কবিতা : নিজের তিরাসের কাছে

নিজের তিরাসের কাছে আমি তো নগন্য মানুষ একটা বুঝি বা না বুঝি তা’রি ইবাদত করি সকাল বিকাল মনে মনে বানানো সুরতের আদলে নিরাকার পাথর ভাঙ্গি চাইরদিকে উড়াই কা’র ছায়ারে কে ফালায়া যাইতেছে পথে দূরে যাইতে যাইতে ফসলের বাঁসে ফিরে যারা তারারেও দেখি চায়ের দোকানে বসি

কবিতা : পড়ে থাকা পাতা

পড়ে থাকা পাতা দেখে গাছ হলুদ শরীর কিছু পতনের চিহ্ন দুঃখের নিরালা এক ফোঁটা দীর্ঘশ্বাস বাকী সবুজ পাতার আগাম শুন্যের গান পাতাদের ডাক বেদনার ঘুমের আউলিতে কিছু কুঁড়ি মু‘ছতেছে পতনের আহাজারি বিচ্ছেদী টান ছিঁড়াবিড়া পাতা পইড়া থা‘কতেছে উ‘ড়তেছে, পু‘ড়তেছে না-দেখা আগুনে গাছ ফিরে গাছের ভিতর।

কবিতা : ক্লাইভের চেয়ারের নীচের রাইত

ক্লাইভের চেয়ারের নীচে জমছিল যেই রাইত দু্ইশত চৌষট্টি বছর আগে তা’র কতক আন্ধাইর আইজো আমাদের ‘একাডেমিক’ চেয়ারের পাছায় কলাভবনের খাঁজে লাইব্রেরির সেলফে ঝুল্লু খায় সে’ এক দেশী বিলাইর কালা মুখ নিরাকার ইঁদুর বিলাই খেলে সে’ চতুর আমাদের আম জাম কাঁঠালের উঠ্‌তি চারাগুলোর লগে সোনারইদে ঝলঝলা