প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ১৬)

ছয়টা কবিতা

জীবনানন্দ ও সচ্চিদানন্দ সংকেত জনপদ মুখরিত যুদ্ধের সম্ভাবনায়* চতুর্পাশ্ব ঘিরে আছে গোলাবারুদের দঙ্গল* ক্ষেপাণাস্ত্রের মতো মানুষ তাক হয়ে আছে মানুষের দিকে* চোখে বুকে পুষছে ভয়ানক বাঙ্কার* উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়* তবু জীবনের জীবনানন্দ এক ঘাসফুলে* পাখির পালকে ঢেকে দেয় কৃষ্ণগহ্বর* ভালবাসার নামে বিলি করে সংঘাত বিরোধী সবুজ

সম্প্রদানে সপ্তমী

পিপীলিকা পিপীলিকা— ছয় পায়ে পিলপিল চলি… তন্ময়ের মন কিছুটা দমে গিয়েছিল যখন বৃষ্টি থামার নামগন্ধ নেই। ভেবেছিল ছুটির কয়দিন আনন্দের সাথে বেড়াবে, মাঠে-ঘাটে ছুটে বেড়াবে, তা নয়, একটানা বৃষ্টি শুরু হল। কিন্তু এই মুহূর্ত্তে তন্ময়ের মন ভাল হওয়া শুরু হয়েছে, কারণ ভাল লাগার অনেক কারণ

তিনার আঁকা ষাঁড়ের ছবি

তিনা তা’র আম্মুকে বলল, জান আম্মু, আমার খাতায় আঁকা ঐ লালরঙের ষাঁড়টা, আমাকে দেখলেই শিং দিয়ে গুঁতা মারার জন্য ফোঁসফোঁস করে তেড়ে আসে। তাই আমি দড়ী দিয়ে কষে বেঁধে রেখেছি। তা না হলে দুষ্টু ষাঁড়টা আমাকে মাথায় তুলে আছাড় দিত। আমি নাকি ওকে ঠিকমত আঁকতে

শরীর শরীফ : দেহ থেকে মন, অনির্ব্বাণ যাত্রা

শরীর কেবলই শরীর না, ইহা শরীর শরীফ! … শরীর শরীফ বিহীন হয় না প্রেম, মজে না মজমা! মন হল, শারীরিক রসায়নের নূর-এ কেবলা, আশেকান! … অতএব নত হও ইবাদতে, আচমন করো শরীরসমগ্র/জলজ প্রপাত! … মুরশিদ, বাহো তরী, বাহো গো ত্বরী-কা, লবণের অপার রহস্য খুঁজে পাবে

বর্ণ ও বর্ণমালার কথা

বর্ণ: বর্ণ— বরেণ্য যে। বর্ণ হচ্ছে রঙ যা দিয়ে রঞ্জিত করা হয়। বর্ণ হচ্ছে caste যার দ্বারা জাতিভেদ হয়। আবার বর্ণ হচ্ছে letter যার দ্বারা আমরা লিখি। বর্ণ থেকে বর্ণন, বর্ণক, বর্ণচোরা, বর্ণপরিচয়, বর্ণসঙ্কর, বর্ণাশ্রম ইত্যাদি। যাকে বরণ করা হয় বা করতে হয় তাই বর্ণ

বাঙ্গালাভাষীর ছড়ায় যা সব ছড়ানো আছে [শুধুই অর্থহীন ছড়া! না কি উন্নততর সামাজিক চেতনার জীবন-দর্শন!!!]

‘ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি’ কিংবা ‘চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেছে’, ‘তাঁতীর বাড়ী ব্যাঙের বাসা’— এ’ধরনের ছড়ার অর্থ হয় না বলেই আমরা জানতাম। এইসব ছড়ায় নাকি ছন্দ মেলানোর জন্য প্রচুর অর্থহীন ধ্বন্যাত্মক শব্দ রয়েছে, কিন্তু কোনো মানে নেই। এখন দেখা যাচ্ছে, সে ধারণা ভুল। বাঙ্গালাভাষীর এই ছড়াগুলি অত্যন্ত

স্বরূপ সুপান্থের কবিতা

পরমোত্তীর্ণ ঢেউ শরীর থেকে ঘষেমেজে তুলে ফেলি সকল ঢেউ আমার সম্পূর্ণ শরীর-সমুদ্র, দীর্ঘকাল ভেজা আরক্ত গাঙ্গেয়, এইখানে উত্থান-পতন, রক্তজীব জ্বলন্ত আমার কোষ, বংশগতির লতিকা ধরে আমার সমুদ্রে লেখা আমার জীবন, ভেসে আছে জলের ওপরে বিচিত্র গাঙেয় রক্ত, অববাহিকায় আমার মেধার কুহক পুরুষ, শরীরের কুহক প্রকৃতি

শেখ মাহমুদা সুলতানা রোমা’র কবিতা

ভাঙ্গন আপনার রক্ত কণা ভেঙ্গে ভেঙ্গে যায়, আহ্… ভাঙ্গন কি আজকের? সৎ ভেঙ্গে ভেঙ্গে সতীদাহ, গুণে গুণে একান্ন পীঠ, চিৎ ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিকার, ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আনন্দ পায় নাই ভয়ের আকার? সাংখ্য ভেঙ্গে ভেঙ্গে স্মৃতি। বৃক্ষ ভেঙ্গে ভেঙ্গে হিজল কাঠের চিতা, সমুদ্র ভেঙ্গে ভেঙ্গে সেই সে

কথোপকথন : রবি চক্রবর্ত্তী ও গঙ্গোত্রী চন্দ

[কিছুদিন আগে চলে গেল (ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাবিজ্ঞানের পরম কাণ্ডারী) শ্রদ্ধেয় প্রিয় শ্রীময় রবি চক্রবর্ত্তীর একানব্বইতম জন্মদিন (৬ই কার্ত্তিক, ইংরেজী ২৪শে অক্টোবর, ১৯২৯)। স্মরণীয় ও শুভ এই দিনটিকে উপলক্ষ করে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারটি পরিবেশন করা হল। ২০১৯ এর একেবারে গোড়ার দিকে ফেব্রুয়ারী-মার্চ্চ মাসে আমাদেরই সতীর্থ শ্রীময় গঙ্গোত্রী চন্দ

লাঙ্গল বান্ধব : কৃষি ও রাধাকৃষ্ণের কৃষিতাত্ত্বিক পরিচয়

পরমা প্রকৃতি জানে, পরমপুরুষে, লিঙ্গের কাহিনী জানে শিবের লাঙ্গল! অকর্ষিত মাঠে, ‘এই থিতি থিতি’ বোলে হালের বিছাল চষে হলরেখা, মাটির জনন!… শিল্প হলো অর্দ্ধনারীশ্বর, যাহার অর্দ্ধেক শিব অর্দ্ধেক পার্ব্বতী! মন রে, কৃষিকাজ জান না, আনন্দসাধনে! মেঘলা মনের চুম্বনে, জল ঝরঝর বরিষনে অভিভূত চারণ কৃষক কালিদাস

রাঘব বোয়াল : ঔপনিবেশিক বোয়ালের আগ্রাসন চিত্র

আহা কালা, রাঘবনন্দন তুমি বোয়ালস্বভাবা!…. আহা রে রাঘব, আহা রে বোয়াল, কী এমন রূপ রস বর্ণের প্রথায় ধরি রূপ এসেছো মাৎস্যন্যায়ে, জলাঙ্গির ঢেউয়ে ভেজা হিজলডাঙগায়; করাল দাঁতের আগ্রাসনে কাঁপে চা রি ধা র!… পদ্মদীঘির জলে মাছের মেয়েরা ভুলেছে সাঁতার, ডুবডুবখেলা, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ধিঙ্গি তালে নাচায়

উদ্‌যাপনের কথামালা : সভ্যসংঘের নিষেধাজ্ঞা বনাম একলব্য বিশ্বের জাগরনের বয়ান

একটু পিছাতে চাই/ পরাণ কথার নীড়ে/… গতির লালিত্যে/ ধনুক যে ভাবে বেঁকে যায়/ পিছনের দিকে/… কৃষ্ণকালা জানে/ পৃথিবীর কুরুক্ষেত্রে/ অর্জ্জুনের/ পশ্চাদগমনে লুকায়িত ছিলো/ মহাবীর/ কর্ণবধ /… একটু পিছাতে চাই/ অন্ত্যজ মাটির কাঁচাসোনায়/ জেনে নিতে কর্ণের বেদনা/… টা ন টা ন / ধনুকের ছিলাময়/ বুড়ো আঙুলের