পরমা প্রকৃতি জানে, পরমপুরুষে, লিঙ্গের কাহিনী জানে শিবের লাঙ্গল! অকর্ষিত মাঠে, ‘এই থিতি থিতি’ বোলে হালের বিছাল চষে হলরেখা, মাটির জনন!… শিল্প হলো অর্দ্ধনারীশ্বর, যাহার অর্দ্ধেক শিব অর্দ্ধেক পার্ব্বতী! মন রে, কৃষিকাজ জান না, আনন্দসাধনে! মেঘলা মনের চুম্বনে, জল ঝরঝর বরিষনে অভিভূত চারণ কৃষক কালিদাস…
আহা কালা, রাঘবনন্দন তুমি বোয়ালস্বভাবা!…. আহা রে রাঘব, আহা রে বোয়াল, কী এমন রূপ রস বর্ণের প্রথায় ধরি রূপ এসেছো মাৎস্যন্যায়ে, জলাঙ্গির ঢেউয়ে ভেজা হিজলডাঙগায়; করাল দাঁতের আগ্রাসনে কাঁপে চা রি ধা র!… পদ্মদীঘির জলে মাছের মেয়েরা ভুলেছে সাঁতার, ডুবডুবখেলা, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ধিঙ্গি তালে নাচায়…
একটু পিছাতে চাই/ পরাণ কথার নীড়ে/… গতির লালিত্যে/ ধনুক যে ভাবে বেঁকে যায়/ পিছনের দিকে/… কৃষ্ণকালা জানে/ পৃথিবীর কুরুক্ষেত্রে/ অর্জ্জুনের/ পশ্চাদগমনে লুকায়িত ছিলো/ মহাবীর/ কর্ণবধ /… একটু পিছাতে চাই/ অন্ত্যজ মাটির কাঁচাসোনায়/ জেনে নিতে কর্ণের বেদনা/… টা ন টা ন / ধনুকের ছিলাময়/ বুড়ো আঙুলের…
… জেনেছে ফ্রয়েড/ সুরভিত/ ফুলের চারপাশে যে কাঁটা/ সে-ও চাকুর ঝকমারি/ বাঁচার আকুতিময়/… গতিময়/ নাচনমুখর/ সাপের যে চলা/ দোলায়িত/ সেখানেও আছে/ সৌন্দর্য্য/ ও ফণা/… আর/ মানুষের/সৌন্দর্য্যের ইতিহাসে/ হাতাহাতি/ খামচাখামচি/ কামড়াকামড়ি/ কেবল রূপান্তরিত হয়েছে/ হচ্ছে/ হবে/ (প্র)যুক্তি বান্ধবে/হাতের ইয়ারে> হাতিয়ারে/— প্রকৃতির স্বভাব কি মানুষ খণ্ডাতে পারে/……
অভিবাসী মেঘ, তুমি কোথা যাও? জলের ডানায় উড়ে উড়ে যাও কোন্ সে দূরের গাঁয়? … এইখানে এস। কাজলা দীঘীর জলে ভাসা দলকলমীর পাপড়ির ওপর চুপটী করে বস। … অভিবাসী মেঘ, তুমি কোথা যাও? এইখানে এস। শোন, ধানক্ষেতের আড়ালে কাঁদছে সদ্যজাত যিশু! শঙ্খলা নদীটীর নীড়ে, গণকবরের…
… যিনি ব্যক্ত করেন তিনিই ব্যক্তি ও বক্তা! … ব্যক্ত(ই)র ব্যক্ত হওয়ার যে প্রবণতা, তাহার মাঝেই প্রতিষ্ঠানের রূপচিন্তন নিহিত! যা সে প্রয়োগ করেছে জীবন আচারের মর্ম্মে, এখানেই তাহার প্রবাহ, বিকাশ! প্রবাহের নাম, নদী! প্রবাহিত স্রোতধারায় নদী বাঁক নেয়, রূপ বদলায়! … তেমনি ব্যক্ত(ই)র ব্যক্তভাববিশ্বের প্রবাহমানতায়…
বার্লিনের এক ব্যাংকারে আধপোড়া একটি মৃতদেহ হয়ে পরে রইলেন অ্যাডলফ হিটলার, তারিখ ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৫। তার আগে পার্টিজানরা মিলানের রাস্তায় চিনতে পেরে যায় ছদ্মবেশে থাকা বেনিতো মুসোলিনিকে; আর তারপর তাকে তার উত্থানভূমি মিলানের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দেয়। এতোটাই ঘৃণা মৃতদেহটা নামাতেও আসেনি ইতালির কোনো মানুষ।…
স্বরবর্ণের উৎপত্তি: যে কোন সৃষ্টির মূলে শক্তি বিদ্যমান। আমাদের তন্ত্রশাস্ত্র মতে পরমাপ্রকৃতির আদি মূল শক্তি বিভাজিত হয়ে “সপ্তশক্তি’’র সৃষ্টি। তাহাই সপ্তরূপে, সপ্তসুরে, সপ্তবর্ণে ইত্যাদিতে ক্রমবিকশিত হয়। তাদেরই প্রতিনিধিত্বকারী আমাদের সাতটি মূল স্বরবর্ণ— ঃ > অব্যক্ত শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ং > জ্ঞানশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী অ > ইচ্ছাশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ই >…
বেদ : যাহা দ্বারা দিশাগ্রস্থভাবে বিদিত বা জ্ঞাত হওয়া যায়। আদি মানব যখন প্রকৃতি থেকে লব্ধ জ্ঞানগুলোকে সীমায়িত করে মন্ত্রে রূপ দেয় তখনই সে সর্ব্বপ্রথম প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৃত্রিমতা বা দিশাগ্রস্থতায় পতিত হয়, যা আজও সমানতালে বিরাজমান। আর এটাই ছিল তৎকালীন আদি সনাতন শৈবিক…
০১. শূন্য গহ্বর দেখলেই করোটীতে কবিতা হাতড়াই। কবিতা কুড়িয়ে পাই। ফুলকে যখন মৃত বলি তখন তা মিথ্যে হলে হতেও পারে কিন্তু কবিতা হয়। বাস্তবে ফুল মৃত হয় না। ফুল মরে না, শুকিয়ে ঝরে যায়। সে বর্ণিল ও সুবাসিত হয়, একদিন শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া আর…
