প্রমিত বানান রীতি

মঈন চৌধুরী ও সমকালীন চিহ্নায়কের মূল্য উপলব্ধি

বিয়োগপর্বের অন্যতম বাতিঘর মঈন চৌধুরী, কবি, চিত্রকর, চিন্তক, তত্ত্ব ও ভাষা বিশ্লেষক। সঙ্গীতে রয়েছে তার আকণ্ঠ অনুরাগ। ভূ-সংস্কৃতিকে তিনি বিন্যাস করতে প্রয়াসী সমকালীন বৈশ্বিক চেতনায়, বিনির্মাণ দ্যোতনায়, ভেদ রেখাকে সনাক্ত করে অভেদের সন্ধানে তার যাত্রা অব্যাহত। তত্ত্বের গভীরে পৌঁছে হৃৎ-অনুভবের তাড়নায় নিজে একীভূত হোন না

মায়া শহরে মধ্যরাত ও অন্যান্য কবিতা

মায়া শহরে মধ্যরাত মধ্যরাতের মায়া শহরে হেঁটে যাই … আছড়ে পড়ছে এজটেক ড্রাম বিটস নৃত্যপর উচ্ছ্বাস লোহিত কণিকায় চোখ ধাঁধাচ্ছে ক্রিষ্টাল বলের বিচ্ছুরণ তুমি সাথে থাকলেই উৎসব! জেগে ওঠে প্রাচীন কলরব … জাগরণ কড়া নাড়ে ঘুমের দরজায় স্পর্শের মত দূর … নিঃশ্বাসের সন্নিকট! তুমি সাথে

সোহেল ইয়াসিনের কবিতা

শূন্য ও জীবন যোগফল শূন্য জেনে যে জীবন বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যায় আয়নায় তার প্রতিবিম্ব ওজনহীন হয়ে ভঙ্গিটুকু ফেলে রাখে জননী মৃত্তিকার মতন পাতাভরা অরণ্যে নির্জনতা প্রসব করে পলাশের ছায়ার পাশে একটা শূন্য ঝুলে পড়ে বেশ জরাযু খালি দেখে সে শূন্য আবার নিষেকের ব্যঞ্জনা তোলে

তাজমহল: প্রযুক্তিগত ও স্থাপত্যগত বিস্ময়

তাজমহল শুধুমাত্র একটা সৌধ নয়, বরং শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য এবং প্রযুক্তিবিদ্যার এক সম্মিলিত রূপ। তবে আজ শুধুমাত্র এটার প্রযুক্তিবিদ্যাগত অভিনবত্ব নিয়েই আলোচনা করব। আর একদিন আলোচনা করব এই স্থাপত্যের অন্তর্নিহিত দর্শন এবং সাহিত্যে এর আর্কিটাইপ এবং আর একদিন করব মুঘল আমলে শোষণ এবং মানুষের

রুদ্র শায়কের কবিতা

নন্দনচেতনায় হলুদ বিপ্লব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অন্ধ প্রফেসর সারাদিন লাইব্রেরী খুঁজে শুধু আমাকে পেয়েছে তাহার পাঠযোগ্য আর কোন টেক্সট নায় আমি নাকি তাহার রাষ্ট্র চেতনা আমি বেমালুম রাজনৈতিক জ্ঞান ভুলে গেছি তাহাকে সরল ভাবে জানিয়ে দিলাম রাষ্ট্রের প্রতিটি গিটে গিটে গিরগিটির বসবাস গিনগিন এসব গিটে আমি

তবুও বৃষ্টি হোক ও অন্যান্য কবিতা

সমস্ত আশার আলো বেদনার অশ্রুধারা অক্লান্ত হয়ে ঝরছে যখন একজোড়া শালিকের চোখে প্রেমের বিলাস তখন। জীবনের বিষন্ন নীরবতার সময় পাহাড় সমান ব্যথা, ঠোঁট নেড়ে নেড়ে শালিক দু’টা শোনাল আশার কথা। যুগ যুগান্তর এ’মন করে ব্যর্থতার ধুলা উড়েছে পথে, তাই বলে কেউ হঠাৎ করে যায়নি থেমে

কবিতা ভাবনা, এক : শুশ্রূষার সংস্কৃতি

কবিতার সঞ্জীবনী শক্তির কথা বলতে গেলে, অবশ্যই পাঠকের অভিজ্ঞতা এবং কবির অভিজ্ঞতাকে আলাদা করতে হবে। একটা কবিতা পাঠকের জন্য এক ধরণের মন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম : বিধ্বস্ততাকে বিন্যাস দিয়ে কোন আকৃতি বা অভিকর্ষ ছাড়াই কবিতা অন্ধকার থেকে তার পাঠককে উদ্ধার করে; অবাধ প্রপতনের জন্য কবিতা

নির্ব্বাণের মায়া ও অন্যান্য কবিতা

কবন্ধ মাথাটা গা বেয়ে যদি গড়িয়ে গড়িয়ে দু’পায়ের কাছে নেমে আসে মাটির সকাশে মানুষ কি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? তবুও দাঁড়িয়ে থাকা আপাদগলা মানুষ দেহের ভেতর থেকে পাঁচটা তুখোড় চোখ জেগে ওঠে আর মাথার তিনটা চোখে স্থির চেয়ে থাকে পরষ্পরের বিস্ময়ে অপলক। ভ্রু-মধ্যের চোখ হতে

সত্তা ও সৌন্দর্য : রবীন্দ্রনাথ ও আইনষ্টাইনের কথোপকথন

Tagore: You have been busy, hunting down with mathematics, the two ancient entities, time and space, while I have been lecturing in this country on the eternal world of man, the universe of reality. ঠাকুর: আপনি অঙ্কশাস্ত্রের দুইটা প্রাচীন সত্তা, স্থান এবং কাল-এর অনুসন্ধানে নিজেকে

‘সবুজপত্র’ বাংলাসাহিত্যের উজ্জ্বলতর গদ্য অধ্যায়

‘ঠাকুরমার ঝুলি’ লিখে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার তখন সারাদেশে ব্যাপক পরিচিত। তিনি একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। কারণ? ‘সবুজপত্র’-এ কবিতা পাঠিয়েছেন। অথচ ছাপা হচ্ছে না। এ-যন্ত্রণায় কাতর লেখক। কবিতাটি ছাপা হলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। যে লেখক সূক্ষ্ম রসিকতায় সাধারণ পাঠকের চিত্ত আলোড়িত করে এত যশ-খ্যাতি কুড়িয়েছেন,

রেনে দেকার্ত : ‘ডিসকোর্স অন মেথড’

ইতিহাসে দেকার্তের স্থান পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দার্শনিক আর ঐতিহাসিক এক বাক্যে মেনে নেবেন যে দেকার্ত আধুনিক দর্শনের জনক— অন্ততপক্ষে এ-সময়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক। ‘দর্শন জ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রসরমানতার পথ দেখায়’— এই আপ্তবাক্য মেনে নিলে, খুব স্পষ্টভাবে সমস্ত ঐতিহাসিক ঘটনাকে ডিঙ্গিয়ে দেকার্তের চিন্তাকে গ্রিসে জ্ঞানের উন্মেষ

‘বিনোদবিহারী চৌধুরী’ বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের শেষ জীবিত দলিল

[সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন মজিব মহমমদ, সহায়তায়— আরণ্যক টিটো ও অলক চক্রবর্তী] যদ্দুর জানি, দিনটি বোধহয় শনিবার ছিল, ছিল ঘুটঘুটে অমাবশ্যাও। আট কি সাড়ে আট’টা বাজে তখন। ভীষণ ভীতসংকুল চট্টগ্রামের অভয়মিত্র শ্মশানঘাটে ভূতপ্রেতের ভয়ে দিনের বেলায়ই যেখানে কেউ যেতে-আসতে সাহস করত না, সেখানে বিপ্লবি মন্ত্রে দীক্ষিত