গল্প (Page ২)

দ্য গার্ল সিটিং বাই দ্য উইণ্ডো

বলা হয়, 8.2 seconds কোন সুন্দরী রমনীর দিকে একনজরে তাকালে, মস্তিস্কে ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয়। তখন পুরুষ এক অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অনুভব করে এবং ওই নারীর প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। এটাকে ল্যভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট বা শেক্সপীয়রিয়ান ল্যভ বলে। উঁনার নাটকে নায়ক নায়িকা প্রায়শই প্রথম

লাইব্রেরী অব ব্যাবেল

“আয়না এবং সঙ্গম উভয়ই পরিত্যাজ্য। কারণ তা সংখ্যা বৃদ্ধি করে”। বোর্হেসের কথাটা লাইব্রেরীর ওপর লেখা দেখে রঞ্জু অবাক হয়ে গেল। জাহিদের মত money minded মানুষের বাড়ীতে এত সুন্দর একটা লাইব্রেরী। জাহিদের motto/মূলমন্ত্র ছিল ‘money is second god’ কিন্তু সময় মানুষকে কী না করে! একজন নির্দ্দয়,

নথ (ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাদর্শনের গল্প)

সকাল থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ধরে এল। তন্ময়দের হালট পর্য্যন্ত বর্ষার ঘোলাজল। বহুদূর পর্য্যন্ত দেখা যায় বারান্দায় দাঁড়ালে। কত ধরনের নৌকা যে কোথায় চলে যায়। তন্ময় গুনতে গুনতে খেই হারিয়ে ফেলে। আকাশে রোদ মেঘের খেলা চলছে যখন তখনই তাদের বাড়ীর

অন্তঃস্থ ব শ্রুতি

লিমন ভাই, ‘যাওয়ার’ লিখব, না ‘যাবার’ লিখব? — যাওয়ার আর যাবার; জওয়াব না জবাব, কী হবে? তুই কি জানিস তুই কীসে হাত দিলি, নীলা? : ওমা আমি আবার করলাম? — কী করছিস মানে! ওলট-পালট করে দিয়েছিস। : কী? তোমার মন? — এহ্, আমার মন! মনই

ইমসোমনিয়া

৪০ সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ মুসাকে ৪০ রাতের ওয়াদা করেছিলেন। ইলিয়টের কাছে কবিতার দীক্ষা নিতে এলে উনি একজনকে উপদেশ দেন ৪০ বছর পর আসার জন্য। মানে চল্লিশ না হলে মানুষ পরিপক্ব হয় না। নবিজীও নবুয়ত পেয়েছেন ৪০ বছরে। ৪০বছরে মানুষ ভিন্ন মাত্রার জগতে প্রবেশ করে। টাকা,

দুই পৃথিবী

অন্যদেশ থেকে বিয়ে করে আনলি? তাতে আপত্তি নেই। তবে নিজের মেয়ের বয়সের? তাও তালাকপ্রাপ্ত? এ বিয়ে টিকবে তো? মায়ের হাজার সংশয়। রঞ্জু উত্তর দিল— কেন মা, তোমাদের বয়সের হলে কি আপত্তি থাকত না? যতদূর জানি ঠাম্মার এ বাড়িতে এসে দাঁত পড়েছিল। আর এমন কেন ভাব

সুফিকণিকা : পর্ব্ব দুই

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়ও হয়ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির কয়েকটা এখানে

টক, টাক, টুকটাক

বৈশাখ মাস, গাছভর্ত্তি কাঁচা আম। তন্ময় আর তার চাচাতো ভাই তমাল এসেছে কাঁচা আম পাড়ার জন্য, বিজলী আপু কাঁচা আমের ভর্ত্তা খেতে ভালবাসে। কাঁচা আম কুঁচিকুঁচি করে কেটে রসুন কাঁচামরিচ লবন সর্ষে তেল মেখে এমন ভর্ত্তা বানায়, কেবল খেতেই মন চায়। পালদাদা কোথা থেকে আসছিল,

শূন্যের সমীকরণ

আচ্ছা স্যার, মানুষ এতটা অসুখী হয় কেন? সবাই সুখী হতে চায়, তবে সবাই হয় না কেন? — বলল বদরুল। স্যার কিছুক্ষণ মৌন থেকে চায়ে চুমুক দিয়ে বলল— আমরা নিজের নয় অন্যের সুখেই অসুখী হই বেশী। আসলে মহাবিশ্বে এমন কোন উপাদান নেই যা সুখী বা অসুখী

ভয়

মেয়েটী কী ভয় পাচ্ছে? পাওয়াটাই স্বাভাবিক। বাসে মাত্র তিনটা প্রাণী। প্রাণীরা ভয় পেলে তাহাদের চোখের দিকে তাকাতে হয়। বিড়াল ভয় পেলে চোখের পিউপিল চিকন, লম্বাটে হৈয়ে যায়। মানুষের পিউপিল বড় হয়। তবে আধুনিক মানুষ মুখোস পড়ে থাকে। তবু মানুষ স্বাভাবিকভাবে ১০/১৫ বার চোখের পলক ফেলে,

‘গ’ ও ‘ঘ’ পরিচিতি

রাতুল তার আম্মুর কাছে ‘গ’ ও ‘ঘ’-এর পরিচয় জানতে চাইলে তার আম্মু তাকে বলল, এ জন্য তোমাকে কিছু উদাহরণের সাহায্য নিতে হবে। আর আমিও তোমাকে উদাহরণসহযোগে বুঝিয়ে বলব। যেমন: কোথাও যেতে হলে একপা উঠালে আরেক পা থামাতে হয়। অর্থাৎ এক পা যখন সম্মুখে যাওয়ার জন্য

আলোচনা : ‘ঞ’ প্রসঙ্গ

কতিপয় গানের পাখী একত্রিত হয়েছে মাতৃভাষার বিপর্য্যয়রোধকল্পে আলোচনার জন্য। আলোচনা সভায় ময়না, টিয়া, টুনটুনি, শ্যামা, কোকিল, বুলবুলি, ফুলঝুরি, খঞ্জন, ফুটফুটি, কমলাবউ, বেনেবউ, নীলটুনি, মুনিরা, দুধরাজ, ফটিকজল, সহেলীসহ আরো অনেকেই উপস্থিত হয়েছে। আজকের আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করছেন, বাংলার জাতীয় পাখী দোয়েল। পরিচালনায় আছে মিষ্টি মেয়ে টুনটুনি।