মঈন চৌধুরী

আমপাতা ও নীল শাড়ী

বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফির্‌ছিলাম। বাঙ্গালাদেশের ওপর বিমাণ পৌছানোর পর সারাক্ষন জানালা দিয়ে বাঙ্গালাদেশের নদী আর সবুজ দেখ্‌তে দেখ্‌তে ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। বিমাণের চাকা যক্ষণ ঢাকার রানওয়েতে নাম্্‌ল, তক্ষণ আর ইমোশন ধরে রাখ্‌তে পারলাম না। চোখ দিয়ে তক্ষণ টপ্ টপ্ করে পাণি পড়ছিল। আমার

ভাষার সমাজ, চেতনাকাঠামো ও পরিবর্ত্তন

জীবন ও জগৎ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা নিয়ে আমরা আমাদের ভাষার সমাজে আছি, কিন্তু ভাষা জানা আর প্রকাশের যোগ্যতা আমাদের এক রকম নয়। ভাষাবিজ্ঞানী জোনাথান কালার ‘কিছু বোঝা আর না বোঝার’ সাথে ভাষা বিষয়ক Competence আর Performance-কে যুক্ত করে বলেন, একই বিষয় সম্পর্কে আমরা ভিন্ন

অল্পস্বল্প জীবন পাঠ

জীবন নিয়ে অনেক তত্ত্বকথা আছে। এইসব তত্ত্বকথায় আছে ধর্ম্মতাত্ত্বিক মতামত, পুরাণকেন্দ্রিক গল্পকাহিনী, অধিবিদ্যাজাত উপস্থাপনা, বস্তুবাদী মতামত আর বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ৷ আমি জীবন নিয়ে বলতে গিয়ে তত্ত্বকথা শুনাব না, বরং আমার সামান্য জ্ঞানকে অবলম্বন করে প্রায় মুর্খের মত অতি সহজ ভাষায় কিছু বলবো৷ আমার কথায় অধিবিদ্যাজাত দর্শন,

বাঙালীর চিন্তা

ভাষাতত্ত্ব আর সমাজ মনস্তত্ত্বের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে বাংলার জনগণ সবসময় আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা চেতনা নিয়েই বিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে গেছে। উনবিংশ শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁ তথাকথিত বাঙালী ভদ্রলোক সমাজের জন্য কিছুটা কাজে আসলেও, নিম্নবর্গের অচ্ছুৎ হিন্দু আর মুসলমান বাঙালী জনগোষ্ঠীর জন্য কোন কাজেই আসেনি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী তাদের আত্মপরিচয়

আমার পরী, রাজপুত্র তোমার

আনেকদিন আগে ফেসবুকে আমার ১৯/২০ বছর বয়সে লেখা একটি কবিতা পোস্ট করেছিলাম। কবিতাটির শিরোনাম ছিল— “এ কেমন ভালবাসা?” প্রমা নামের একটি মেয়ের উল্লেখ ছিল কবিতার শেষ স্তবকে। শেষ স্তবকটি ছিলঃ ‘প্রমা, তুমি কেমন ভালবাস? অন্তরে বাস ফুলের সুবাস প্রকাশ করনিতো জীবন আঁকার তুলি ধরে রঙ

ভাষা ও সাহিত্য সমালোচনা তত্ত্ব

পর্ব্ব— ১ মাঝেমধ্যে শিল্প ও সাহিত্যের ভাল-মন্দ আলোচনা-সমালোচনা পড়ি বড় কাগজে, ছোট কাগজে। কিন্তু এটাও বুঝি আমাদের শিল্প-সাহিত্যকে ঘিরে সমালোচনা-সাহিত্য এখনো গড়ে ওঠেনি। কখনো খুবই ভাল সমালোচনা দেখতে পাই লিটল-ম্যাগগুলোতে, আর যা ছাপা হয় তাকে কী যে বলি বুঝতে পারি না। ওই সব পত্রিকার সমালোচকরা