প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ৬)

এগার সেপ্টেম্বর

এগার সেপ্টেম্বরে তুমি বিতাড়িত, বিলুপ্ত, সমাহিতপতিত গাছের নীচে, দিগন্ত উত্তোলিত গ্রামের কাছাকাছিপাহাড়ী আশ্রমের ঘণ্টাধ্বনিতেযেখানে তোমার বার বছর বয়সী কন্যার স্বপ্ন  উচ্ছেদ হচ্ছেবুকের ভেতর থেকে কবিতাসারি সারি বৃক্ষেরা সরে যাচ্ছে দৃষ্টির বাইরে এগার সেপ্টেম্বর হৃৎপিণ্ড তলিয়ে যেতে থাকেঘণ্টাধ্বনিতে, বয়ষ্ক পৃষ্ঠাগুলোর অনভিজ্ঞ পাঠেতাদের সম্মানে, যারা এসেছে আমাদের

রোদনের পদাবলী

সেই কবে মারা গেছে, হাঁটুজল নদী, বাঁকে বাঁকে ঢেউয়ের দোলা, কাশফুলের ওড়না ওড়া বনে বাতাসের দোলা, সবুজের নৃত্য, দোলায়িত মন, মাঠের রাখাল, গরুর পালের হাঁটুজল পাড়ি, দড়ী ছেঁড়া গাভীটার পিছু ছোটা, রাখালিয়া বাঁশীটার মেঠোমনা সুরে নেচে নেচে খেলা করা ঘাসফুলটার মন, উদাস কুটীরে ফেরা সময়যাপন,

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও বাঙ্গালা-বাঙ্গালীর রাজনৈতিক হাহাকার

সেই কবে মারা গেছে, হাঁটুজল নদী, বাঁকে বাঁকে ঢেউয়ের দোলা,কাশফুলের ওড়না ওড়া বনে বাতাসের দোলা, সবুজের নৃত্য,দোলায়িত মন,মাঠের রাখাল, গরুর পালের হাঁটুজল পাড়ি,দড়ী ছেঁড়া গাভীটার পিছু ছোটা, রাখালিয়া বাঁশীটার মেঠোমনা সুরেনেচে নেচে খেলা করা ঘাসফুলটার মন, উদাস কুটীরে ফেরাসময়যাপন, ভরা কলসের আকাঙ্খা,সময়ের পটভূমিকায়, মনে, খেলছে

নিঃক্ষত্রিয়

সবাই নয়। হয়ত কেউ কেউ মৃত্যুর মত কিংবা মৃত্যুর কাছাকাছি কিংবা মৃত্যুর চেয়ে ভয়ঙ্কর। অপমানে-অপমানে অবগুণ্ঠিত হয়েছি। ফের জেগেছি। জলে-ডাঙ্গায় কেউ কেউ নয়। হয়ত একা সবাই নয়। হয়ত কেউ কেউ অবুঝ পাতার মত গুটায়ে নিয়েছি। সিঁটায়ে গিয়েছি। লজ্জায়-লজ্জায় নিজের ভেতরে নিজে। নিজেকে ফের মেলেছি। লজ্জাবতী লতা

জীবাত্মা

  যাকে ঠিক হৃদয় নয়। ভেবে বসেছিলাম আত্মা। সেই আত্মা কখন হৃদয়ের খাঁচা ছেড়ে উড়ে গেল। এখন আমি শুন্য খাঁচার দিকে তাকায়ে থাকি। সেখানে আর কোন স্পন্দন পাই না। এখন আমার দৃষ্টি শ্মশানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি শুধু বিভ্রমের মত কিছু বিস্ফোরণ দেখি। কেউ কেউ

হিমাঙ্কের উচ্চারণমালা

বিস্ময়বিন্দু … ই হিহি তা উচ্চারণ কর আর দেখ শীতভাব জেঁকে বসেছে শরীরে! হিমঘ্রাণ প্রত্যাশী উন্মূল দূরত্বে নির্লিপ্ত ছায়ার অংশভাগী সে। মোমের ভাস্কর্য্য! নিজের ছায়ায় ভেঙে যায় জলমুকুর। মেঘ ও মন্তাজ। আগুনপোড়াসন্ধ্যা খুলছে পারস্যের গোপন গোলাপ … বুকের অলিন্দে ছিমছাম বাজতে থাকে মেঘমল্লার রাগ ও

খুনিয়ারা

সবকিছু অন্যরকম কারুকর্ম্মের মত তাদের কাছে যারা নিভৃতে খুন করে প্রকাশ্যে টেনে ছিঁড়ে নেয় শ্বাসনালী, মাথার খুলী ভাঙ্গে বাদামের খোসা ভাঙ্গার সহজ দক্ষতায় বলতে পারে, ও আর এমনকি সবই ইতিহাস অতীতের কাসুন্দি সবকিছু অন্যরকম তাদের সুবিমল আঙ্গুলের ডগায় হার মেনে হুমড়ি খায় গোক্ষুরের বিষফনা কত

পর্য্যুদাস

স্বাধীনতা বলতে ওরা বুঝত গুহার ভেতরে অন্ধকার মুক্তি বলতে ওরা বুঝত সনদে স্বাক্ষরিত দলিল সত্য বলতে ওরা বুঝত অন্ধত্বের কাছে নতজানু থাকা বিপ্লব বলতে ওরা বুঝত মুখস্ত বোলীর ঠিকাদারী আগুনমুখার জলন্ত মোহনা হাতের মুঠোয় নিয়ে আমি ফিরে এসেছিলাম আমার উদ্বাস্ত পিতার কাছে আমার সকল পরাজয়

প্রিয়, ভোরের শিউলি ঝরা পথে যেতে যেতে আপনাকে যাহা বলেছিলাম

এই মহাবিশ্ব একটা কবিতা, একটা তত্ত্ব, সৌন্দর্য্যের আধার, কবিতায় তত্ত্ব থাকে, থাকিতে পারে, না-ও পারে! কথা হৈল, কবিতা কতদূর? তত্ত্বকে নিয়ে, তত্ত্বকে ছাপিয়ে টোটাল কবিতা হৈল কতটুকু? কেবল, তত্ত্ব-ও কবিতা হৈতে পারে, যেমন পরমাপ্রকৃতি … কবিতাবিহীন তত্ত্ব কবিতা না; তত্ত্ব হৈল— কবি যক্ষণ লেখে অবচেতনে

ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ

ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ অঙ্কের গাড়ী— ধর, ১/ ২ /৩— তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশী ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ।   একটা চোখ, ভাগীরথী একটা চোখ, অলকানন্দা— দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা। আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নীচে আইসবার্গের মত নিজেরই ভঙ্গুর

স্কুল একটা রাষ্ট্রপালিত প্রাণী

এর চারটা হাত ও একটা লেজ আছে। অন্যান্য প্রাণীর মত চোখ, কান না থাকলেও তাহার একটা মুখ আছে, যা দ্বারা সে সকাল-সন্ধ্যা অনর্গল বকর্ বকর্ করতেই থাকে। আমরা বিরক্ত হই। কিন্তু যেহেতু স্কুল একটা রাষ্ট্রপালিত প্রাণী তাই মুখ বুজে স-ব সয়ে যাই। রাষ্ট্র একটা রাখাল

ফতোয়া

শিল্প ধর্ম্মসম্মত না হয় যদি … তবে ধর্ম্ম শিল্পসম্মত নয় … কিন্তু জীবন শিল্পময়! … এবং অদৃশ্য ভাস্কর জানে মানুষ বিমূর্ত্তের গর্ভে মূর্ত্তমান জীবন্ত ভাস্কর্য্য— দৃশ্যের সৌন্দর্য্যে প্রকাশিত অদৃশ্যের নন্দনকানন … এবং আমরাও … শিল্পের সত্তার সত্যায়ণে এইটুকু বলিতেছে, কালসময়কামনাপ্রিয় টবজ অর্কিড, প্রস্ফুটিত গোলাপ, কামিনী,