সমসাময়িক (Page ২)

শত বছরে ঢাবি : অসঙ্গত যেই কথা মনে খায় খাবি

দস্যু-তস্কর-লুটেরাসঙ্ঘ যক্ষণ পরদেশের ভূমী গ্রাস করে দখলদারসঙ্ঘ বনে যায় তক্ষণ তাহাদের সেই দখল বজায় রাখিতে যাহা যাহা করিতে হয় তাহাই তাহাই করেছে বঙ্গভূমির বৃটিশ দখলদারসঙ্ঘ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী। অব্যহতভাবে লুণ্টিত ও চোষিত সম্পদ নিজ দেশে পাচারের জন্য তাহারা নানান প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সেই সব প্রতিষ্ঠানের

বাঙালীর চিন্তা

ভাষাতত্ত্ব আর সমাজ মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে বাংলার জনগণ সবসময় আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা চেতনা নিয়েই বিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে গেছে। উনবিংশ শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁ তথাকথিত বাঙালী ভদ্রলোক সমাজের জন্য কিছুটা কাজে আসলেও, নিম্নবর্গের অচ্ছুৎ হিন্দু আর মুসলমান বাঙালী জনগোষ্ঠীর জন্য কোন কাজেই আসেনি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী তাদের আত্মপরিচয়

ইসলাম, সংস্কৃতি ও নববর্ষ

প্রতিবছর নববর্ষের আগমনে ‘ইসলাম ও সংস্কৃতি’-প্রশ্ন মোটা দাগে হাজির হয়। বাঙ্গালী মুসলমানের দুই শিবিরে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নববর্ষের এই দিনে তাই আলাপ করা যাক ইসলামে সংস্কৃতি প্রশ্নের মোকাবেলা কীভাবে হতে পারে এবং নববর্ষ ইস্যুতে বাঙ্গালী মুসলমানের অবস্থান কী হতে পারে। আরব সীমানায় যখন ইসলামের

প্রসঙ্গ : মৌলবাদ

গোড়ার কথা— এই শতাব্দীর সবথেকে সাড়াজাগানো পরিভাষাগুলোর মধ্যে একটি হল ‘মৌলবাদ’। এ যবে থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তবে থেকেই ধিক্কৃত-অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে আসছে। এর কথা শুনলেই বিষ্ণু শর্মার লোকেরা মুখ ভেঙচিয়ে বলে, ‘না না, আমরা তো ওর পূজো করি না, আর আমরা কোন দায়েই বা ওকে ‘নমঃ

সমকাল ও শিক্ষা

অন্য বাবা মায়েরা সন্তানদের অনেককিছু দিতে পারছে, আপনি পারছেন না বলে inferior complexityতে ভুগছেন? আপনার সন্তান ফার্ষ্ট হয়নি বলে হতাশ? ভাবুন তো, নিজে যে আজ এত প্রতিষ্ঠিত, ছোটবেলায় কয়মাইল পথ হেঁটে বিদ্যালয়ে, কলেজে গিয়েছেন? এত রকমারি জুতা, জামা, প্রসাধনী, যানবাহন ছিল তো? মাথার উপরে ফ্যান

ইসলাম, ইসলামফোবিয়া ও পশ্চিমের রাজনীতি

‘Man and Superman’-এ জর্জ বার্নার্ড শ ইসলামের চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। হান্টিংটন ‘দ্যা ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন’-এর পাশ্চাত্যের উদয় অধ্যায়ে ৮ম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত সাহিত্য, বিজ্ঞান, শৈল্পিক অর্জ্জনে ইউরোপকেও ছাড়িয়ে যায়, সেটাও বলা হয়েছে। একই বইয়ের পাশ্চাত্য ও ইসলাম অধ্যায়ে বার্নার্ড লুইসের কথা উল্লেখ করে

মন রে কৃষি কাজ জান না

প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের শিক্ষা পদ্ধতি ছিল গুরুগৃহ কেন্দ্রীক। শিক্ষার্থীরা গুরুর আশ্রমে দীর্ঘদিন থাকত এবং গুরু শিক্ষার্থীদের জীবন-যাপন থেকে শুরু করে প্রচলিত বিশেষায়িত বিষয় সমূহের উপর অধ্যায়ন করাতেন আগ্রহ এবং মেধা অনুসারে। ঐ সময়ের শিক্ষার ভিতর কৃষিকাজ হাতে কলমে শিক্ষা করা ছিল সব শিক্ষার্থীর জন্য অক্ষরজ্ঞান অর্জ্জন

নতুন সকালের প্রতীক্ষায়

রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ধারণায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বাজার নীতির মডেল অনুসরণ করে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকে যে চলকগুলো শক্তিশালী হিসেবে দেখা যায় সেখানে এদেশের সামাজিক এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে ইতিবাচক কোন নীতি আদৌ গ্রহণ করা হয়েছে কি না সেটা স্বাধীনতার অর্দ্ধশত বছর পর এসে হিসেব করলে বেরিয়ে

হাজার বছরের বাঙালী

ভীতু বাঙালী, ‘থিতু’ বাঙালী, হুজুগে বাঙালী, সাম্প্রদায়িক, পরশ্রিকাতর, কখনও ধর্ম্মপ্রবণ তো অপরাধপ্রবণ। একদিকে যেমন অতিথিপরায়ণ, আবার অকৃতঘ্নও বটে। মানুষের বিপতে (বিপদে) এগিয়ে যায়, আবার ভাই ভাইয়ের, প্রতিবেশীর রক্ত ঝরাতেও দ্বিধাবোধ করে না। বাঙালীর এই চিন্তার মানসপট বুঝতে হলে হাজার বছর পিছনে যেতে হবে। প্রাচীন এই

রুশ-উক্রাইন সংঘর্ষ ও বিশ্বসাম্রাজ্যবাদ

‘সাম্রাজ্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদে দ্বন্দ্বই যুদ্ধের জন্ম দেয়— লেনিন-এর সেই শতবর্ষাধিক পুরানো সিদ্ধান্তৈ আবার নতুন করে প্রমানিত হল রুশ-উক্রানীয় বর্ত্তমান সংঘর্ষে। চোখের সামনে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি— মুহূর্মুহূ ক্ষেপণাস্ত্রবর্ষণ, ভ্যাকুয়াম বোমা, ক্লাস্টার বোমা, ৬৫ কিলোমিটার লম্বা সামরিক কনভয়ের আগ্রাসণ, প্রবল বিস্ফোরণ, জ্বলন্ত সামরিক ট্রাক, ভাঙা অট্টালিকা, অসহায় মৃত্যু,