কবিতা (Page ১২)

শারীরিক

জেনেছে পৃথিবী… মাটীর শরীরে জমেছে যে মনজল … মনজল ছোঁয়াল শরীর পিপাসায়… ভালবেসে শারীরিক ললিতকলার উপাচার, চুষে মনজল, করিতেছি রচনা, মাটীর ধরায় সবুজ সদন! … সবুজ সদনে ফিরিতেছি আমিই > বৃক্ষ > ফুল > ফল > বীজ > চারা > বৃক্ষ > রূপের মাধুরী মম!

বর্ষণতিথি ও অন্যান্য কবিতা

বর্ষণতিথি  বর্ষণতিথি; এ আষাঢ়েও তোমার আসা হৈল না! বেজেছ সংযমে— দূরত্বের স্বাদে ও সুগন্ধে;                সম্পর্ক নিহত হবে বিষ্মরণে?   হারিয়েছি প্রশান্তির পরিচয়পত্র        শুস্কতার লংমার্চ্চে অতৃপ্ত আত্মায়          মফস্বলী ধুলা নেচে নেচে আনে স্বৈরিণী বিরহ   বর্ষণতিথি; এবেলা আরো উষ্ণ হোক তোমার রুপালী ব্যার্থতার

চর্যাপদের কবিতা (পঞ্চম কিস্তি)

২৮ উঁচু উঁচু পর্বত, ধূঁধূঁ করছে, ওখানেই থাকে এক বালিকা সস্নিগ্ধ শরীরে ময়ুরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জাফুলের লালচে শিখা শবর, একটুকরো মত্ততা, অত অস্থির হয়োনা সহজিয়া এই ঘরণীই স-ব, দুঃখ করো না বনজুড়ে ফুলের গুঞ্জরণ, আকাশে ডালপালা মেলে ধরেছে কর্ণকুণ্ডলবজ্রধারী উদাসীন শবরী একা একা হাঁটছে পাতার অলংকারে

চর্যাপদের কবিতা (চতুর্থ কিস্তি)

  ত্রিধারায় অনাহত শব্দ বাজে গর্জে ওঠে যেমন ঘন মেঘ তা শুনে ভয়ঙ্কর শয়তান লুটে নেয় সকল আবেগ পাগলা গনেশ তৃষ্ণার ঘোরে ছুটছে নিরন্তর উফ! গুলিয়ে ফেলে গগণ প্রান্তর পাপ পূণ্যের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা চাই আকাশজুড়ে মুক্তির বারতা এর তো বিকল্প নাই রসে রসে

চর্যাপদের কবিতা (তৃতীয় কিস্তি)

১১. মায়াবতী, তোমার ঠোঁটের লোনা জলে পাক খায় অগণন ঢেউ; কাদার ভাঁজে পুঁতে ফেলো আমাকে আপাতমস্তক; ফুঁসে ওঠা চরের চিহ্ন ধরে… ঠিকই লালদাগ পার হয়ে যাব শরীরের প্রতিটি আলপথ; এই যেমন জ্ঞানকে পায়ের নূপুর আর চন্দ্রসমূহ করেছি কানের মাকড়ি রিপু রে, তুই পুড়ে ছাই না

চর্যাপদের কবিতা (প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি)

  দেহ যেন বৃক্ষের সদৃশ; পাঁচখানা ডাল পাঁচ ইন্দ্রিয় সমান চঞ্চলাপ্রবণ এ বুকে একদিকে বাসা বাঁধে মায়ার বিভ্রম, অন্যদিকে আসঙ্গ সুখ আর এ সুখদুখ ভোগ শেষে মৃত্যু কেন অবধারিত আমাদের, অথবা সমাধি রহস্যের কি হতে পারে স্বরূপ, গুরুই ভালো জানে মুক্তির উপায়- ইন্দ্রিয়পটুতা নয়, পরম

Ling(uistic) Shiva

It’s a penis— It’s a (Rainbow) pencil— It’s the creator of art and culture on the faculty of white paper!… It’s a penis— It’s a pendrive— It can save many things of the love!… It’s a penis— It’s a pen— It carries on the ‘Ism’

দ্বারকা

খোল হে … দ্বারকা, রেখ না গো আর বাহিরে দাঁড়িয়ে, তোমাকে ভুলে যাওয়ার কোন কারণ নেই; (জীবননৈকট্যে) ফুলে যাওয়ার কারণ রয়েছে! দ্বারকা হে, সুদর্শন চক্রময় ক্ষমতাকেন্দ্রের দ্বার করণ আধারে খোল কাঠামোর মন, খুলে যাওয়ার কারণবেলায় মূলে যাওয়ার কারণ রয়েছে! উঠিতেছে প্রাচীর বেয়ে কণ্টক-আকীর্ণ কুসুমিত ভোর,

বসন্ত

বসন্ত, বসন ত্বরণ কর … কুহুকুহু … কুহুতানে … সবুজ পোষাকে … পাতায় পাতায় … গাছের শাখায় … মদনরঙীন ফুলেল ধনুকে থেকে ছিলার যোজনে বাঁকানো যায় এমন মন, জাগাও কথায় … পার্থিব সবুজকামী ধূসর ধরায়, বসনবিহীন অনাথ শিশুর রাষ্ট্রকুঞ্জে… বসন্ত বসন ত্বরণ কর— যে ভাবে

হৃ দ য় তা লী য় ব্যা পা র

আদিগন্ত সবুজপ্রচ্ছদপটে নির্ম্মল হাসির ফোয়ারায় ঝুলে থাকা উদাম আকাশ বুকে নিয়ে ঝিরিঝিরি বয়ে চলা কাশফুলময় নদীর কিনারে আপনার সাথে আমার হঠাৎ দেখা মূলতঃ হৃদয়তালীয় ব্যাপার, কাকতালীয় না! … অতএব এক্ষণ আমরা যে কবিতা অনুধাবন করতে পারি, তাহা হৈল— শরতের বৃষ্টি, সুন্দর মনের মতন হঠাৎ এসে

তিলার্থ সৌন্দর্য্য

নন্দন কাননে ঘামের শিশিরে ভেজা চিবুকে ফুটেছে তিলের গরিমা— স্বাদনপিয়াসিমন হরণে আকুল … কাজল রাতের আভাময় উন্মোচনে আরো কোথায় কোথায় রয়েছে লুকিয়ে (মুখরিত মন উচাটন) আবিষ্কারে … নোটন নোটন বোলে … তালে … জেগে যেতে পারে পাড়া! টুপ্ টাপ্ শিশির পতনে ভেঙ্গে যেতে পারে সবুজ

বিশদ পিপাসা

অসামান্য জল, কেমন আছে(ন)? আমি সামান্য শিশির, বলছি— অসামান্য জলের ধারায় মিশে যায় সামান্য শিশির! সামান্য শিশিরে রূপ পায় অসামান্য জলের ধারা— আমি ও আপনি রূপভেদে সামান্য শিশির ও অসামান্য জল, অসামান্য জল ও সামান্য শিশির। শিশিরকণায় উঁকিপরায়ণ পিপাসার জল তবুও (বি)ভ্রমে জীবনেষু করিছে ভ্রমণ