গদ্য : ভ থেকে ভাষা

‘ভ’ বর্ণের অর্থ ভাতি যুক্ত যে অর্থাৎ যে সত্তা অস্তিত্বলাভ করে দীপ্তমান। ভ-এর আধার— ‘ভা’ ভা-এর দিশাগ্রস্থ বিচ্ছুরণ— ‘ভাষ’ ভাষ-এর আধার— ‘ভাষা’ অর্থাৎ যে কোনো শোভমান সত্তা নিজেকে যে সব শব্দ, রস, রূপ বা গন্ধের মাধ্যমে প্রকাশ করে তাকেই তার ভাষা বলা যায়। তাই পাখীর

গদ্য : চন্দ্রবিন্দু কথা

সংস্কৃতে ং কে বিন্দু (.) দিয়েও লেখা হয়। আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রমতে বিন্দু থেকেই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং সৃষ্টির আদি মহাশব্দ এই ‘ং’ (ওম > ওঁ) ধ্বনি যা আবার ভাষার জগতে ‘অব্যক্ত’ রহস্যরূপিনী হিসেবে পরিচিত। সে যাই হোক, রহস্য রূপিনী ‘ং’ এর আরো পাঁচটি পঞ্চ-বর্গীয় রূপ

প্রবন্ধ : ভাষা

‘ভ’ বর্ণের অর্থ ভাতি যুক্ত যে অর্থাৎ যে সত্তা অস্তিত্বলাভ করে দীপ্তমান। ভ-এর আধার— ‘ভা’ ভা-এর দিশাগ্রস্থ বিচ্ছুরণ— ‘ভাষ’ ভাষ-এর আধার— ‘ভাষা’ অর্থাৎ যে কোনো শোভমান সত্তা নিজেকে যে সব শব্দ, রস, রূপ বা গন্ধের মাধ্যমে প্রকাশ করে তাকেই তার ভাষা বলা যায়। তাই পাখীর

গদ্য : স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উৎপত্তি

স্বরবর্ণের উৎপত্তি: যে কোন সৃষ্টির মূলে শক্তি বিদ্যমান। আমাদের তন্ত্রশাস্ত্র মতে পরমাপ্রকৃতির আদি মূল শক্তি বিভাজিত হয়ে “সপ্তশক্তি’’র সৃষ্টি। তাহাই সপ্তরূপে, সপ্তসুরে, সপ্তবর্ণে ইত্যাদিতে ক্রমবিকশিত হয়। তাদেরই প্রতিনিধিত্বকারী আমাদের সাতটি মূল স্বরবর্ণ— ঃ > অব্যক্ত শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ং > জ্ঞানশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী অ > ইচ্ছাশক্তির প্রতিনিধিত্বকারী ই >

গদ্য : বেদ, বেদব্যাস, কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস, বেদে বা জিপসী

বেদ : যাহা দ্বারা দিশাগ্রস্থভাবে বিদিত বা জ্ঞাত হওয়া যায়। আদি মানব যখন প্রকৃতি থেকে লব্ধ জ্ঞানগুলোকে সীমায়িত করে মন্ত্রে রূপ দেয় তখনই সে সর্ব্বপ্রথম প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৃত্রিমতা বা দিশাগ্রস্থতায় পতিত হয়, যা আজও সমানতালে বিরাজমান। আর এটাই ছিল তৎকালীন আদি সনাতন শৈবিক