আরণ্যক টিটো (Page ৩)

সম্পাদক— প্রকৃতিপুরুষ

বর্ষার বনজ ঘ্রাণ ও অন্যান্য কবিতা

উত্তর-পূর্ব্বাঞ্চল ছিল এক বালকজীবন, পাহাড় চুম্বক শিশিরের রঙে ডুগডুগ বিক্ষিপ্ত স্বপ্নেরা জমে হয়েছিল বটে রহোস্যপন্যাস ও মাসুদরানা হাতের মুঠোয় রক্ত প্রজাপতি নির্ব্বাচিত আয়ু পেয়ে দেখে জমীনে শিল্পের ঘোর … রজতধারা সে কি তিয়াসা! ভাটির কালনী নদী সুরের আগুনে ঢেলে দেয় মোহমায়া চাঁদের আলোয় কক্ষপথে পৌঁছেছেন

সময়ের ষড়স্তর ও অন্যান্য কবিতা

সময়ের ষড়স্তর তথ্য— জীর্ণ অন্ধকারের নির্ম্মল আলো, ধ্রুবজ্ঞান; শিশিরের শব্দের মত নির্ঝর বিন্দু বিসর্গ! কবিতা— চৈতন্য বিভোর অলীক ঘোর তানপুরায় বাজা নৈবদ্য সুর ও স্বর প্রেম— অভিন্ন আত্মার নৃত্য ঝঙ্কার, ঘুঙ্গুর পায়ে বেরিয়ে আসা সঞ্জীবিত প্রাণেশ্বর! বিরহ— অকুণ্ঠ হৃদয়ের আরাধ্য দাবানল, নিমিত্ত অঙ্গারে জ্বলেপুড়ে বিশুদ্ধ

কবিতা ভাবনা, এক : শুশ্রূষার সংস্কৃতি

কবিতার সঞ্জীবনী শক্তির কথা বলতে গেলে, অবশ্যই পাঠকের অভিজ্ঞতা এবং কবির অভিজ্ঞতাকে আলাদা করতে হবে। একটা কবিতা পাঠকের জন্য এক ধরণের মন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম : বিধ্বস্ততাকে বিন্যাস দিয়ে কোন আকৃতি বা অভিকর্ষ ছাড়াই কবিতা অন্ধকার থেকে তার পাঠককে উদ্ধার করে; অবাধ প্রপতনের জন্য কবিতা

রুচি রসের ভাবনা

* রূচি > √রুচ্ + ই।  ই > সক্রিয়ন/গতিশীল/আধেয়/পুরুষ। রূচি প্রবাহিত/চলমান। * রূচী > √রুচ্ + ঈ।  ঈ > সক্রিয়/গতিশীলতা/আধার/প্রকৃতি। রূচী বদ্ধ/অপ্রবাহিত/অচলমান।   রক্ষণ কিংবা রহন অথবা ভক্ষণের নবোদ্দীপ্ত চয়নের সক্রিয়ন/গতিশীল-ই হৈল রুচি। আবার বঙ্গীয় শব্দকোষ বলিতেছে, রুচ্ + ই – (দিপ্তী + সক্রিয়ন) >

সাম্পান ও অন্যান্য কবিতা

ঋক ঠিক দুপুরের আগে টোকা দেয়, অস্থির হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পড়ে সংহিতা স্বপ্নহার দুপুরের শেষ নেই সাঁকো-জোড়া এবং ভাঙ্গে গড়ে জোছনা ফিরে আসে বারবার লাউফুল উত্তাপে কিভাবে হেসে ওঠে তীক্ষ্ণ লোভে কিভাবে যেন ভেসে যায় নদীতে রাত তৃণাঙ্কুর পায়ে হাঁটে ময়ূর, জলস্রোত সোজাসোজি অথবা মিহি

পঞ্চের কীর্ত্তন

… শূন্যের নন্দনে (পালনে পাঁচের মন) প্রণয়মুখর ঘুরতি পথের বাঁকে (সাত পাকে তাওয়াফ করা) অন্নদার সংসারে চলিতেছে (চয়ন্) চারের নামাতা— চার একে চার,                     চার দু’গুণে আট,                  

হ্রদের গল্প ও অন্যান্য কবিতা

শব্দ আঁকি টুকরা টুকরা দৃশ্যের বিশাল জীবন। তোমার নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। ফুলের মত কুড়িয়ে সযত্নে রেখে দেই। প্রজাপতির রঙ্গীন পাখায় রঙের খেলা। আমার জীবন পুড়িয়ে উপলব্ধি করি তোমার প্রেম। মূলদ অমূলদের হিসাব মেলাতে পারিনি। সমীকরণের ফলাফল শেষে তোমায় পেয়েছি। ময়ুরের পালকের বৃত্তের রং ছড়িয়ে থাকে

নির্ব্বাণের মায়া ও অন্যান্য কবিতা

কবন্ধ মাথাটা গা বেয়ে যদি গড়িয়ে গড়িয়ে দু’পায়ের কাছে নেমে আসে মাটির সকাশে মানুষ কি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? তবুও দাঁড়িয়ে থাকা আপাদগলা মানুষ দেহের ভেতর থেকে পাঁচটা তুখোড় চোখ জেগে ওঠে আর মাথার তিনটা চোখে স্থির চেয়ে থাকে পরষ্পরের বিস্ময়ে অপলক। ভ্রু-মধ্যের চোখ হতে

বলিদান

১ এই রাসনগর মৌজায় পূজাতে সকলেই পশু বলি দেয়। পাঁঠা মহিষের বলির সাথে সাথে অন্তরের পশুর-ও নিধন হয় এ’সব শাস্ত্রের কথা নাকি পুরোহিতের বিধান এ’সব নিয়ে তা’রা মাথা ঘামায় না। এ’ছাড়া পুজায় পশু বলি দিয়ে সত্যি সত্যি কা’রোর মনের পশুর বিনাশ হয়েছে কিনা এর কোন

‘পয়ার’ শব্দের মূল সংস্কৃত নয়, ফারসী

পয়ার শব্দটা সম্পর্কে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রায় হচ্ছে ‘সংস্কৃত বাংলা এবং প্রাকৃত বাংলা’র মধ্যে পয়ার প্রাকৃত বাংলার ছন্দ।’ কিন্তু তিনি শব্দটার মূল এড়িয়ে গেছেন। অন্তত অনেকের মত তিনিও শব্দটার মূল সংস্কৃত দেখানোর চেষ্টা করেননি। অথচ বাংলা শব্দের মূল সংস্কৃত দেখানোর বাতিক এক্ষণো শেষ হয়নি। আর

সু র ও সু রু

… প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গায় আমার ভোরের আযান— আ-স্ সা-লা-তু খা-য়-রু-ম্ মি-না-ন্ না-উ-ম্ … সুরেলা গুঞ্জনে আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠি (অঙ্গনে তোমার …) মহাজাগতিক্ল সুরের তরঙ্গে নৃত্যপর সুমধুর আযান উপহার দেওয়া তুমি সঙ্গীত পছন্দ কর না! এই আমার বিশ্বাস হয় না, সাঁই! … (শ) শূন্যতার অসীম

এডগার অ্যালান পো’র অপহৃত চিঠি এবং লাকাঁর ভাষিক নির্জ্ঞান

মার্কিন সাহিত্যিক এডগার অ্যালান পো’র অন্যতম জনপ্রিয় গল্প The Purloined Letter বা অপহৃত চিঠি। বৌদ্ধিক সমাজে গল্পটা এত সাড়া ফেলে যে, বিদ্বজনদের কাছ থেকে এর নানারকম পাঠ উন্মোচিত হৈতে থাকে। ম্যারী বোনাপার্ত, মিশেল ফুকো, জাক লাকাঁ, দেরিদা, জিজেক, হল রবিন্স এমন আরো অনেকেই এই গল্পের