কবিতা : সুবর্ণ বাংলাদেশ

পূজা কড়া নাড়ছে দুয়ারে পূজারী এসেছে জানাতে আমাকে আমন্ত্রণ— আমি তো বাঙাল, বাঙালী মুসলমান দোয়া খায়েরের শেষে খুলেছি দরজা সামনেই পূজা, স্বাগতম। যাব, নিশ্চয়ই পাতে পাব বুটের ডালের তরকারী কচিপাঠার মাংস, লুচী, নারকেল নাড়ু— এই নাও, কচকচে সবুজ পেয়ারা সামনের ঈদে তোমারও নিমন্ত্রণ ভুরিভোজ হবে

কবিতা : বনাম কিম্বা বিলাপ

সপক্ষ, সুনাম, সুখ‍্যাতি — বনাম, বদনাম, কুখ‍্যাতি সুখী, শান্ত, পরিপূর্ণ — অসুখী, অশান্ত, অপূর্ণ সামাজিক, সাংসারিক,পারিবারিক — অসামাজিক, চোরচোট্টা, আউলাঝাউলা আধুনিক … — অনাধুনিক, অ-রোমান্টিক, অ-ক্লাসিক বিশ্বাসী, ধার্মিক, নৈতিক — সংশয়ী,বদমাশ,নীতিবিরুদ্ধ শিক্ষিত, সুদর্শন, গোছালো — মূর্খ, বিদঘুটে, অবিন‍্যস্ত শিকড় সন্ধানী, ঐতিহ্যবাহী — নির্জল, উন্মূল, নড়বড়ে

কবিতা : এক নিশীথের মিথ্যা

কিছু কিছু মিথ‍্যা আছে সত‍্যকে বাঁচায় কথায় বলে না— চাচা আপন পরাণ বাঁচা সবাইতো জানি— জান্ বাঁচানো ফরজ! আজ যদি সত‍্য বলি এক নিরীহ প্রাণের দফারফা হবে ঘরণীর ধ‍্যাঁতানির চোটে অবশিষ্ট মাথায় যে’কটা চুল মায়াদয়া পিছুটান ছাড়া তাও ঝরে যাবে সহসাই— কড়া নাড়বার আগে ঠিক

কবিতা : দশ টাকা ও দৃষ্টিপাত

দশ টাকা মালিবাগে মালী নাই, ভাবলাম ঘরে ফিরে যাই— চালককে বললাম — বৌদ্ধ মন্দিরে যাবেন? — যাব — ভাড়া কত? — দিয়েন চল্লিশ — কম চাইলেন! চিনেন তো? — চিনি, সবার কাছে কি সমান চাওয়া যায়! ওইখানে মহামতি বুদ্ধের নিবাস চাতকের ভিড় খুঁজে ফিরে দর্শনের

কবিতা : বিদ্রোহ

হাতটী মাথায় রেখে আশীর্বাদ কর অবলীলা, আমাকে আরেকবার ছুঁয়ে যাও— কবী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার সারবত্তার ভিতর দিয়ে আমাকে হাঁটিয়ে আন স্পার্টাকাসের শরীর থেকে হাড় এনে শল‍্যচিকিৎসায় গেঁথে দাও মেরুদণ্ডে। আপোষকামিতার নির্লিপ্ত ঘেরাটোপে বন্দী ঘোর অমানিশা সময়ের অন্ধকারে মশাল মিছিল সত‍্য— বর্শাবিদ্ধকালে প্রতিবাদ ছাড়া অন‍্য কোন