কবিতা (Page ১০)

অপরাধ বিষয়ক

আমাদের অপরাধটুকুর বর্ণনা মাত্রা লিখে রাখা যায়, বিজ্ঞানপাতায়! … সুন্দর মুহুর্তটুকু ফুটিয়ে তোলার জন্য অপরাধটুকুর প্রয়োজন ছিল! বর্ষার কাজল পরা চোখে, বৃষ্টির মুগ্ধতা ঝরা কিছু অপরাধ জমা থাক, কদম ফুলের কাছে! … এটুকু জানুক, ভোরের মানসি! আরও জানুক, অপরাধ বিপ্লবের ধাত্রী, ফুল ফোঁটার ব্যাকরণ! যারইই

স্বাধীনতা ও অন্যান্য কবিতা

প্রিয় কমরেড বাঙলা ভেঙে আলাদা হল কত আগে! সে কোন্ রাজনীতির জয়? বল যদি— বিপর্য্যয়! প্রিয় কমরেড! তুমি ওপার-বাংলায় আমি এপার-বাংলায়— কেবলমাত্র একটি স্বরবর্ণের দূরত্ব নিয়ে আমরা বেঁচে থাকছি বর্ডারের দুপাশে তথাপি কাছাকাছি— জাতীয়তার বুলেটে ক্রমাগত এতটাই জর্জ্জরিত তবুও সমগ্রকে ধারণ করে হয়ে উঠছি বিশ্বনাগরিক!

আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে, জনশ্রুতি ঢুকে পড়ে মিথের ভেতর ও দোল-রং

আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে এই কাল সাক্ষ্য দিচ্ছে গোপনের, নিশ্চয় আড়াল কর্‌ছে প্রকাশ্যের-ও; লিখে রেখেছে স্বেচ্ছায়, আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে। … এই ক্ষণ হৈতে পার হয়ে গেল কথারা— পার হয়ে গেলে গন্তব্য, শ্রী বেরিয়ে পড়ে ভ্রম বিহারে— ভ্রমর এসে জানান দেয়

অভিসার

সঞ্চরদধরসুধামধুরধ্বনিমুখরিতমোহনবংশম্ — জয়দেব (গীতগোবিন্দ/দ্বিতীয় সর্গ) এবার মলাট খুলে আমাকে পড় হে তুমি এমন উলট-পালট, দুনিয়া কাঁপানো সে এক প্রকট রাগিনী সুরে, আমাকেই উঠ গেয়ে। বাজো লো বাঁশির সুর বাজো তার ঠোঁটে, অধর অমৃত তার সুরে সুরে আলোড়িত আকাশে বাতাসে হায় ছুটে। একি অনটন, অনিশ স্বপন

গোধূলী

চিরদিন জোকার সেজে মনস্থ করে যায় আঙ্গুলের স্পর্শ তবুও নিস্তার নেই। শ্বাস ছেড়ে কুড়িয়ে নেয় আয়ু যতটুকু বেঁচে থাকে এ’সব ভান কেবল। ভানের শরীর পেরিয়ে অমোঘ সংসার নিয়ে সাদা পৃষ্ঠায় ভরে ওঠে কাঁটাছেড়া জীবন। যদিও পালানোর পথ নেই তবুও হাঁটু ভাঁজ করে খানিক নৈঃশব্দে কেঁদে

ঘুম

বুকের ভিতর একটা ঘুঘু হুহু করে কাঁদে। কোমল হাতে নরম পালকের ভিতর সূর্য্য জ্বলে ওঠে। স্পর্শ পেয়ে সে আরো কাঁদে। বুকের ভিতর ঝাপটে ধরি যদি কান্না থামিয়ে ফিক করে হেসে ফেলে আদুরে পাখিটা। দূরে আরো দূরে আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে কলরব তুল্‌ছে হুজুর। কান্না মুঠোয় নিয়ে

দেহ আমার! সোনা আমার! পরাণপাখী!

১. নিরন্তর এক ব্যাধিচক্রে আটকে আছি। মহাব্যাধি এই বেঁচে থাকা কাল। জন্মমাত্র অধিকারে পেয়েছি যারে, বিনাশ অবধি তার থেকে নেই কোন পরিত্রাণ। মহাকাল চুমুকে চুমুকে পান করে ব্যাকুল পরাণ। ২. অনেক হয়েছে ভাগ— এই প্রাত্যহিক সোনারোদ, পাতালপুরী ছেঁচা কনককুসুম, জমিনের বুক চিরে জড় করা বিপুলা

ঘর

সবই আছে, বিশাল একটি উঠোন যেন রাদারফোর্ডের কোয়ান্টাম জগৎ। লোহার জানালার ওপার একজোড়া নিওলিথিক চোখ— ভীষণ বিষণ্ণ, পাঞ্জাবীর পকেটে ঝুলে আছে একটা মানচিত্র— ভীষণ ক্ষুধার্ত্ত, বাতাসে নুইয়ে পড়া জিকিরে মশগুল সুপারী বৃক্ষের একান্নবর্ত্তী পরিবার। আকাশ ছুঁই ছুঁই মিডিয়ামুখী অট্রালিকা বাড়ী ভীষণ ঔদ্ধত্য এবং গুচ্ছ গুচ্ছ প্রোলেতেরিয়ান

জীবনের যমজ পাখী, পুতুল ভাঙ্গার দিনে ও অন্যান্য কবিতা

সাঁকো ও পারাপারের ফজিলত সাঁকোটা পার হলেই পেরিয়ে যাব চিহ্নায়কের দূরত্বটুকু* ভূবনগাঁয়ে* অপার শূণ্যতায় একে অপরকে পাব* একে অপরের হব** সাঁকোটা ছুঁয়ে আছে উৎসের মেঠোপথ* গন্তব্যের সম্ভাবনা রেখা** কতটা বিন্দু* কতটা রেখা* ভেদে নয়* অভেদেই মিলিবে পরম ঠিকানা* চল পারাপারে জেনে নিই* বুমেরাং ব্যাকরণখানা**  

মাহবুবুল ইসলামের তিনটি কবিতা

শব্দের ভেতর কোন্ ভাষা খুঁজছ তুমি! শব্দে শুয়ে আছে তার শবদেহ, যে বর্ণের ভেতর তোমাকে টানছি সেখানেই তুমি সবচেয়ে বেশি বিবর্ণ। এরচেয়ে বৃক্ষের পাতায় পাতায় আছে শোন, সবুজ ক্লোরোফিলের ভাষা। সমুদ্রের বুকে জাগে যে ঢেউ, উত্তাল করে মানুষের মন এমন একটা ভাষা আমাকে দিতে পার?

ছয়টা কবিতা

জীবনানন্দ ও সচ্চিদানন্দ সংকেত জনপদ মুখরিত যুদ্ধের সম্ভাবনায়* চতুর্পাশ্ব ঘিরে আছে গোলাবারুদের দঙ্গল* ক্ষেপাণাস্ত্রের মতো মানুষ তাক হয়ে আছে মানুষের দিকে* চোখে বুকে পুষছে ভয়ানক বাঙ্কার* উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়* তবু জীবনের জীবনানন্দ এক ঘাসফুলে* পাখির পালকে ঢেকে দেয় কৃষ্ণগহ্বর* ভালবাসার নামে বিলি করে সংঘাত বিরোধী সবুজ

ডাউন দ্য মেমোরি লেইন

রোদ্দুর রঙ পর্দ্দা উড়ছে ওয়াল্টজ মুদ্রায় প্যালো স্যান্টো ধোঁয়ায় সুগন্ধি আবছায়া ইমন কল্যাণ সন্ধ্যে ভিড়ছে রাগেশ্রী নোঙরে আহ্ আনন্দম্! এস প্রেম, এস অপার! মসৃণ অভিমান কুয়াশারা তবু চুপিসারে গাঢ়তর যদিও বিকেলের প্যালেটে ছিল নিখাদ অনুরাগ ফেনায়িত লাটে কাপে সতৃষ্ণ চুমুক তুমি বরাবরের লার্জ, ব্ল্যাক, নো