কবিতা (Page ২)

বর্ষার বনজ ঘ্রাণ ও অন্যান্য কবিতা

উত্তর-পূর্ব্বাঞ্চল ছিল এক বালকজীবন, পাহাড় চুম্বক শিশিরের রঙে ডুগডুগ বিক্ষিপ্ত স্বপ্নেরা জমে হয়েছিল বটে রহোস্যপন্যাস ও মাসুদরানা হাতের মুঠোয় রক্ত প্রজাপতি নির্ব্বাচিত আয়ু পেয়ে দেখে জমীনে শিল্পের ঘোর … রজতধারা সে কি তিয়াসা! ভাটির কালনী নদী সুরের আগুনে ঢেলে দেয় মোহমায়া চাঁদের আলোয় কক্ষপথে পৌঁছেছেন

সময়ের ষড়স্তর ও অন্যান্য কবিতা

সময়ের ষড়স্তর তথ্য— জীর্ণ অন্ধকারের নির্ম্মল আলো, ধ্রুবজ্ঞান; শিশিরের শব্দের মত নির্ঝর বিন্দু বিসর্গ! কবিতা— চৈতন্য বিভোর অলীক ঘোর তানপুরায় বাজা নৈবদ্য সুর ও স্বর প্রেম— অভিন্ন আত্মার নৃত্য ঝঙ্কার, ঘুঙ্গুর পায়ে বেরিয়ে আসা সঞ্জীবিত প্রাণেশ্বর! বিরহ— অকুণ্ঠ হৃদয়ের আরাধ্য দাবানল, নিমিত্ত অঙ্গারে জ্বলেপুড়ে বিশুদ্ধ

সাম্পান ও অন্যান্য কবিতা

ঋক ঠিক দুপুরের আগে টোকা দেয়, অস্থির হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পড়ে সংহিতা স্বপ্নহার দুপুরের শেষ নেই সাঁকো-জোড়া এবং ভাঙ্গে গড়ে জোছনা ফিরে আসে বারবার লাউফুল উত্তাপে কিভাবে হেসে ওঠে তীক্ষ্ণ লোভে কিভাবে যেন ভেসে যায় নদীতে রাত তৃণাঙ্কুর পায়ে হাঁটে ময়ূর, জলস্রোত সোজাসোজি অথবা মিহি

পঞ্চের কীর্ত্তন

… শূন্যের নন্দনে (পালনে পাঁচের মন) প্রণয়মুখর ঘুরতি পথের বাঁকে (সাত পাকে তাওয়াফ করা) অন্নদার সংসারে চলিতেছে (চয়ন্) চারের নামাতা— চার একে চার,                     চার দু’গুণে আট,                  

হ্রদের গল্প ও অন্যান্য কবিতা

শব্দ আঁকি টুকরা টুকরা দৃশ্যের বিশাল জীবন। তোমার নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। ফুলের মত কুড়িয়ে সযত্নে রেখে দেই। প্রজাপতির রঙ্গীন পাখায় রঙের খেলা। আমার জীবন পুড়িয়ে উপলব্ধি করি তোমার প্রেম। মূলদ অমূলদের হিসাব মেলাতে পারিনি। সমীকরণের ফলাফল শেষে তোমায় পেয়েছি। ময়ুরের পালকের বৃত্তের রং ছড়িয়ে থাকে

নির্ব্বাণের মায়া ও অন্যান্য কবিতা

কবন্ধ মাথাটা গা বেয়ে যদি গড়িয়ে গড়িয়ে দু’পায়ের কাছে নেমে আসে মাটির সকাশে মানুষ কি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? তবুও দাঁড়িয়ে থাকা আপাদগলা মানুষ দেহের ভেতর থেকে পাঁচটা তুখোড় চোখ জেগে ওঠে আর মাথার তিনটা চোখে স্থির চেয়ে থাকে পরষ্পরের বিস্ময়ে অপলক। ভ্রু-মধ্যের চোখ হতে

সু র ও সু রু

… প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গায় আমার ভোরের আযান— আ-স্ সা-লা-তু খা-য়-রু-ম্ মি-না-ন্ না-উ-ম্ … সুরেলা গুঞ্জনে আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠি (অঙ্গনে তোমার …) মহাজাগতিক্ল সুরের তরঙ্গে নৃত্যপর সুমধুর আযান উপহার দেওয়া তুমি সঙ্গীত পছন্দ কর না! এই আমার বিশ্বাস হয় না, সাঁই! … (শ) শূন্যতার অসীম

( . ) বিন্দুরূপিণীর নয়ন দর্শন

… শূন্যে উত্থান তোমার, তুমি এ-ক > দিশাগ্রস্তন্-কারী! দিশা থেকে বিদিশার পাঠশালায় (এ) দিশাগ্রস্তন্ (ই) সক্রিয়ণ্ তোমাকে বলিতেছি, ‘এই’, শোন গো— তোমার এলাকা কোথায়? কোথায় চলিতেছ? … তোমার ‘(এ) দিশাগ্রস্তন্ (ল্) লালন্ (আ) অস্তিত্ব (ক্) করণ্ (আ) অস্তিত্ব’ অর্থাৎ এলাকা; বলিতেছে (তোমার) আগেও শূন্য, পরেও

প্রেমিকের রং

ভালবাসার গান গেয়ে পাখী আজ ঠোঁট থেকে বের কর্‌ছে মাইল মাইল অন্ধকার। পালক থেকে মুছে ফেলেছে জলের দাগ। সমূহে ঝর্ণা ভেঙ্গে পড়্‌ছে সাগরের বুকে। যে’খানে জল পড়্‌ছে সেখানে সৃষ্টি হয় কাল ফুল। কাল ফুলের পাপড়িতে বিলাপের সুর। বিলাপের শরীর জুড়ে কেবল স্মৃতি। ফোয়ারা হয়ে ছড়িয়ে

এক্ষণো

এক্ষণো কী রাত্রি জাগো আলোর নীচে? ঘুম পেরুনো অতল প্রহর রূপোর সিঁড়ী পায়ে পায়ে নেমে গেলেই সুবর্ণ-মেঘ? বৃষ্টি ফুলে গাঁথতে পারো শ্যামল নূপুর? কৌতূহলে দিচ্ছো ছুঁয়ে অবাক দুপুর নিলয় স্রোতে পাল ওড়ালে প্রত্ন-খাঁড়ী! বালু-ঘড়ির ঝর্ণাধারায় মগ্ন সময় অল্পস্বল্প গরজ আছে ব্যস্ততারও… যদি বলো চিরকুটের সেই

মারমেইড মুহূর্ত্ত

মারমেইড মুহূর্ত্তগুলো স্রোত সাঁতরে রূপান্তরের নোঙরে… উপকূল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাযাবর পাল-মাস্তুল শূন্যযাত্রায় বাড়িয়েছ আকাশ, ছায়া নকশায় বিহান-সায়ংকাল, ট্রপিক্যাল সবুজ ছাড়িয়ে পর্ণমোচী পদাবলী দিনলিপি জুড়ে! নিবিড় বিকেলবেলায় দোল দোল দুলুনি… এক এক দোলায় চলকে যাচ্ছে চায়ের কাপ! পায়রা ওড়ানো সকালে করতলে নমিত আকাশ, আজ বহুদিন! গিরিবাজ,

সল্ট এণ্ড পেপার

তোমার সন্ধ্যেগুলো সিল্ক মিহিন ভাসছে, কলমকারি নকশায়, সৈকত ঘেঁষা পাব প্যাটিওর উন্মাতাল আটলান্টিক হাওয়ায়! আকাশ ধীরে ধীরে নীল থেকে সোনালী হচ্ছে খুব নিঃশব্দে, তুমুল ভালোবাসছো তুমি জীবন যাপনের এক একটা দিন! হাতের গ্লাসে সিগনেচার ককটেল, ‘টোয়াইলাইট ট্যাঙ্গো’, কোন দিন ‘সান কিসড ব্লুজ’, নামগুলো তোমারই দেয়া!