আরণ্যক টিটো (Page ১৮)

সম্পাদক— প্রকৃতিপুরুষ

বিশ্বকর্ম্মা পূজায় ঘুড়ি ওড়ান হয় কেন

অনেক সময় সবচেয়ে সহজ ব্যাপারের পিছনেই থাকে সবচেয়ে কঠিন সত্য। আপেল মাটিতে পড়ার চেয়ে সহজ সরল ঘটনা আর কী হতে পারে! কিন্তু তাই নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হয়, তখনই টনক নড়ে। সত্যিই তো, আপেল কেন মাটিতে পড়ে? কেন সোজা দিগন্তের দিকে ছুটতে শুরু করে না?

অগ্নিজলের বিবিধ কড়চা

এক সে এক ভিন্ন সময়ের আলাপন। তখন ছিল না পৃথিবীর কোথাও বিশাল সাম্রাজ্য কিংবা খুব অল্প জায়গায় লক্ষ লক্ষ বা কোটি মানুষের আবাস। ছিল না মানুষেরই তৈরি দেয়াল কিংবা কাঁটাতারের ‘দেশ’ ও ‘বিদেশ’ নামের ছোট বড় সীমান্তের কৃত্রিম বেড়াজাল। মানুষ তখন সদ্যই আবিষ্কার করেছে চাকা,

সৈয়দ নিজারের ‘ভারতশিল্পের উপনিবেশায়ন ও সুলতানের বিউপনিবেশায়ন ভাবনা’-এর পাঠ পর্য্যালোচনা

বাতিঘরে মাঝে মাঝেই ঢু-মারি নানান বই এর খোঁজে। পুরা বাতিঘরের মধ্যে আর্ট এণ্ড কালচার ও পেইণ্টিং-এর শেলফ এর দিকটায় আমার আনাগোনা বেশী বরাবরই, যে-দিনই যাই মোটামুটি দেখার চেষ্টা করি সাম্প্রতিক কোন বই আমদানি আছে কিনা! এমনিতেই পুরো বাঙ্গালা সাহিত্যে পেইন্টিং এর ওপর মৌলিক ভাল বই

ইউভাল নোয়া হারারির সেপিয়েন্স : এ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব ম্যানকাইণ্ডের পর্য্যালোচনা

ইতিহাস কোনসময় সুখপাঠ্য হয় না। ইতিহাস পাঠ করতে গেলেই মনে হয় এই বুঝি অত্যাচারী, লুণ্ঠনকারী রাজাদের বর্বরতা ও আগ্রাসনের কাহিনী শোনতে হবে। তবে ইউভ্যাল নোয়া হারারি, ‘সেপিয়েন্স’ বইটিতে একটা প্রজাতি হিসেবে মানুষের কীভাবে সামাজিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তন ঘটেছে সেটা এক বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও

ক-বাবুর নানা কথা ॥ বের্টোল্ট ব্রেখট

১ ক্ষমতার প্রতিষেধ চিন্তাশীল ক-বাবু একটা হলঘরে বিপুল দর্শকের সামনে যখন ক্ষমতার বিরুদ্ধে বলছিলেন, তখন হঠাৎ লক্ষ করলেন সামনের সারির লোকজন কেমন যেন কুঁকড়ে গিয়ে হল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তিনি চারদিকে তাকালেন, তারপর দেখলেন তাঁর পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে— স্বয়ং ক্ষমতা। “কী বলছিলে তুমি?” ক্ষমতা জিগ্যেস

ত্রিবেণীর ঘাট ও অন্যান্য কবিতা

জিজ্ঞাসা নাযারেথের পাশ দিয়ে, ধুলোমাখা মুখে ঘরে ফেরে আহত প্যালেস্টাইন। সন্ধ্যার পর্দা-ঘেঁষে সেই কি ডাকে —ইম্মানূয়েল!! দ্যাখো নাযারেথের ধুলো আজও আগের মতো আছে। প্রতিটি সিনাগগ, মসজিদ আর চার্চ একই ইটে তৈরি তবু চারিদিকে এত রক্ত কেন? একটা হাহাকার-খচিত প্রশ্ন গালিল প্রদেশ থেকে উড়ে উড়ে বোধিবৃক্ষ

আলাপপর্ব ও অন্যান্য কবিতা

আলাপপর্ব সা : মেঘের পাত্রে দ্যাখো জীবন ভাসছে যুগপৎ.. তা : এর চে’ বৃষ্টি ভালো। সা : মানুষ ছুটছে মানুষের ভয়ে, পালাচ্ছে হরদম। তা : চলো বাড়ি ফিরি কিছু ছলাৎ ছলাৎ শব্দে… সা : আগুনের কোনও উষ্ণতা নাই না কি! তা : লাইচ্যুত বগির কিনারে

মা ও বাবা একটি সম্প্রদান কারকের নাম

ওই যে দেখছো সবুজ পাহাড়, নির্বাণ তত্ত্ব নিয়ে অহর্নিশ দাঁড়িয়ে আছে, তার ভিতরে আছে হাজার বছরের দহন পোড়নের লাভার ইতিহাস। অথচ তোমরা শুধু সবুজ দেখে মুগ্ধ হতে শিখেছো, অনুভব করতে শেখোনি। ইটের অরণ্যে বাস করে, এক্যুরিয়ামের জল দেখে যাদের অভ্যেস, তারা কি জানে ঘোলা জলের

মা এবং প্রজাপতি ও অন্যান্য কবিতা

মা এবং প্রজাপতি শোকেজে দু’টা গ্লাস ছিল পাশাপাশি, একটাতে ফুল একটাতে আঁকা ছিল প্রজাপতি, মা সখ করে মেলা থেকে কিনেছেন। বাবা বলিতেন— সুন্দর! তবে এক সেট না কিনে দু’টা কেন কিনিলে? মা বলিতেন, বুঝবে না তুমি। সেদিন গ্লাস দু’টা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করেছি, দু’দিন উপোষ

এ মাদার অফ প্যালেস্টাইন

এই যে ভাই শুনছেন– আমার কিছু বলবার ছিল, আপনারা কি শুনবেন দয়া করে?   তার আগে বলুন আপনার নাম কি, পরিবারে বেঁচে যাওয়া সদস্য কতজন, কত জন হামাসের যোদ্ধা? তার আগে আমার শিশু ইয়াসিনকে গ্রামের গোরস্থানে দাফনের ব্যাবস্থা করুন– লাশটা গলে যাচ্ছে… বুকের সাথে মিশে

বদল অথবা অবিশ্বাসের ক্লান্তি

পায়ের কাছে গড়িয়ে এসেছে ছায়া, লম্বা হৈমন্তী বিকেল। এরকম গাঢ় হলুদ রঙের রোদ মেখে আছে স্মৃতির নিমফুল।আমি তার শবের ওপর হেঁটে মাঠে যাই রোজ।মাঠগুলো আমাদের সবুজাভ স্বপ্নের মতো মনে হয়।ফিকে হয়ে আসা ভোরের মতো আগেকার ঘাসের ঘন রঙ আর মনে পড়ে না। আগেকার ঘাসের নরম

লক্ষ্মী, লক্ষ্মীর পাঁচালী : নতুন আলোয় দেখা

এস মা লক্ষ্মী, কমল বরণী, কমলালতিকা দেবী কমলিনী। কমল আসনে, বিরাজ কমলা, কমলময়ী ফসলবাসিনী।। কমল বসন, কমল ভূষণ, কমনীয় কান্তি অতি বিমোহন। কোমল ক’রে, শোভিছে কমল, ধান্যরূপা, মাতঃ জগৎপালিনী।। কমল কিরিটি মণি মনোহরে, কমল সিঁদুরে শোভে দেখি শিরে। কোমল কন্ঠে কমল হারে, কোমল বদন দেখি