অনুবাদ কবিতা : তোমার জন্য

তোমার চুলের জন্য বুনোফুল তৃণপ্রমা আর হয়ত একটা মৌমাছি চলে গেছে পাগলের মত কেবল একটা মৌমাছি হৈতে আমাদের কেউ কেউ প্রচুর মধু খুঁজে পেতে মাটীর হাঁড়ী হাতড়াচ্ছিল সাইকেডেলিক ধাঁধায় আমরা সুড়ঙ্গ খুঁড়তে খুঁড়তে চলে এসেছি ৯০-এ তারার মেলায় ক্লান্তিকর সড়কে যেখানে কেউ আমাদের বিশ্বাস করে

অনুবাদ কবিতা : একজন কবি

  একজন কবি নিশ্চিন্ত মনে ধীরপায়ে এগুলেন ২৬১ এভিনিউ ধরে মাথায় টুপী পরনে নিখুঁত পরিপাটি লিভাইস কবিই সর্ব্বৈব যিনি চেয়েছেন শুধুই কবি হৈতে আর বই বিক্রেতা হৈতে আর প্রকাশক হৈতে অন্য কবির শিল্পীর অনুবাদকের সেই একজন কবি যে লিখছে ১০০১ টা ভয়াবহ শব্দ ফিদেল কাস্ত্রোর

অনুবাদ কবিতা : এগার সেপ্টেম্বর

এগার সেপ্টেম্বরে তুমি বিতাড়িত, বিলুপ্ত, সমাহিতপতিত গাছের নীচে, দিগন্ত উত্তোলিত গ্রামের কাছাকাছিপাহাড়ী আশ্রমের ঘণ্টাধ্বনিতেযেখানে তোমার বার বছর বয়সী কন্যার স্বপ্ন  উচ্ছেদ হচ্ছেবুকের ভেতর থেকে কবিতাসারি সারি বৃক্ষেরা সরে যাচ্ছে দৃষ্টির বাইরে এগার সেপ্টেম্বর হৃৎপিণ্ড তলিয়ে যেতে থাকেঘণ্টাধ্বনিতে, বয়ষ্ক পৃষ্ঠাগুলোর অনভিজ্ঞ পাঠেতাদের সম্মানে, যারা এসেছে আমাদের

কবিতা : নিঃক্ষত্রিয়

সবাই নয়। হয়ত কেউ কেউ মৃত্যুর মত কিংবা মৃত্যুর কাছাকাছি কিংবা মৃত্যুর চেয়ে ভয়ঙ্কর। অপমানে-অপমানে অবগুণ্ঠিত হয়েছি। ফের জেগেছি। জলে-ডাঙ্গায় কেউ কেউ নয়। হয়ত একা সবাই নয়। হয়ত কেউ কেউ অবুঝ পাতার মত গুটায়ে নিয়েছি। সিঁটায়ে গিয়েছি। লজ্জায়-লজ্জায় নিজের ভেতরে নিজে। নিজেকে ফের মেলেছি। লজ্জাবতী লতা

কবিতা : জীবাত্মা

  যাকে ঠিক হৃদয় নয়। ভেবে বসেছিলাম আত্মা। সেই আত্মা কখন হৃদয়ের খাঁচা ছেড়ে উড়ে গেল। এখন আমি শুন্য খাঁচার দিকে তাকায়ে থাকি। সেখানে আর কোন স্পন্দন পাই না। এখন আমার দৃষ্টি শ্মশানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি শুধু বিভ্রমের মত কিছু বিস্ফোরণ দেখি। কেউ কেউ

কবিতা : খুনিয়ারা

সবকিছু অন্যরকম কারুকর্ম্মের মত তাদের কাছে যারা নিভৃতে খুন করে প্রকাশ্যে টেনে ছিঁড়ে নেয় শ্বাসনালী, মাথার খুলী ভাঙ্গে বাদামের খোসা ভাঙ্গার সহজ দক্ষতায় বলতে পারে, ও আর এমনকি সবই ইতিহাস অতীতের কাসুন্দি সবকিছু অন্যরকম তাদের সুবিমল আঙ্গুলের ডগায় হার মেনে হুমড়ি খায় গোক্ষুরের বিষফনা কত

কবিতা : পর্য্যুদাস

স্বাধীনতা বলতে ওরা বুঝত গুহার ভেতরে অন্ধকার মুক্তি বলতে ওরা বুঝত সনদে স্বাক্ষরিত দলিল সত্য বলতে ওরা বুঝত অন্ধত্বের কাছে নতজানু থাকা বিপ্লব বলতে ওরা বুঝত মুখস্ত বোলীর ঠিকাদারী আগুনমুখার জলন্ত মোহনা হাতের মুঠোয় নিয়ে আমি ফিরে এসেছিলাম আমার উদ্বাস্ত পিতার কাছে আমার সকল পরাজয়

কবিতা : অর্ব্বাচীন

অজস্র কীটের ভিড়ে ও দংশনে সেও কি হয়ে ওঠেছিল বিষের ভয়াবহ কুণ্ডলী জীবনের পরতে পরতে পরাজয় উৎযাপন শেষে ফিরত জঘন্য আঁস্তাকুড়ের ঠিকানায় চারপাশে তার হাজার হাজার জীবন্ত মৃত্যুকূপ খুঁড়ে রেখেছিল যে প্রিয় স্বজনেরা অনায়াসে তারা বলতে পারত, এই তো ভালবাসা, স্নেহ-পর্ব্ব, প্রণয় উপাখ্যান ভীষণ উল্লাসে

অনুবাদ কবিতা : বুদ্ধ

বুদ্ধ, তুমি কি পাথরের ওপর আসন গেড়ে বসেছিলে? গাছগুলো মেঘ ছুঁয়েছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমী থেকে হরিণেরা খুঁটে নিচ্ছে ঘাস সূর্য্যালোকের অস্পষ্টরেখা ছুঁতে কিভাবে তুমি একটা হাত না বাড়িয়ে থাকতে পার? বুদ্ধ তোমার মাথার ভেতর যে দেবতা নড়েচড়ে ওঠেন, মহান যোদ্ধা যুদ্ধের আগে ধনুর্বাণ বাঁকা করতে চায়

গল্প : সুফিকণিকা : পর্ব্ব তিন

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যাবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়-ও হয় ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির তৃতীয়পর্ব্ব

গল্প : সুফিকণিকা : পর্ব্ব দুই

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়ও হয়ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির কয়েকটা এখানে

গল্প : সুফিকণিকা : পর্ব্ব এক

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়ও হয়ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির কয়েকটি এখানে