কবিতা (Page ১২)

দ্বারকা

খোল হে … দ্বারকা, রেখ না গো আর বাহিরে দাঁড়িয়ে, তোমাকে ভুলে যাওয়ার কোন কারণ নেই; (জীবননৈকট্যে) ফুলে যাওয়ার কারণ রয়েছে! দ্বারকা হে, সুদর্শন চক্রময় ক্ষমতাকেন্দ্রের দ্বার করণ আধারে খোল কাঠামোর মন, খুলে যাওয়ার কারণবেলায় মূলে যাওয়ার কারণ রয়েছে! উঠিতেছে প্রাচীর বেয়ে কণ্টক-আকীর্ণ কুসুমিত ভোর,

বসন্ত

বসন্ত, বসন ত্বরণ কর … কুহুকুহু … কুহুতানে … সবুজ পোষাকে … পাতায় পাতায় … গাছের শাখায় … মদনরঙীন ফুলেল ধনুকে থেকে ছিলার যোজনে বাঁকানো যায় এমন মন, জাগাও কথায় … পার্থিব সবুজকামী ধূসর ধরায়, বসনবিহীন অনাথ শিশুর রাষ্ট্রকুঞ্জে… বসন্ত বসন ত্বরণ কর— যে ভাবে

হৃ দ য় তা লী য় ব্যা পা র

আদিগন্ত সবুজপ্রচ্ছদপটে নির্ম্মল হাসির ফোয়ারায় ঝুলে থাকা উদাম আকাশ বুকে নিয়ে ঝিরিঝিরি বয়ে চলা কাশফুলময় নদীর কিনারে আপনার সাথে আমার হঠাৎ দেখা মূলতঃ হৃদয়তালীয় ব্যাপার, কাকতালীয় না! … অতএব এক্ষণ আমরা যে কবিতা অনুধাবন করতে পারি, তাহা হৈল— শরতের বৃষ্টি, সুন্দর মনের মতন হঠাৎ এসে

তিলার্থ সৌন্দর্য্য

নন্দন কাননে ঘামের শিশিরে ভেজা চিবুকে ফুটেছে তিলের গরিমা— স্বাদনপিয়াসিমন হরণে আকুল … কাজল রাতের আভাময় উন্মোচনে আরো কোথায় কোথায় রয়েছে লুকিয়ে (মুখরিত মন উচাটন) আবিষ্কারে … নোটন নোটন বোলে … তালে … জেগে যেতে পারে পাড়া! টুপ্ টাপ্ শিশির পতনে ভেঙ্গে যেতে পারে সবুজ

বিশদ পিপাসা

অসামান্য জল, কেমন আছে(ন)? আমি সামান্য শিশির, বলছি— অসামান্য জলের ধারায় মিশে যায় সামান্য শিশির! সামান্য শিশিরে রূপ পায় অসামান্য জলের ধারা— আমি ও আপনি রূপভেদে সামান্য শিশির ও অসামান্য জল, অসামান্য জল ও সামান্য শিশির। শিশিরকণায় উঁকিপরায়ণ পিপাসার জল তবুও (বি)ভ্রমে জীবনেষু করিছে ভ্রমণ

উদ্ভিদপ্রতিভা

The young team of Franziska Hildebrand, Franziska Preuss, Vanessa Hinz and Dahlmeier clocked 1 hour, 11 minutes, 54.6 seconds to beat France

প ছ ন্দ পু রা ণ

পায়ীর (পালন কিংবা পানের) ছন্দ থাকে যাহাতে তাহাকে পছন্দ বলে। ব্যা(বহার্য্য)করণে ‘প’ যোগ ‘ছন্দ’ সমান পছন্দ। এখানে ‘প’ সমান ‘পায়ী’। ‘পছন্দ’ শব্দটা তৈয়ার হ্ওয়ার আগে ‘ছন্দ’ শব্দটা তৈয়ার ছিল, এবং ‘পায়ী’ শব্দটাও! পায়ীর (ব্যাঞ্জন-বাহী-বর্ণ) প-এর সাথে ‘ছন্দ’ শব্দটা যুক্ত হয়ে সৃজন হয়েছে ‘পছন্দ’ শব্দটা। ‘পছন্দ’

অদ্বৈতম্

…………………… ‘দিশাগ্রস্তন্-কারী অর্থাৎ এ-ক কাতারের সমাজকাঠামো’ ৰিনির্ম্মাণে ‘সলাত’ প্রতীকী আয়োজন! এই ৰোধ করিতেছে ৰয়ান, সুৰেহ সাদেকে উত্তরের যানেলায় পল্লৰের ফাঁক গলে হেসে ওঠা সকালের আভা আর ঝিরিঝিরি উদ্দাম হাওয়া! কমরেডস্, এমন সলাত করি গো আদায় (শরীরের) সাতের সত্তায় (শরীয়ায়) সু-সম সমাজ ৰিনির্ম্মাণে … একত্বম্ মৌমাছির

সবুজিয়াপন্থা

………………………………………….. সুরেলা আযান জাগা সুবেহসাদেকে, জ্যোৎস্নার আলো আর শিশিরের জলে অযু করে পাখী-সব (কিচিরমিচির) সুরেলা ছুরায় পড়িতেছে সালাত, সবুজ পাতার মসজিদে। পরমের পরম আবাস, মাটীর ধরায় সবুজ পাতার মতবাদে ঊষার রঙ্গীন আলোর জিকিরে ফোটে কুয়াশামুখর ভোর, শ্যামল পাতায় লেগে থাকা শিশিরের জলে রোদমাখা সোণালী ছটায়

স্বয়ম্বরা

জনৈক সমাজতাত্ত্বিক বলিতেছেন, যেইদিন ব-এর ওপর থেকে ঔ-কারের ঘোমটা খসিয়ে উ-কারের প্রেমে পড়ে (নূতন রূপের ঝলকে … পলকে …) উত্তীর্ণন হৈল; সেইদিন থেকে চাঁপাডাঙ্গার বৌয়েরা ঘোমটা খসানো (ব্যাকরণ ভোলা) ‘বউ’ হয়ে গেল … যাচ্ছে … ব-দ্বীপ অঞ্চলে বৌ কিংবা বহনের অস্তিত্বাদিকরের বিপরীতে ‘বউ’ কিংবা বাহীর

সূর্য্যোৎসব : সকাল চর্চ্চার উপাখ্যান

ওঁ সূর্য্যং নমঃ সুন্দর দেখার পথে কোথাও যাব না এখন বসে থাকব এখানে কফির টেবিলে জীবনচরিত বিগতপথের বিষাদ হরণে ধূমায়িত কফির পেয়ালা থেকে আয়েশি চুমুকে নেব অমিয় পিপাসা! … ভেজা হাওয়ার নিমন্ত্রণে কোমল আলোর স্নানে দেখব পলকহারা ডিমের কুসুমরাঙা টিপ শোভিত কপালে পৃথিবীর প্রথম সূর্য্যোদয়!

পাঠ, মাঠ ও ঘাটের কথা

কেবল পাঠে না, চাই মাঠে এবং ঘাটেও … ভাটির উজানে কালের কলস … জল ছুঁই ছুঁই … পাঠে নীলাভ আকাশ ছোঁয়া নক্সী কাঁথার মাঠ, বসে ঘাটে দৃষ্টির সীমায় … কে কক্ষণ বাঁধিছে কাহারে? নিতে জেনে কেবল মাঠে না, চাই পাঠে এবং ঘাটেও … নী-রব ফুঁ-এর