আরণ্যক টিটো

সম্পাদক— প্রকৃতিপুরুষ

রুদ্র শায়কের কবিতা

নন্দনচেতনায় হলুদ বিপ্লব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্ধ প্রফেসর সারাদিন লাইব্রেরী খুঁজে শুধু আমাকে পেয়েছে তাহার পাঠযোগ্য আর কোন টেক্সট নায় আমি নাকি তাহার রাষ্ট্র চেতনা আমি বেমালুম রাজনৈতিক জ্ঞান ভুলে গেছি তাহাকে সরল ভাবে জানিয়ে দিলাম রাষ্ট্রের প্রতিটি গিটে গিটে গিরগিটির বসবাস গিনগিন এসব গিটে আমি

সাজ্জাদ শাকিলের কবিতা

জোয়ার (আরুকে) শিউরে ওঠা তরল অন্ধকারে অজস্র জোনাকির হাওয়ায় ওড়ানো স্ফুলিঙ্গ! সহস্র বাজপাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মতো তোমাকে দেখে ফেলি নীলাঞ্জনা— সেখানে করুণ মিনতি ভেঙে পড়ে আচ্ছন্ন পৃথিবীর অপূর্ব এক বেদনায় সীমাহীন অভিমান উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে— যেন তুমি অসহ্য প্রেমের প্রতাপে দিশেহারা সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ঝাপটা

শব্দের অর্থ থেকে জগতের অর্থে

[দার্শনিক ও মনীষী কলিম খানের সহযোগী এবং ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ’ ও ‘সরল শব্দার্থকোষ’ সহ আরো বেশ কিছু ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থের যুগ্ম প্রণেতা, নবতিপর পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীময় রবি চক্রবর্ত্তী মহাশয় রচিত এই নিবন্ধটির প্রথম প্রকাশ ঘটিয়াছিল ‘বঙ্গযান’-এর সহযোদ্ধা, ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ’-এর প্রকাশক সংস্থা ‘ভাষাবিন্যাস’-এর কর্ণধার শ্রীময় পূর্ণেন্দু মিত্র মহাশয়

এই লেখাটি সতর্কীকরণ চিহ্নের মত

ব্যাপারটা সাহিত্যের নয়, ব্যাপারটা জনপ্রিয় হওয়ার: ‘পুরস্কারপ্রদান’-এর উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে পলিটিক্স, আর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যদি স্যাবোটাজ টু দ্যাট ক্রিয়েটিভিটি, তবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান কতটা ক্রিয়েটিভিটির জন্য ‘পুরস্কারপ্রদান’ করে, আর কতটা পাঠকের সঙ্গে পলিটিক্স করে। অথবা এভাবেও বলা যায়— ‘ট্রাপিজ থেকে স্ট্রিপটিজ’ যা যা

পাঠ-পর্য্যালোচনা: ইলিয়াস ও প্রশ্নের শক্তি

লেখক পরিচিতি: আনু মুহাম্মদ। জন্ম ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬; গোপীনাথপুর, জামালপুর। বসবাস ঢাকায়। ১৯৮২ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি একি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগেও একদশকের বেশী সময় শিক্ষকতা করছেন। সমাজ অর্থনীতি ও রাষ্ট্র বিষয়ক জার্নাল ‘সর্বজনকথা’র সম্পাদক।   পাঠ-পর্য্যালোচনা: আনু মুহাম্মদ রচিত ক্রিটিক্যাল প্রবন্ধগ্রন্থ ‘ইলিয়াস

শবে বরাতের সার্ব্বজনীন শুভেচ্ছা

বঙ্গোপসাগরের তীরের বাসিন্দা হিসাবে আমাদের ভূখণ্ডের পরতে পরতে জমে থাকা ঐতিহ্যের প্রতি যদি বিনয়াবনত হৈতে না পারি, তাহা হৈলে আমাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত সুরম্য সংস্কৃতির যেই ঐশ্বর্য্য, তাহার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক । যাপিত জীবনে বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে আমাদেরকে সবচেয়ে বেশী আনন্দ দেয় যাহা, তাহা

বুদ্ধিজীবী = মেধাশ্রমিক নাকি চেইনবাঁধা কুকুর?

ইতিহাসে রয়েছে, রোমা রোলাঁ তাঁহার বন্ধুর কাছে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা সরকারের চেইনবাঁধা কুকুর’। পাশ্চাত্যে কেউ কেউ বুদ্ধিজীবী বলিতে বুঝেন ‘মেধাশ্রমিক’। কেউ তাঁহাদের বলেন ‘মানবীয় ট্রান্সফরমার’, কেউ বা ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘আরে! ওরা ত মেকি মেধাসম্পন্ন উন্নসিকের দল’। আর হিটলারের আমলে নাজি ধারাভাষ্যকাররা বুদ্ধিজীবীদের ‘মেধাপশু’ নামে

‘চ’ ব র্গী য়

… চ্-য়ে চয়ণ্, চ-য়ে চায়ী, চ-য়ে চার এইটুকু না জেনেই কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে আলাপনে ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি মৌমাছি সঞ্চয়পুরাণে করিতেছে (চয়ণ্) মধুর সংসার, মৌচাকবিতান, বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ! … চাঁদ জানে না— চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায় (মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ! রূপালী আলোর

‘হেরমান হেস’ বিরচিত ‘সিদ্ধার্থ’ : পাঠ পর্য্যালোচনা

লেখক পরিচিতি: ১৮৭৭ সালের ২ জুলাই দক্ষিণ জার্মানীর ছোট্ট-সহর উইটেম্বার্গের কালভ-এ হেরমান হেসের জন্ম।‌ বাবা জোহান্স হেস। পাদরী ছিলেন। পরে, কালভ পাবলিশিং সার্ভিস-এর পরিচালক। মা নী গুনডার্ট। হেসের নানা হেরম্যান গুনডার্ট সেকালের বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও পণ্ডিত ছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হেরমান হেস ১৯৪৬ সালে নোবেল

তবুও বৃষ্টি হোক ও অন্যান্য কবিতা

সমস্ত আশার আলো বেদনার অশ্রুধারা অক্লান্ত হয়ে ঝরছে যখন একজোড়া শালিকের চোখে প্রেমের বিলাস তখন। জীবনের বিষন্ন নীরবতার সময় পাহাড় সমান ব্যথা, ঠোঁট নেড়ে নেড়ে শালিক দু’টা শোনাল আশার কথা। যুগ যুগান্তর এ’মন করে ব্যর্থতার ধুলা উড়েছে পথে, তাই বলে কেউ হঠাৎ করে যায়নি থেমে

সহপাঠ ও অন্যান্য কবিতা

সহপাঠ আহা সহপাঠী* সহপাঠ আমার* স্বাকারের ভিন্নতাটুকু বৈরিতা ভেবে (অনু)শীলন কর না বিচ্ছিন্নতাবাদ* শরীরের খাঁদে রেখ না পুঁতে আত্মঘাতী বিষ্পোরক** পাঠ কর তোমার সহপাঠির নামে* আমরা দুজন আদি শূন্যের তাফছির* দু’টা বুদবুদ* একে অপরের সহপাঠ** চল মুছে দিই মুছে নিই* বিশ্বাসের ক্ষত* বঞ্চনার ইতিহাস* মিলাই

বাঙ্গালা বনাম সংস্কৃত : কষ্টকল্পিত বৈপরীত্য

১— সম্প্রতিকালে যাঁহারা বাঙ্গালার বানান ও ব্যাকরণ সংস্কারের চেষ্টায় তৎপর, এক হিসাবে তাঁহারা আমাদের উপকার করিয়াছেন। তাঁহারা আমাদের চিন্তাভাবনার শিকড় ধরে নাড়া দিয়াছেন। তাঁহারা শুধু বানান ব্যাকরণের থেমে যাননি, তাঁহারা বাঙ্গালাভাষার চালচলন পর্য্যন্ত শুধরে দিতে চাহিতেছেন। তাঁহারা বানান ও ব্যাকরণকে সংস্কৃতের (অর্থাৎ সংস্কৃত বানান ও