সমসাময়িক

রুচি রসের ভাবনা

* রূচি > √রুচ্ + ই।  ই > সক্রিয়ন/গতিশীল/আধেয়/পুরুষ। রূচি প্রবাহিত/চলমান। * রূচী > √রুচ্ + ঈ।  ঈ > সক্রিয়/গতিশীলতা/আধার/প্রকৃতি। রূচী বদ্ধ/অপ্রবাহিত/অচলমান।   রক্ষণ কিংবা রহন অথবা ভক্ষণের নবোদ্দীপ্ত চয়নের সক্রিয়ন/গতিশীল-ই হৈল রুচি। আবার বঙ্গীয় শব্দকোষ বলিতেছে, রুচ্ + ই – (দিপ্তী + সক্রিয়ন) >

ভাষা, সংস্কৃতির বৈষম্যে সমাজের অবক্ষয়

  গতকাল (টিএসসি) শাহবাগে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্রের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালী কনসার্টে হামলায় যতদূর বুঝতে পারছি এটা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা ছিল ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণসংযোগ এড়াতে। বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্য্যন্ত তৎকালীন পূর্ব্ব বাংলায় (বর্ত্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত

রেহানা মরিয়ম নূর : একজন দর্শকের চোখে

রেহানা মরিয়ম নূর দেখ্‌লাম, এই প্রথম বাংলাদেশের কোন সিনেমা দেখে সিনেমা সিনেমা লেগেছে— সিনেমা দেখ্‌ছি মনে হয়েছে। সেক্স আর ভায়োলেন্স, উদ্ভট সাজপোষাক, অপ্রয়োজনীয় চিৎকার, অকথ্য ভাষায় গালাগালি এইসব বাদ দিয়েও শুধুমাত্র একটা টপিকে ফোকাস করে একটা চরিত্রকে প্রধান করে তাহার চারপাশের বাস্তবতা, সমাজ, রাজনীতি কতটা

আমপাতা ও নীল শাড়ী

বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফির্‌ছিলাম। বাঙ্গালাদেশের ওপর বিমাণ পৌছানোর পর সারাক্ষন জানালা দিয়ে বাঙ্গালাদেশের নদী আর সবুজ দেখ্‌তে দেখ্‌তে ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। বিমাণের চাকা যক্ষণ ঢাকার রানওয়েতে নাম্্‌ল, তক্ষণ আর ইমোশন ধরে রাখ্‌তে পারলাম না। চোখ দিয়ে তক্ষণ টপ্ টপ্ করে পাণি পড়ছিল। আমার

হাজার বছরের বাঙালী

ভীতু বাঙালী, ‘থিতু’ বাঙালী, হুজুগে বাঙালী, সাম্প্রদায়িক, পরশ্রিকাতর, কখনও ধর্ম্মপ্রবণ তো অপরাধপ্রবণ। একদিকে যেমন অতিথিপরায়ণ, আবার অকৃতঘ্নও বটে। মানুষের বিপতে (বিপদে) এগিয়ে যায়, আবার ভাই ভাইয়ের, প্রতিবেশীর রক্ত ঝরাতেও দ্বিধাবোধ করে না। বাঙালীর এই চিন্তার মানসপট বুঝতে হলে হাজার বছর পিছনে যেতে হবে। প্রাচীন এই

হাসান আজিজুল হকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ও রবীন্দ্রনাথের “আগুনের পরশমণি”

হাসান আজিজুল হকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের “আগুনের পরশমণি” গানের মধ্য দিয়ে উৎযাপনের সমালোচনা হচ্ছে ইসলামী মহল থেকে। সেকুলাররা রবীন্দ্রনাথকে মনোপোলাইজ করার কারণে ইসলামিস্টরা রবীন্দ্রনাথকে শত্রুতার কাতারে দেখে। এই প্রতিক্রিয়া দিয়া রবীন্দ্রনাথকে বোঝা মুশকিল। আর সেকুলাররা যদি মৃতদেহ সৎকারকে সেকুলারাইজ করে তাতে আপত্তি কেন? তারা কি

র‍্যাগ ডে এবং সংস্কৃতির সঙ্কট

এই দেশের সিংহভাগ আলেমশ্রেণী ইসলামী সংস্কৃতিকে বিদ’আত বলে যতৈ দূরে ঠেলে দিচ্ছে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির আগ্ৰাসন ততৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংস্কৃতিহীন কোন জাতি বাঁচিতে পারে না। আর বছরে দুই ঈদ দিয়ে সংস্কৃতির অভাব পূরণ করিতে বলা নিছক বোকামি বৈ’ ত কিছুই নয়। দেখুন, এই দেশের ছাত্ররা আগে

রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রসঙ্গে

শিল্পের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? নিশ্চয় এর সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে। একটা কথা হয়ত বলা যায় General Discussion-এর মাধ্যমে কিন্তু কোন কিছু না বলেই ভাবের প্রকাশ একমাত্র শিল্পের দ্বারাই সম্ভব। মানুষের মুক্তি, অসহায়ত্ব কিংবা আনন্দ-বেদনা যখন কবিতা, গানে কিংবা নাচে ফুটে ওঠে, তা তখন General Discussion লেভেলে থাকে না,

আফগানিস্থান— প্রসঙ্গ : অতীত ও বর্ত্তমান

তালেবান উত্থানের কারণ অনুসন্ধানে বামাতী-জামাতী, যুক্তিমনা-চুক্তিমনা, ধার্ম্মিক-নাস্তিক ইত্যাদি বামন বনসাই পণ্ডিতেরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। কেহ আমেরিকা, কেহ রাশিয়া, কেহ পাকিস্তান, কেহ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, কেহ ইসলাম, কেহ আল্লাহর রহমতকে তালেবান উত্থানে মূখ্য কারণ দাবী করছেন। এভাবে জঙ্গিবাদ বা কট্টর ধর্ম্মমত প্রতিষ্ঠা পেলে দু’চারটী রাষ্ট্র ছাড়া সবদেশেই

ভাষার সমাজ, চেতনাকাঠামো ও পরিবর্ত্তন

জীবন ও জগৎ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা নিয়ে আমরা আমাদের ভাষার সমাজে আছি, কিন্তু ভাষা জানা আর প্রকাশের যোগ্যতা আমাদের এক রকম নয়। ভাষাবিজ্ঞানী জোনাথান কালার ‘কিছু বোঝা আর না বোঝার’ সাথে ভাষা বিষয়ক Competence আর Performance-কে যুক্ত করে বলেন, একই বিষয় সম্পর্কে আমরা ভিন্ন

বাঙ্গালা বানান কী কঠিন, কী কঠিন! অথবা, বাঙ্গালা বানান কি সত্যিই জটিল!

সম্প্রতি এক বাঙ্গরেজ কলেজছাত্রীর সাথে কথা হচ্ছিল— উফ্! বাঙ্গালাটা কী কঠিন ভাষা। হ্রস্ব ই, দীর্ঘ ঈ, কোথায় যে কোন্টা বসবে বোঝাই যায় না। আরে, উচ্চারণ তো সেই একই— /i/। তাহলে এত জটিলতা কেন। এইজন্যই বাঙলা ভাষা দিয়ে হবার কিছু নয়। মোবাইলেও সেই জন্যই নাকি বাঙলা

সংস্কৃতির সেকাল একাল

আমাদের আদি সংস্কৃতি গুলোর দিকে একটু পেছন ফিরে তাকাই। যেমন— কবিগান, পালাগান, জারী, সারী, ভাটিয়ালী, যাত্রাপালা আরো বহুবিধ সংস্কৃতি ছিল বাংলার অঙ্গনজুড়ে। যাত্রাপালা বাঙ্গালী জাতীর সবচেয়ে বৃহৎ প্রেক্ষাপটে এক আদি সংস্কৃতি। সিনেমা এসে এ ভুখন্ডে তখনও পৌঁছায়নি, অষ্টাদশ শতক অর্থাৎ ১৭০০ সালে যাত্রা ধারণাটি ছড়িয়ে