প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ৩)

এনলাইটেনমেণ্ট কী বস্তু?

এনলাইটেনমেণ্ট (Enlightenment) হচ্ছে স্ব-আরোপিত অভিভাবকত্ব থেকে মানুষের মুক্তি। অভিভাবকত্ব হচ্ছে অন্যের দিক্-নির্দ্দেশনা ছাড়া নিজের বোধশক্তি ব্যাবহারের অক্ষমতা। এই অভিভাবকত্বে মানুষ স্বেচ্ছায়-আবদ্ধ হয় যখন এর কারণ যুক্তির অভাবে নিহিত থাকে না, বরং অন্যের দিক্-নির্দ্দেশনা ছাড়া তা ব্যাবহারের সংকল্প এবং সাহস না থাকা এর কারণ হয়। জানার

ভাষা ও সাহিত্য

অধ্যাপক মহাশয় ভাবিতেছেন, ভাষা ও সাহিত্য একৈ বিষয় না! … ইহা ভুল ভাবনা! … কারণ, ভাষা ও সাহিত্য পরস্পরের পরিপূরক, না হৈলে সাহিত্য করার জন্য আপনি ভাষাকে বেছে নিয়েছেন কেন? … মানুষের (উদ্ভাসিত) নৈমিত্তিক জীবন যাপনের যেই ভাষ্, সেই ভাষ্-এর আধার হৈল ভাষা। এই ভাষা/প্রকৃতিই

বিজুর অজানা কথা

এই রচনাটা কলিম খান এবং রবি চক্রবর্তী রচিত ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক শব্দার্থবিধি অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। আমরা বাঙ্গালা, হিন্দী, ইংরেজী বিভিন্ন ভাষার অভিধান খুললে চাকমা শব্দের সাক্ষাৎ পাই। এই যুগের ঐতিহাসিক ভাষাতাত্ত্বিকেরা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন যে, বর্ত্তমান পৃথিবীর সমস্ত ভাষা, যাহার সংখ্যা ৬০০০, আসলে একৈ আদি মহাভাষা

জাক লাকাঁ এবং ‘নির্ম্মিত’ মানুষ

বাঙ্গালা ভাষায় জাক লাকাঁকে নিয়ে লেখালেখি খুব একটা চোখে পড়ে না। এই কথা আমরা জানি যে লাকাঁ পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। সাইকিয়াট্রী ছিল তাহার কর্ম্মক্ষেত্র। অথচ খোদ সাইকিয়াট্রীতেই লাকাঁ পড়ানো হয় না। এদিকে এ-ও বলা বাহুল্য হবে না যে, সাইকিয়াট্রী বিশেষত সাইকো-অ্যানালিসিসকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লাকাঁ

রোদন অরণ্যেই করুন, অরণ্যৈ বোঝে মর্ম্মব্যথা

রোদন অরণ্যেই করা উচিৎ। মানুষ মানুষের ভাষা বোঝার সময়, মানবিক পরিস্থিতি হারিয়ে ফেলেছে। বৃক্ষদের দিকে তাকান, যক্ষণ মানুষ ছিল না তক্ষণো তারা প্রাণপ্রদায়ী বায়ু, সুশীতল ছায়া, ফল এবং ফুল প্রদান করেছে। তাহাদের ওপর মানুষের এত অত্যাচার সত্ত্বেও তাহাদের সেই দানের কমতি পড়ে নাই কোনদিন। বৃক্ষদের

( . ) বিন্দুরূপিণীর নয়ন দর্শন

… শূন্যে উত্থান তোমার, তুমি এ-ক > দিশাগ্রস্তন্-কারী! দিশা থেকে বিদিশার পাঠশালায় (এ) দিশাগ্রস্তন্ (ই) সক্রিয়ণ্ তোমাকে বলিতেছি, ‘এই’, শোন গো— তোমার এলাকা কোথায়? কোথায় চলিতেছ? … তোমার ‘(এ) দিশাগ্রস্তন্ (ল্) লালন্ (আ) অস্তিত্ব (ক্) করণ্ (আ) অস্তিত্ব’ অর্থাৎ এলাকা; বলিতেছে (তোমার) আগেও শূন্য, পরেও

প্রেমিকের রং

ভালবাসার গান গেয়ে পাখী আজ ঠোঁট থেকে বের কর্‌ছে মাইল মাইল অন্ধকার। পালক থেকে মুছে ফেলেছে জলের দাগ। সমূহে ঝর্ণা ভেঙ্গে পড়্‌ছে সাগরের বুকে। যে’খানে জল পড়্‌ছে সেখানে সৃষ্টি হয় কাল ফুল। কাল ফুলের পাপড়িতে বিলাপের সুর। বিলাপের শরীর জুড়ে কেবল স্মৃতি। ফোয়ারা হয়ে ছড়িয়ে

এক্ষণো

এক্ষণো কী রাত্রি জাগো আলোর নীচে? ঘুম পেরুনো অতল প্রহর রূপোর সিঁড়ী পায়ে পায়ে নেমে গেলেই সুবর্ণ-মেঘ? বৃষ্টি ফুলে গাঁথতে পারো শ্যামল নূপুর? কৌতূহলে দিচ্ছো ছুঁয়ে অবাক দুপুর নিলয় স্রোতে পাল ওড়ালে প্রত্ন-খাঁড়ী! বালু-ঘড়ির ঝর্ণাধারায় মগ্ন সময় অল্পস্বল্প গরজ আছে ব্যস্ততারও… যদি বলো চিরকুটের সেই

মারমেইড মুহূর্ত্ত

মারমেইড মুহূর্ত্তগুলো স্রোত সাঁতরে রূপান্তরের নোঙরে… উপকূল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাযাবর পাল-মাস্তুল শূন্যযাত্রায় বাড়িয়েছ আকাশ, ছায়া নকশায় বিহান-সায়ংকাল, ট্রপিক্যাল সবুজ ছাড়িয়ে পর্ণমোচী পদাবলী দিনলিপি জুড়ে! নিবিড় বিকেলবেলায় দোল দোল দুলুনি… এক এক দোলায় চলকে যাচ্ছে চায়ের কাপ! পায়রা ওড়ানো সকালে করতলে নমিত আকাশ, আজ বহুদিন! গিরিবাজ,

সল্ট এণ্ড পেপার

তোমার সন্ধ্যেগুলো সিল্ক মিহিন ভাসছে, কলমকারি নকশায়, সৈকত ঘেঁষা পাব প্যাটিওর উন্মাতাল আটলান্টিক হাওয়ায়! আকাশ ধীরে ধীরে নীল থেকে সোনালী হচ্ছে খুব নিঃশব্দে, তুমুল ভালোবাসছো তুমি জীবন যাপনের এক একটা দিন! হাতের গ্লাসে সিগনেচার ককটেল, ‘টোয়াইলাইট ট্যাঙ্গো’, কোন দিন ‘সান কিসড ব্লুজ’, নামগুলো তোমারই দেয়া!

টেক্সটিং

তোমার জন্যে মেঘমল্লার, আকাশ ছেঁচে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, এই অবেলার বর্ষণে ভিজবে কি না ভেবে দেখতে পার… পরদিন সকাল বেলায় রোদ্দুর মাখা সুপ্রভাত বলে আলো জ্বেলে দিলে দিন দুপুরে… উত্তুরে রেল গাড়ি গোলাপ বন পেরিয়ে উষ্ণতার দিকে চললো, ব্যস্ত দিনমান কেউ কি বলবে থেকে থেকে,

অনর্থযাপন

ঘরের ভেতরে আমি অন্য এক আকাশের ছবি দেখি, জানালার পর্দ্দাগুলি চিরকাল গোপনতা খুঁজে। জানি, সমুদ্রশৈবাল কোনোদিন নিজের দেহের ভাঁজে সমুদ্র খুঁজে না, তবু ধ্বসে পড়ে বালিয়াড়ি, চকমকি ঠুকে কেউ আগুন জ্বেলেছে তবে? কারা আজ জলের গভীরে দিল ডুব, তুলে আনে শঙ্খের গুঞ্জন, তবু দিগন্ত প্রাসারিত