প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ৮)

সবুজ ডায়েরী

ক্যাম্পাসে গেলাম। সহপাঠী ইসরাত জাহান তানিয়ার সাথে দেখা হৈল। বল্‌ল, তুই ত ক্যাম্পাসের বিরাট তারকা, প্রথম আলোতে দেখ্‌লাম। — তাই নাকি? — হুঁ। — আমিও দেখেছি। গান-বাজনা করে ক্যাম্পাসে পৌঁছলাম। ঝুপড়ীতে হায়দায় ভাইয়ের দোকানে বসলাম। (ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেয়া) ব্যাগটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন কর্‌ল। ব্যাগটা কাঁধে

বুদ্ধ

বুদ্ধ, তুমি কি পাথরের ওপর আসন গেড়ে বসেছিলে? গাছগুলো মেঘ ছুঁয়েছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমী থেকে হরিণেরা খুঁটে নিচ্ছে ঘাস সূর্য্যালোকের অস্পষ্টরেখা ছুঁতে কিভাবে তুমি একটা হাত না বাড়িয়ে থাকতে পার? বুদ্ধ তোমার মাথার ভেতর যে দেবতা নড়েচড়ে ওঠেন, মহান যোদ্ধা যুদ্ধের আগে ধনুর্বাণ বাঁকা করতে চায়

নিউ নর্মাল ধরিত্রী

দিনরাত একাকার হয়ে গেছে। জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে সময়। ঘড়ির বুকের খাঁচায় ঘণ্টা মিনিট সেকেণ্ডের কাঁটাগুলো একগুঁয়ের মত ঠুসে গেঁথে আছে। প্রায় অচল। এগুচ্ছে কি! মনে হয় না। রুগ্ন নিথর আর সন্ত্রস্ত সময়ের উদ্বাহু যাপন চলছে পৃথিবীতে। কিন্তু আর কতদিন! আর কবে এ বনসাই

আফটার আওয়ারসে মিনি ব্রেকফাষ্ট আড্ডা

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এসেছেন শীতকালীন অবকাশে তীব্র শীতের দেশ তুরস্ক থেকে অল্পশীতের দেশ বাংলাদেশে। তাকে উষ্ণ আমন্ত্রণ জানাতে আফটার আওয়ারসে মিনি ব্রেকফাষ্ট আড্ডার আয়োজন করলেন কবী ও ভ্রামণিক মাহমুদ হাফিজ যিনি এই তো সেদিন মান্যবর রাষ্ট্রদূতের ততোধিক উষ্ণ আতিথেয়তা পেয়েছেন কেবল ইস্তাম্বুল

দ অথবা বর্ণহীন ও অন্যান্য কবিতা

দ অথবা বর্ণহীন কালো—— আলো বসিয়ে আন্ধাগুন্ধা ব্লেড ঘুরাচ্ছে আলো ঘুরাচ্ছে—— গোপন খুন। ফোঁটা ফোঁটা ফিনকি ফিনকি ঝরছে সাদা- রুধির। আলো—— শব্দহীন চিৎকার গোঁ গোঁ গোঙ্গানো পার্শ্ববর্ত্তী শীৎকার রস রক্ত গড়িয়ে আসছে; বেগে আসছে কামজাত চিৎকার— শীৎকার— শীৎকার— চিৎকার— এ লীলা হেরিলে কালো আলো হয়ে যায়;

বৃষ্টিকে মনে হয় হানাদার

যুদ্ধ কোন সহজ ঘটনা না। অস্ত্রকারবারীদের নির্ম্মম খেলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাদের ওপর। কর্ণফুলী পেপার ও রেওয়ান মিল অবাঙ্গালী দাউদ কোম্পানীর সম্পত্তি হওয়ায় যুদ্ধের শুরুতে সেনাবাহিনী চন্দ্রঘোনায় ঘাঁটী গাড়ে। মিলগেটের তল্লাশি এড়ানোর জন্য মা আমাদের নিয়ে স্কুলের পিছনের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে নিস্তব্ধ বনপথে দোভাষী বাজারের দিকে

শীতল আগুন উষ্ণ আগুন

সায়ন্তিকাকে যেদিন হঠাৎ দুপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, সেদিন শুধু সায়ন্তিকার ঘরেই নয়, বরং পাড়াতেও রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কী ব্যাপার! কথা নেই বার্ত্তা নেই মেয়েটা বেমালুম কোথায় উধাও হয়ে গেল! খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেদিন কলেজে অনার্সের কোন পিরিয়ডেই সে উপস্থিত ছিল না।

ভাষা, সংস্কৃতির বৈষম্যে সমাজের অবক্ষয়

  গতকাল (টিএসসি) শাহবাগে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক ছাত্রের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালী কনসার্টে হামলায় যতদূর বুঝতে পারছি এটা ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা ছিল ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণসংযোগ এড়াতে। বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্য্যন্ত তৎকালীন পূর্ব্ব বাংলায় (বর্ত্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত

তমসাপ্রবঞ্চনা কাব্য থেকে নির্ব্বাচিত কবিতা

জ্যোৎস্না দর্শন এলাচের সুঘ্রাণ নিয়ে মাঠে-ইঁদুরের দেহের মতন আর্দ্র মাটীতে হেলে পড়ে চাঁদ, শীর্ণ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ভেসে যায় পরিযায়ী মেঘ, বাতাসের সেকি আর্ত্ত-করুণ সুরে সুরে আমাদের অস্থী ও ত্বকে আঙুল বুলিয়ে যায় স্মৃতি, কাকে আর ডাকব বল? বহুদিন আগে মরে গেছে, শুকনা ঘাসের ওপর

সুফিকণিকা : পর্ব্ব তিন

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যাবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়-ও হয় ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির তৃতীয়পর্ব্ব

সভ্যতার শুরুতে

লোকটা ঠিক সন্ধ্যা ছয়টা তিন মিনিটে চিৎকার দিয়ে ওঠল, আমার টাকা কেন দিবি না! চারপাশে এমনিতেই গাড়ী ছিল না, তবুও যেন ঠিক সন্ধ্যাটা একটা নিঃস্তব্ধতায় আটকে গেল। টক স্বাদের সন্ধ্যা। মাগীর পুত টাকা দে মাগীর পুত, লোকটার চিৎকারে আবার নিঃস্তব্ধতা ভাঙল! সবাই ফিরে তাকায় তার

প্রথম তুষার

আকাশ ভেঙ্গে রূপার গুঁড়ো, দিনভর শ্রবণাতীত তরঙ্গে অবিশ্রান্ত রূপা বৃষ্টি জমে উঠছে একটা রূপালী রূপকথা জানালায় তুষারবৃক্ষ, কী নামে ডাকি তোমায়? হিমাঙ্ককে পেরোয় অভিলাষী উল্টোরথ জলের ওপর অপরূপ ক্রিস্টাল ফুল! দূরে হ্রদের জলে সূর্য্যের প্রতিশ্রুতি, উষ্ণতার খোঁজে ডলফিনেরা জটলায় … দলছুট মীনশিশু সাঁতরায় সূর্য্য বরাবর