প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ৯)

রেহানা মরিয়ম নূর : একজন দর্শকের চোখে

রেহানা মরিয়ম নূর দেখ্‌লাম, এই প্রথম বাংলাদেশের কোন সিনেমা দেখে সিনেমা সিনেমা লেগেছে— সিনেমা দেখ্‌ছি মনে হয়েছে। সেক্স আর ভায়োলেন্স, উদ্ভট সাজপোষাক, অপ্রয়োজনীয় চিৎকার, অকথ্য ভাষায় গালাগালি এইসব বাদ দিয়েও শুধুমাত্র একটা টপিকে ফোকাস করে একটা চরিত্রকে প্রধান করে তাহার চারপাশের বাস্তবতা, সমাজ, রাজনীতি কতটা

দশ টাকা ও দৃষ্টিপাত

দশ টাকা মালিবাগে মালী নাই, ভাবলাম ঘরে ফিরে যাই— চালককে বললাম — বৌদ্ধ মন্দিরে যাবেন? — যাব — ভাড়া কত? — দিয়েন চল্লিশ — কম চাইলেন! চিনেন তো? — চিনি, সবার কাছে কি সমান চাওয়া যায়! ওইখানে মহামতি বুদ্ধের নিবাস চাতকের ভিড় খুঁজে ফিরে দর্শনের

তিনটা কবিতা

ক্ষত বিষয়ক সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা ভাবছি, ক্ষতটা সেলাই করে নেব; হাত দুখানি জুড়ে দেব আর দুখানি হাতে। ব্যাক্তিগত হতে হতে ক্রমান্বয়ে বিষিয়ে উঠছি নিজের কাছে— এপারের নুড়ীগুলো কান পেতে থাকে ওপারের বালিদের আলাপনে— হাত বাড়ালেই বুঝি লোপ পাবে দূরত্বটুকু— বেজে ওঠবে সমবেত কোলাহল— পলির কারুকাজে

আমপাতা ও নীল শাড়ী

বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফির্‌ছিলাম। বাঙ্গালাদেশের ওপর বিমাণ পৌছানোর পর সারাক্ষন জানালা দিয়ে বাঙ্গালাদেশের নদী আর সবুজ দেখ্‌তে দেখ্‌তে ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। বিমাণের চাকা যক্ষণ ঢাকার রানওয়েতে নাম্্‌ল, তক্ষণ আর ইমোশন ধরে রাখ্‌তে পারলাম না। চোখ দিয়ে তক্ষণ টপ্ টপ্ করে পাণি পড়ছিল। আমার

বাঁক

আঁ-কা-বাঁ-কা সবুজ মাঠের পথ ধরে হেঁটেছি কেবল, উজান ভাটির ব্যাকরণে শুনি নাই জলের কাকলি। (…) এটুকু বুঝিনি, কতটা আঘাত পেলে বাঁক নেয় নদীটার মন, অভিমানে সরে সরে যায় নদীয়ার কূলে, জলজ ভাষায় ভেসে ভেসে যায় কাঁখের কলসী, কূলের কথণে ভেসে ভেসে যায় ঘাটের কাহন, মরমিয়াগাথা

নিজের তিরাসের কাছে

নিজের তিরাসের কাছে আমি তো নগন্য মানুষ একটা বুঝি বা না বুঝি তা’রি ইবাদত করি সকাল বিকাল মনে মনে বানানো সুরতের আদলে নিরাকার পাথর ভাঙ্গি চাইরদিকে উড়াই কা’র ছায়ারে কে ফালায়া যাইতেছে পথে দূরে যাইতে যাইতে ফসলের বাঁসে ফিরে যারা তারারেও দেখি চায়ের দোকানে বসি

পৎ থেকে পাতাল

মা এসেছিলেন, লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই তড়িঘড়ি চলে গেছেন, বাড়ী ছাড়া উনার ভাল লাগে না। রিণির তাই ভাল লাগছিল না, আজ অফিস বন্ধ, কিন্তু বাসায় বসেই অনলাইনে কিছু কাজ সারতে হবে। জানালার পাশে সেই কখন থেকে দুইটা টুনটুনী ওড়াউড়ি করছে, রিণি একমনে তাই দেখছিল। কলিংবেলের

সোনারঘাট

খুলনা থেকে একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক এসেছিলেন আমাদের ছোট শহরে। সুমিত্রা পাল ম্যাম। সপ্তাহের তিনদিন উনি আমাদের খোলা ভ্যানে তুলে সহর (শহর) ছাড়িয়ে যেখানে নদী বেশ চওড়া সেখানে সাঁতার শেখাতে নিয়ে যেতেন। আমরা সাঁতার ম্যামের ঘাড়ে পিঠে চড়ে হইহই করে সাঁতার শিখতে চলে যেতাম। কখনো নদীর

হাসান আজিজুল হকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ও রবীন্দ্রনাথের “আগুনের পরশমণি”

হাসান আজিজুল হকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের “আগুনের পরশমণি” গানের মধ্য দিয়ে উৎযাপনের সমালোচনা হচ্ছে ইসলামী মহল থেকে। সেকুলাররা রবীন্দ্রনাথকে মনোপোলাইজ করার কারণে ইসলামিস্টরা রবীন্দ্রনাথকে শত্রুতার কাতারে দেখে। এই প্রতিক্রিয়া দিয়া রবীন্দ্রনাথকে বোঝা মুশকিল। আর সেকুলাররা যদি মৃতদেহ সৎকারকে সেকুলারাইজ করে তাতে আপত্তি কেন? তারা কি

ক্রিষ্টোফার কলম্বাস এবং অপ্রিয় কথা

উত্তর ঔপনিবেশিক ধারণা গড়ে ওঠেছে মূলতঃ গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্দ্ধ থেকে, এটী যেমন বহুল সমাদৃত আবার ঠিক তেমনভাবেই বহুল বিতর্কিতও! এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Post Colonialism, অর্থাৎ উপনিবেশের পরের অবস্থা। এর থেকে একটা একটা ধারণা মেলে যে উত্তর ঔপনিবেশিক মতবাদ একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের কথা বলছে, পাশাপাশি এটাও

পড়ে থাকা পাতা

পড়ে থাকা পাতা দেখে গাছ হলুদ শরীর কিছু পতনের চিহ্ন দুঃখের নিরালা এক ফোঁটা দীর্ঘশ্বাস বাকী সবুজ পাতার আগাম শুন্যের গান পাতাদের ডাক বেদনার ঘুমের আউলিতে কিছু কুঁড়ি মু‘ছতেছে পতনের আহাজারি বিচ্ছেদী টান ছিঁড়াবিড়া পাতা পইড়া থা‘কতেছে উ‘ড়তেছে, পু‘ড়তেছে না-দেখা আগুনে গাছ ফিরে গাছের ভিতর।

র‍্যাগ ডে এবং সংস্কৃতির সঙ্কট

এই দেশের সিংহভাগ আলেমশ্রেণী ইসলামী সংস্কৃতিকে বিদ’আত বলে যতৈ দূরে ঠেলে দিচ্ছে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির আগ্ৰাসন ততৈ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংস্কৃতিহীন কোন জাতি বাঁচিতে পারে না। আর বছরে দুই ঈদ দিয়ে সংস্কৃতির অভাব পূরণ করিতে বলা নিছক বোকামি বৈ’ ত কিছুই নয়। দেখুন, এই দেশের ছাত্ররা আগে