কবিতা অর্ব্বাচীন

অজস্র কীটের ভিড়ে ও দংশনে সেও কি হয়ে ওঠেছিল বিষের ভয়াবহ কুণ্ডলী

জীবনের পরতে পরতে পরাজয় উৎযাপন শেষে ফিরত জঘন্য আঁস্তাকুড়ের ঠিকানায়

চারপাশে তার হাজার হাজার জীবন্ত মৃত্যুকূপ খুঁড়ে রেখেছিল যে প্রিয় স্বজনেরা

অনায়াসে তারা বলতে পারত, এই তো ভালবাসা, স্নেহ-পর্ব্ব, প্রণয় উপাখ্যান

ভীষণ উল্লাসে তাদের দাঁতগুলো থেকে খসে পড়ত অভিমানের কুৎসিত লালা

তাদের সাজানো গেরস্থালীতে বিষবৃক্ষ পুষত খেয়াল খুসী-মত

ওইসব কুৎসিত সাজে ওরা ভুলে যেতে থাকত একটা কীটের জীবন

যদিও সেখানে মৃদুলয়ে বাজাত প্রেত ও প্রেতাত্মার প্রিয় যন্ত্রের সুর

ওদের একটাই মানবজন্ম সার্থক করার সহস্র বাসনা মৃতের খুলীর ভেতরে রাখত জমিয়ে

অদ্ভুত বিপন্ন পৃথিবীর গোলকধাঁধায় সেলাই করত অসম্মানের টুকরা রুমাল

এইসব কীটেদের ভিড়ে সেও একদিন হয়ে ওঠেছিল নিতান্তই বিষের ভয়াবহ কুণ্ডলী

রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, অর্ব্বাচীন — তে সম্পাদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *