প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ১৪)

টক, টাক, টুকটাক

বৈশাখ মাস, গাছভর্ত্তি কাঁচা আম। তন্ময় আর তার চাচাতো ভাই তমাল এসেছে কাঁচা আম পাড়ার জন্য, বিজলী আপু কাঁচা আমের ভর্ত্তা খেতে ভালবাসে। কাঁচা আম কুঁচিকুঁচি করে কেটে রসুন কাঁচামরিচ লবন সর্ষে তেল মেখে এমন ভর্ত্তা বানায়, কেবল খেতেই মন চায়। পালদাদা কোথা থেকে আসছিল,

শূন্যের সমীকরণ

আচ্ছা স্যার, মানুষ এতটা অসুখী হয় কেন? সবাই সুখী হতে চায়, তবে সবাই হয় না কেন? — বলল বদরুল। স্যার কিছুক্ষণ মৌন থেকে চায়ে চুমুক দিয়ে বলল— আমরা নিজের নয় অন্যের সুখেই অসুখী হই বেশী। আসলে মহাবিশ্বে এমন কোন উপাদান নেই যা সুখী বা অসুখী

চিনিফানা : ফানাফিল্লা তত্ত্ব ও বিবিধ নির্য্যাস

… রচয়িতা মারা গেছে সৃজন বর্ষায়, খুঁজেও পাবে না তাকে জলের বাসরে! … জলের হৃদয়ে মিশে চিনি হল ফানা! মিশে জলজ তরলে হল গো সরলা! হল আমা হতে তুমি— আমি, তুমিময়! … বন্ধু, আমি কি তোমাকে চিনি, চিনির প্রকারে, চায়ের লিকারে? বল, কী ভাবে মিশিবে

ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায়

বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের এই গানটা কে না শুনেছে! আবহমান ভাটি বাংলার জীবনযাত্রা এই গানের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। একটা নৌকা— নদী বেয়ে চলে, সেই নৌকার শুরু থেকে শেষ পর্য্যন্ত যেন একটা জনপদেরই জীবনযাত্রার কাহিনী। ছোটবেলা আমরা রচনা লেখেছি নৌকা ভ্রমণ। না বুঝেই লিখেছি, মুখস্ত লিখেছি।

কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন

            “কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।              রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন।              আমার কালো মেয়ের আঁধার কোলে শিশু রবি শশী দোলে;

ডিসিপ্লিন এ্যান্ড পানিশ : দ্যা বার্থ অব দ্যা প্রিজন

বেকন যখন বলেন “knowledge is power” ফুকোই বলেন “না, power is knowledge” ক্ষমতা জড়িয়ে আছে প্রতিটি সামাজিক সম্পর্কের পরতে পরতে। ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রে বা রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়, এটা বিস্তৃত হয়ে আছে হাসপাতালে, ফ্যাক্টরীতে, স্কুলে, উপসনালয়ে, পরিবারে। এবং প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান কারাগারের মত আচরণ করে এবং মানুষকে

দেহ আমার! সোনা আমার! পরাণপাখী!

১. নিরন্তর এক ব্যাধিচক্রে আটকে আছি। মহাব্যাধি এই বেঁচে থাকা কাল। জন্মমাত্র অধিকারে পেয়েছি যারে, বিনাশ অবধি তার থেকে নেই কোন পরিত্রাণ। মহাকাল চুমুকে চুমুকে পান করে ব্যাকুল পরাণ। ২. অনেক হয়েছে ভাগ— এই প্রাত্যহিক সোনারোদ, পাতালপুরী ছেঁচা কনককুসুম, জমিনের বুক চিরে জড় করা বিপুলা

ভয়

মেয়েটী কী ভয় পাচ্ছে? পাওয়াটাই স্বাভাবিক। বাসে মাত্র তিনটা প্রাণী। প্রাণীরা ভয় পেলে তাহাদের চোখের দিকে তাকাতে হয়। বিড়াল ভয় পেলে চোখের পিউপিল চিকন, লম্বাটে হৈয়ে যায়। মানুষের পিউপিল বড় হয়। তবে আধুনিক মানুষ মুখোস পড়ে থাকে। তবু মানুষ স্বাভাবিকভাবে ১০/১৫ বার চোখের পলক ফেলে,

গাজী ভঙ্গী শাহ্ : জগজ্জীবন দর্শনে সুফীর ভঙ্গিমা

বাবা, ভঙ্গী শাহ্! কী এমন ভঙ্গিমায় দর্শন করিলা, রহস্যপৃথিবী? …. বটতলী জংশনে রয়েছ দাঁড়িয়ে, ঠাই। ঝিক্ঝিক্, ঝিক্ ঝিক্, ঝিকিঝিকি, ঝিক্ ঝিক্…. রেলগাড়ী চলে যায়! … রেললাইনটি মিশেছে রেললাইনটির মাঝে, আরেকটি রেললাইন চেয়ে আছে! রেলগাড়ী চলে যায় দিগন্তের দিকে…………. সময়ের পটভূমিকায় কেবলই জংশন, পথে পথে নামে

শব্দের উৎস কিংবা (ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক) অর্থ সন্ধান (পর্ব্ব-২)

[ আলোচ্য শব্দ: ভাস্কর্য্য। মূর্ত্তি। ভীম, রাগ ভীমপলশ্রী, ভীমরতি।  সন্ধ্যা। টিকটিকি। ]   ভাস্কর্য্য— কবি কল্পনা করেন তারপর কল্পনার ছবি আঁকেন বর্ণ দিয়ে কাগজের পাতায়। কেবল কবি-ই যে কল্পনা করেন, তা কিন্তু নয়। কল্পনা সবাই করে, কিন্তু কবিতা সবাই লিখতে পারেন না। তেমনি মনে মনে

‘গ’ ও ‘ঘ’ পরিচিতি

রাতুল তার আম্মুর কাছে ‘গ’ ও ‘ঘ’-এর পরিচয় জানতে চাইলে তার আম্মু তাকে বলল, এ জন্য তোমাকে কিছু উদাহরণের সাহায্য নিতে হবে। আর আমিও তোমাকে উদাহরণসহযোগে বুঝিয়ে বলব। যেমন: কোথাও যেতে হলে একপা উঠালে আরেক পা থামাতে হয়। অর্থাৎ এক পা যখন সম্মুখে যাওয়ার জন্য

শব্দের উৎস কিংবা (ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক) অর্থ সন্ধান (পর্ব্ব-১)

[আলোচ্য শব্দ: মর, অমর, গুণ, নির্গুণ, দগ্ধ, বিদগ্ধ, উত্তীর্ণ, অবতীর্ণ, উর্ব্বশী/ঊর্ব্বশী, মোঘ, অমোঘ, দৃষ্ট, অদৃষ্ট, জল, জলজ্যান্ত] মর, অমর— মর: সীমায়িত করে রাখা হয় যাহাতে। মরণশীল, মর্ত্ত্য, মানব, প্রাণত্যাগ করা, মৃতবৎ বা নির্জীব হওয়া, ব্যথিত হওয়া, কমিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মর শব্দের অর্থ হল ম (সীমায়িত)