কবিতা (Page ১১)

মজিব মহমমদ এর কবিতা

ক. গোলের খেলা ফুটবল ফুটবলও গোল শুটিংয়ের গয়নাবোঝাই বউয়ের মতো সাজানো বাপ-দাদার এ শহরে কৃষকের ক্ষেতে পঁচতে থাকা সবজির চেয়েও কমদামে মানুষের কাটা তাজা মাথা পাওয়া যায় মাথাও গোল। বারুদে ঠাসা ককটেল গোল গোল সলটেড বিস্কুটের মতো মোড়ানো ও প্যাচানো সূর্যের বোটা খুলে কে যে

দ্বীপ দিদারের কবিতা

প্রাচীরের ঘাস ও শ্যামল সমাচার এসব জীর্ণ প্রাচীরে ঘাসের বর্ণমালায় মুদ্রিত হচ্ছে শ্যামল সমাচার* এ শহর একদিন ছাই হবে মানুষেরই নিঃশ্বাসে** সভ্যতার পোড়া রসায়নে* জীবনের জৈবসারে* অঙ্কুরিত হবে পুনরায় সবুজের আচ্ছাদন** কিছু ঘাস অপেক্ষায় আছে* একদিন যারা মাটি ভালোবেসে মাটিচাপা দিয়েছিলো মানুষি পরিচয় পত্রখানা** আবার

নাচো হে ঘুঙুর জড়ানো সন্ধ্যা

নাচো হে ঘুঙুর জড়ানো সন্ধ্যা-নাচো সারসের চঞ্চুতে-সময়ের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে মলিন হয়েছে চিঠি-কৃষ্ণআখর, যতোগুলো ধ্বনি আছে ধাতুর ঝংকারে, আছে ততোগুলো সুর, তবু কেনো থেমে আছে গান? ভেঙেছে সেতার? একেকটা তারা যেনো সরে যায় একেকটা চুম্বন থেকে দূরে, একেকটা যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে থাকে ঘোড়াদের মৃত চোখে ফুলের

নস্টালজিয়া

ধ্রুপদ মুদ্রায় ঘুরে আসে নস্টালজিয়া হাত ধরলেই সিঁড়ি বেয়ে চিলেকোঠা গনগনে ভর দুপুর, ছায়া শিকার চুরি চুরি লুকোচুরি, মানিপ্ল্যান্ট লতায় তুমিও এক একদিন, ক্লান্তিহীন ঊর্ধ্বমুখ ব্যগ্র বাইসাইকেল, সময়ের ডাকনাম ছিল ‘অফুরান’ আকাশে স্থির একটা ভুবন চিল শ্যাওলা জমেছে ঐ কোণাটায় ঐখানটায় ছায়া দিনমান, শীতল একটা

দুইটা কবিতা

সহস্র উলুর স্বর হ্রেষা বেগে রক্তরাও ছুটছে টগবগে অবলীলায় পেরুচ্ছে খানাখন্দ, ঢাল দুর্মার আবেগে ভুলছো ভয় দৃষ্টিতেও থাকে সুরা, মদ্যময়-মাতাল। গেরিলার ডাকে প্রকম্পিত বন মেঘের কল্লোলে তারারা কাঁপে উত্তুঙ্গ শিরে চলছে শৌর্য্যের আয়োজন, বুকের খাপে নিশান্তের শিস কুহকের সুর বহ্নিতাপে ছেঁকে নিচ্ছ তীরের ফলা ভাবছ–

শারীরিক

জেনেছে পৃথিবী… মাটীর শরীরে জমেছে যে মনজল … মনজল ছোঁয়াল শরীর পিপাসায়… ভালবেসে শারীরিক ললিতকলার উপাচার, চুষে মনজল, করিতেছি রচনা, মাটীর ধরায় সবুজ সদন! … সবুজ সদনে ফিরিতেছি আমিই > বৃক্ষ > ফুল > ফল > বীজ > চারা > বৃক্ষ > রূপের মাধুরী মম!

বর্ষণতিথি ও অন্যান্য কবিতা

বর্ষণতিথি  বর্ষণতিথি; এ আষাঢ়েও তোমার আসা হৈল না! বেজেছ সংযমে— দূরত্বের স্বাদে ও সুগন্ধে;                সম্পর্ক নিহত হবে বিষ্মরণে?   হারিয়েছি প্রশান্তির পরিচয়পত্র        শুস্কতার লংমার্চ্চে অতৃপ্ত আত্মায়          মফস্বলী ধুলা নেচে নেচে আনে স্বৈরিণী বিরহ   বর্ষণতিথি; এবেলা আরো উষ্ণ হোক তোমার রুপালী ব্যার্থতার

চর্যাপদের কবিতা (পঞ্চম কিস্তি)

২৮ উঁচু উঁচু পর্বত, ধূঁধূঁ করছে, ওখানেই থাকে এক বালিকা সস্নিগ্ধ শরীরে ময়ুরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জাফুলের লালচে শিখা শবর, একটুকরো মত্ততা, অত অস্থির হয়োনা সহজিয়া এই ঘরণীই স-ব, দুঃখ করো না বনজুড়ে ফুলের গুঞ্জরণ, আকাশে ডালপালা মেলে ধরেছে কর্ণকুণ্ডলবজ্রধারী উদাসীন শবরী একা একা হাঁটছে পাতার অলংকারে

চর্যাপদের কবিতা (চতুর্থ কিস্তি)

  ত্রিধারায় অনাহত শব্দ বাজে গর্জে ওঠে যেমন ঘন মেঘ তা শুনে ভয়ঙ্কর শয়তান লুটে নেয় সকল আবেগ পাগলা গনেশ তৃষ্ণার ঘোরে ছুটছে নিরন্তর উফ! গুলিয়ে ফেলে গগণ প্রান্তর পাপ পূণ্যের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা চাই আকাশজুড়ে মুক্তির বারতা এর তো বিকল্প নাই রসে রসে

চর্যাপদের কবিতা (তৃতীয় কিস্তি)

১১. মায়াবতী, তোমার ঠোঁটের লোনা জলে পাক খায় অগণন ঢেউ; কাদার ভাঁজে পুঁতে ফেলো আমাকে আপাতমস্তক; ফুঁসে ওঠা চরের চিহ্ন ধরে… ঠিকই লালদাগ পার হয়ে যাব শরীরের প্রতিটি আলপথ; এই যেমন জ্ঞানকে পায়ের নূপুর আর চন্দ্রসমূহ করেছি কানের মাকড়ি রিপু রে, তুই পুড়ে ছাই না

চর্যাপদের কবিতা (প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি)

  দেহ যেন বৃক্ষের সদৃশ; পাঁচখানা ডাল পাঁচ ইন্দ্রিয় সমান চঞ্চলাপ্রবণ এ বুকে একদিকে বাসা বাঁধে মায়ার বিভ্রম, অন্যদিকে আসঙ্গ সুখ আর এ সুখদুখ ভোগ শেষে মৃত্যু কেন অবধারিত আমাদের, অথবা সমাধি রহস্যের কি হতে পারে স্বরূপ, গুরুই ভালো জানে মুক্তির উপায়- ইন্দ্রিয়পটুতা নয়, পরম

Ling(uistic) Shiva

It’s a penis— It’s a (Rainbow) pencil— It’s the creator of art and culture on the faculty of white paper!… It’s a penis— It’s a pendrive— It can save many things of the love!… It’s a penis— It’s a pen— It carries on the ‘Ism’