কবিতা

সাজ্জাদ শাকিলের কবিতা

জোয়ার (আরুকে) শিউরে ওঠা তরল অন্ধকারে অজস্র জোনাকির হাওয়ায় ওড়ানো স্ফুলিঙ্গ! সহস্র বাজপাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মতো তোমাকে দেখে ফেলি নীলাঞ্জনা— সেখানে করুণ মিনতি ভেঙে পড়ে আচ্ছন্ন পৃথিবীর অপূর্ব এক বেদনায় সীমাহীন অভিমান উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে— যেন তুমি অসহ্য প্রেমের প্রতাপে দিশেহারা সমুদ্রের উত্তুঙ্গ ঢেউয়ের ঝাপটা

Bindurupini

বিন্দুরূপিণী

আপনার জীবনের নাম হৈল ‘বিন্দুরূপিণী’! ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দের মাঝে যেই কয়টা বর্ণ কিংবা সংখ্যা রহিয়াছে ঠিক ততোটুকুই আপনি উপভোগ করিতে পারিবেন— এর বেশী কিছু নয় … কারণ, ‘বিন্দুরূপিণী’ নামক শব্দৈ পরম ব্রহ্মের মাঝে বর্ণের কিংবা সংখ্যার যেই যোগফল রহিয়াছে; সেই যোগফলের পরের সংখ্যাই আপনার মৃত্যু

‘চ’ ব র্গী য়

… চ্-য়ে চয়ণ্, চ-য়ে চায়ী, চ-য়ে চার এইটুকু না জেনেই কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে আলাপনে ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি মৌমাছি সঞ্চয়পুরাণে করিতেছে (চয়ণ্) মধুর সংসার, মৌচাকবিতান, বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ! … চাঁদ জানে না— চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায় (মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ! রূপালী আলোর

তবুও বৃষ্টি হোক ও অন্যান্য কবিতা

সমস্ত আশার আলো বেদনার অশ্রুধারা অক্লান্ত হয়ে ঝরছে যখন একজোড়া শালিকের চোখে প্রেমের বিলাস তখন। জীবনের বিষন্ন নীরবতার সময় পাহাড় সমান ব্যথা, ঠোঁট নেড়ে নেড়ে শালিক দু’টা শোনাল আশার কথা। যুগ যুগান্তর এ’মন করে ব্যর্থতার ধুলা উড়েছে পথে, তাই বলে কেউ হঠাৎ করে যায়নি থেমে

সহপাঠ ও অন্যান্য কবিতা

সহপাঠ আহা সহপাঠী* সহপাঠ আমার* স্বাকারের ভিন্নতাটুকু বৈরিতা ভেবে (অনু)শীলন কর না বিচ্ছিন্নতাবাদ* শরীরের খাঁদে রেখ না পুঁতে আত্মঘাতী বিষ্পোরক** পাঠ কর তোমার সহপাঠির নামে* আমরা দুজন আদি শূন্যের তাফছির* দু’টা বুদবুদ* একে অপরের সহপাঠ** চল মুছে দিই মুছে নিই* বিশ্বাসের ক্ষত* বঞ্চনার ইতিহাস* মিলাই

আ ট চা লা ঘ র

বলিয়াছেন গুরুজন, সদা সত্য কথা বলিবে— তাই ‘প্রকাশ্য সুন্দরে’ বলিতেছি, তিন সত্য—             (তালব্য) শ,                                 (মুর্দ্ধন্য) ষ,              

বর্ষার বনজ ঘ্রাণ ও অন্যান্য কবিতা

উত্তর-পূর্ব্বাঞ্চল ছিল এক বালকজীবন, পাহাড় চুম্বক শিশিরের রঙে ডুগডুগ বিক্ষিপ্ত স্বপ্নেরা জমে হয়েছিল বটে রহোস্যপন্যাস ও মাসুদরানা হাতের মুঠোয় রক্ত প্রজাপতি নির্ব্বাচিত আয়ু পেয়ে দেখে জমীনে শিল্পের ঘোর … রজতধারা সে কি তিয়াসা! ভাটির কালনী নদী সুরের আগুনে ঢেলে দেয় মোহমায়া চাঁদের আলোয় কক্ষপথে পৌঁছেছেন

সময়ের ষড়স্তর ও অন্যান্য কবিতা

সময়ের ষড়স্তর তথ্য— জীর্ণ অন্ধকারের নির্ম্মল আলো, ধ্রুবজ্ঞান; শিশিরের শব্দের মত নির্ঝর বিন্দু বিসর্গ! কবিতা— চৈতন্য বিভোর অলীক ঘোর তানপুরায় বাজা নৈবদ্য সুর ও স্বর প্রেম— অভিন্ন আত্মার নৃত্য ঝঙ্কার, ঘুঙ্গুর পায়ে বেরিয়ে আসা সঞ্জীবিত প্রাণেশ্বর! বিরহ— অকুণ্ঠ হৃদয়ের আরাধ্য দাবানল, নিমিত্ত অঙ্গারে জ্বলেপুড়ে বিশুদ্ধ

সাম্পান ও অন্যান্য কবিতা

ঋক ঠিক দুপুরের আগে টোকা দেয়, অস্থির হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পড়ে সংহিতা স্বপ্নহার দুপুরের শেষ নেই সাঁকো-জোড়া এবং ভাঙ্গে গড়ে জোছনা ফিরে আসে বারবার লাউফুল উত্তাপে কিভাবে হেসে ওঠে তীক্ষ্ণ লোভে কিভাবে যেন ভেসে যায় নদীতে রাত তৃণাঙ্কুর পায়ে হাঁটে ময়ূর, জলস্রোত সোজাসোজি অথবা মিহি

পঞ্চের কীর্ত্তন

… শূন্যের নন্দনে (পালনে পাঁচের মন) প্রণয়মুখর ঘুরতি পথের বাঁকে (সাত পাকে তাওয়াফ করা) অন্নদার সংসারে চলিতেছে (চয়ণ্) সাতের নামাতা— সা/ত এ/কে সা/ত …                 সা/ত দু’/গুণে চোদ্/দ …                  

হ্রদের গল্প ও অন্যান্য কবিতা

শব্দ আঁকি টুকরা টুকরা দৃশ্যের বিশাল জীবন। তোমার নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। ফুলের মত কুড়িয়ে সযত্নে রেখে দেই। প্রজাপতির রঙ্গীন পাখায় রঙের খেলা। আমার জীবন পুড়িয়ে উপলব্ধি করি তোমার প্রেম। মূলদ অমূলদের হিসাব মেলাতে পারিনি। সমীকরণের ফলাফল শেষে তোমায় পেয়েছি। ময়ুরের পালকের বৃত্তের রং ছড়িয়ে থাকে

নির্ব্বাণের মায়া ও অন্যান্য কবিতা

কবন্ধ মাথাটা গা বেয়ে যদি গড়িয়ে গড়িয়ে দু’পায়ের কাছে নেমে আসে মাটির সকাশে মানুষ কি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? তবুও দাঁড়িয়ে থাকা আপাদগলা মানুষ দেহের ভেতর থেকে পাঁচটা তুখোড় চোখ জেগে ওঠে আর মাথার তিনটা চোখে স্থির চেয়ে থাকে পরষ্পরের বিস্ময়ে অপলক। ভ্রু-মধ্যের চোখ হতে