প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ১০)

ক্লাইভের চেয়ারের নীচের রাইত

ক্লাইভের চেয়ারের নীচে জমছিল যেই রাইত দু্ইশত চৌষট্টি বছর আগে তা’র কতক আন্ধাইর আইজো আমাদের ‘একাডেমিক’ চেয়ারের পাছায় কলাভবনের খাঁজে লাইব্রেরির সেলফে ঝুল্লু খায় সে’ এক দেশী বিলাইর কালা মুখ নিরাকার ইঁদুর বিলাই খেলে সে’ চতুর আমাদের আম জাম কাঁঠালের উঠ্‌তি চারাগুলোর লগে সোনারইদে ঝলঝলা

মানবশরীর ও বর্ণমালা

এই নিবন্ধে বাংলা বর্ণমালার বর্ণের আলোয় মানুষের শরীরে বিভিন্ন অংশ এবং জীবনদর্শনের আলোচনা করার চেষ্টা করব। শরীরের প্রতিটী অংশের নাম তার কর্ম্মানুসারে হয়। প্রথমে মাথা দিয়ে কথা শুরু করি। মাথা শব্দে ম বর্ণে সীমায়ন, থ বর্ণে থাকন, আ বর্ণে আধার বুঝা চলে। মা (সীমায়িতকরণের আধার)

আমার নাম ফিলিস্তিন

আমার নাম ফিলিস্তিন, আল-আকসা মসজিদ আমার লজ্জাস্থানের মত পবিত্র তবুও ইসরায়েলের হাত কমলার কোয়া থেকে রক্তজবা ফুল তুলে আর আপেলের শরীরে ভুল করে আঁকা শব্দের মত কাটাকাটির দাগ বসিয়ে দেয় পরম নিষ্ঠুরতায় … আমি ফিলিস্তিন, আকাশের তারায় আগুন জ্বলে; রাত হয়ে ওঠে কেয়ামত— তক্ষণ খিদের

একথোকা ছোট গল্প

ধর্ম্ম কাপড়ের দোকানে এক সাথে দুইজন লোক আসলেন। দুইজন লোকই আচরণে অতিশয় ভদ্র এবং রূপে মার্জ্জিত। দুজনের চেহারাতেই পূর্ণিমা রাত্রীর আলো জ্বল জ্বল করছে। দোকানে একসাথে ঢুকলেও বুঝা যাচ্ছে উনারা পূর্ব্বপরিচিত নন। আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে দু’জনই একটা থান থেকে সেলাইবিহীন ধবধবে সাদা কাপড়ের এক টুকরা করে

অনাথ ও পরাগ

অনাথ চাতকের জল পিপাসায় আমারি জন্মদাগ, অথচ হাত থেকে খসে পড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্লেটোর ধারণা … অচিন পাখীর খাঁচাটা ভাঙ্গা হৈল না আর শিরদাঁড়ার প্রকারভেদে সেই জলাজমী নিরম্বু অস্তিত্বের কাছে পথ দু’ভাগে বিভক্ত— এক : সপুস্পক, দুই : অপুস্পক … দুঃসময় থেকে যে শিশু বেরিয়ে আসে

পরমাভাষার সংকেত এবং পাঠ উত্তর ভাবনা

আসা যাওয়ার পথের ধারে! কলিম খানের নাম শুনেছি মাত্র বছর কয়েক আগে। ওঁর লেখার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় ক্ষীণ। প্রিণ্ট পত্রপত্রিকা, ওয়েব ম্যাগাজিনে কলিম খান ও রবি চক্রবর্ত্তী সম্পর্কে মাঝে মধ্যে উচ্ছ্বসিত কিছু লেখা পড়তাম। অই পর্য্যন্ত। জ্ঞান সমুদ্রের ধূলিকণার চাইতেও আমি তুচ্ছ, অজ্ঞান।

পাগলের পাগলদর্শন : পাগলের পরমার্থিক চরিতমানস

কোন এক পাগলের কাছে শুনেছিলাম গল্পটী— একদা এক রাজা স্বপ্নে দৈববাণী পেল— ভোরে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি হতে চলছে আর সে বৃষ্টির জল পান করলেই লোকে পাগল হবে। রাজার ঘুম ভাঙল— হায় হায়, এ দেখি ভোর হয়ে এল! … আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, মূহুর্ত্তেই বুঝি বৃষ্টি নামে! পুকুরগুলোই রাজ্যের

নবনীতা জলের বোধন

নবনীতা জলের বোধনে যে নিজেকে ভেজায় না, সে সংঘাতকে জাগাতে জানে না! … যে সংঘাতকে ভালবাসে না, সে সম্ভাবনাকে বলতে পারে না, ভা-ল-বা-সি! … ভুল ও ফুলের গলায় গলায় ভাব, পরাগায়ণটুকুর অনুধ্যানে হতে পারে না পথের সমাজদার! … এইটুকু ভেবে ভেবে হাঁটছিলাম, মৌমাছির ইন্ধনে! …

ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী?

ধর্ম্ম শব্দের অর্থ কী? ১) ব্যুৎপত্তি নির্ণয়— ধৃ + ম (মন্)— কর্তৃবাচ্যে। (বঙ্গীয় শব্দকোষ, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়— সংক্ষেপে ‘ব.শ.’।) ২) ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক অর্থ— ধর্ মিতি মিত যাহাতে। (বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ, কলিম খান ও রবি চক্রবর্ত্তী— সংক্ষেপে‘ব.শব্দা.’)। শরীরসাধন যে কর্ম্মের অপেক্ষা করে। (অমরকোষ)। লোকধারণ করে যে। (ব.শ.)। ৩) অভিধানাদিতে

সবুজ হোটেল

আজ থেকে পঁচিশ বছর আগের কথা। এক বহুজাতিক সার কারখানায় ট্রেনিং ম্যানেজারের চাকরী নিয়ে চট্টগ্রামে গিয়েছি। থিতু হয়েই চট্টগ্রামের কবীদের খুঁজতে শুরু করলাম। মোবাইল ফোন ও ফেসবুক কোনটাই ধরাধামে তখনো আসেনি, যোগাযোগের উপায় চিঠি ও ল্যান্ড টেলিফোন। তখন খোঁজ পাই কবীদের আড্ডাস্থল চকবাজারের এক রেস্টুরেন্ট,

রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রসঙ্গে

শিল্পের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? নিশ্চয় এর সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে। একটা কথা হয়ত বলা যায় General Discussion-এর মাধ্যমে কিন্তু কোন কিছু না বলেই ভাবের প্রকাশ একমাত্র শিল্পের দ্বারাই সম্ভব। মানুষের মুক্তি, অসহায়ত্ব কিংবা আনন্দ-বেদনা যখন কবিতা, গানে কিংবা নাচে ফুটে ওঠে, তা তখন General Discussion লেভেলে থাকে না,

নিশীর ডাক— নতুন ব্যাকরণ চাই

প্রসঙ্গ একটা কথা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে : বাংলা ব্যাকরণের সংস্কার হোক। অনেকের মুখে দাবীটা আরও জোরালো— তাঁরা বলেন, বাংলা ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণ চাই। তাঁদের অভিযোগ, বাংলা ব্যাকরণ নামে যে বিদ্যার চর্চ্চা হচ্ছে তা আসলে বেনামীতে সংস্কৃত ব্যাকরণ। কথাটাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ণত্ববিধান, ষত্ববিধান, সন্ধিবিচ্ছেদ,