লেখক নির্দ্ধারিত বানান রীতি (Page ২)

আলাপপর্ব ও অন্যান্য কবিতা

আলাপপর্ব সা : মেঘের পাত্রে দ্যাখো জীবন ভাসছে যুগপৎ.. তা : এর চে’ বৃষ্টি ভালো। সা : মানুষ ছুটছে মানুষের ভয়ে, পালাচ্ছে হরদম। তা : চলো বাড়ি ফিরি কিছু ছলাৎ ছলাৎ শব্দে… সা : আগুনের কোনও উষ্ণতা নাই না কি! তা : লাইচ্যুত বগির কিনারে

মজিব মহমমদ এর কবিতা

ক. গোলের খেলা ফুটবল ফুটবলও গোল শুটিংয়ের গয়নাবোঝাই বউয়ের মতো সাজানো বাপ-দাদার এ শহরে কৃষকের ক্ষেতে পঁচতে থাকা সবজির চেয়েও কমদামে মানুষের কাটা তাজা মাথা পাওয়া যায় মাথাও গোল। বারুদে ঠাসা ককটেল গোল গোল সলটেড বিস্কুটের মতো মোড়ানো ও প্যাচানো সূর্যের বোটা খুলে কে যে

কর্ণসারথি : একটি পুনরাধুনিক কবিতা

। কৃষ্ণ : বসুষেণ, হাতে নিলে রথের লাগাম।        তা তুমি সারথ্য নিয়ে ভালোই করেছ-        কথাগুলো হবে আজ একান্ত গোপনে।        শ্রোতা নেই। সাক্ষী নেই। দিব্যচোখ নেই।        তবে দেখো অঙ্গরাজ, যদি শেষে তুমি        পথ ভুলে চলে যাও কৌরব শিবিরে-        গোপাল আটক

চর্যাপদের কবিতা (পঞ্চম কিস্তি)

২৮ উঁচু উঁচু পর্বত, ধূঁধূঁ করছে, ওখানেই থাকে এক বালিকা সস্নিগ্ধ শরীরে ময়ুরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জাফুলের লালচে শিখা শবর, একটুকরো মত্ততা, অত অস্থির হয়োনা সহজিয়া এই ঘরণীই স-ব, দুঃখ করো না বনজুড়ে ফুলের গুঞ্জরণ, আকাশে ডালপালা মেলে ধরেছে কর্ণকুণ্ডলবজ্রধারী উদাসীন শবরী একা একা হাঁটছে পাতার অলংকারে

চর্যাপদের কবিতা (চতুর্থ কিস্তি)

  ত্রিধারায় অনাহত শব্দ বাজে গর্জে ওঠে যেমন ঘন মেঘ তা শুনে ভয়ঙ্কর শয়তান লুটে নেয় সকল আবেগ পাগলা গনেশ তৃষ্ণার ঘোরে ছুটছে নিরন্তর উফ! গুলিয়ে ফেলে গগণ প্রান্তর পাপ পূণ্যের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা চাই আকাশজুড়ে মুক্তির বারতা এর তো বিকল্প নাই রসে রসে

চর্যাপদের কবিতা (তৃতীয় কিস্তি)

১১. মায়াবতী, তোমার ঠোঁটের লোনা জলে পাক খায় অগণন ঢেউ; কাদার ভাঁজে পুঁতে ফেলো আমাকে আপাতমস্তক; ফুঁসে ওঠা চরের চিহ্ন ধরে… ঠিকই লালদাগ পার হয়ে যাব শরীরের প্রতিটি আলপথ; এই যেমন জ্ঞানকে পায়ের নূপুর আর চন্দ্রসমূহ করেছি কানের মাকড়ি রিপু রে, তুই পুড়ে ছাই না

অসামান্য অতিথি

তার একটা আলাদা রকমের দীপ্তি ছিল, না হলে কী এই আমি অত সহজেই আলোকিত হই! সে ছিল এক সম্মোহনী আলো। আমরা দু জনে সেই কবে জলের মধ্যে ঘর বেঁধেছি ‘জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার’  শূন্য করে দিয়ে! দু’জনের প্রথম যৌবন যে নিয়মে চলেছে, তা অচল এখন ।

আট কুঠুরি নয় দরজা

— সমরেশ মজুমদারের একটি বইয়ের নাম “আট কুঠুরি নয় দরজা”। আট কুঠুরি নয় দরজা মানে কী, লিমন ভাই? : নীলা, প্রথমে একটি মজার কথা বলি, অনেক সময় প্রেসক্রিপশনে লিখতে দেখা যায়— Rx: Antazol nasal drop দুই ফোঁটা করে দুই নাকের ছিদ্রপথে দিনে ৩ বার —