই। ফুলকে যখন মৃত বলি তখন তা মিথ্যে হলে হতেও পারে কিন্তু কবিতা হয়। বাস্তবে ফুল মৃত হয় না। ফুল মরে না, শুকিয়ে ঝরে যায়। সে বর্ণিল ও সুবাসিত হয়, একদিন শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া আর