প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতি (Page ১৩)

স্বস্তিকা চিহ্নের আদ্যোপান্ত

মানুষ স্বভাবগতভাবেই প্রতীক বা চিহ্ন ভালবাসে। এই চিহ্ন ব্যবহার কবে থেকে মানুষ শুরু করেছে তার কোন নির্দ্দিষ্ট সময়সীমা নির্দ্ধারণ করা সম্ভব নয়, মানুষ নানা কারণে নানা ধরণের প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করে আসছে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। মানুষের কাছে চিহ্ন বা প্রতীক বিশেষ গুরুত্ব বহন

দুই পৃথিবী

অন্যদেশ থেকে বিয়ে করে আনলি? তাতে আপত্তি নেই। তবে নিজের মেয়ের বয়সের? তাও তালাকপ্রাপ্ত? এ বিয়ে টিকবে তো? মায়ের হাজার সংশয়। রঞ্জু উত্তর দিল— কেন মা, তোমাদের বয়সের হলে কি আপত্তি থাকত না? যতদূর জানি ঠাম্মার এ বাড়িতে এসে দাঁত পড়েছিল। আর এমন কেন ভাব

ফ্যাসিবাদ

Fascism এর বাংলা প্রতিশব্দ বলা যায় ফ্যাসিবাদ। এই শব্দের সাথে প্রায় সকলেই মোটামুটি পরিচিত। ফ্যাসিবাদ কাকে বলে সে সম্পর্কেও অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও তা চিহ্নিত করার মত জ্ঞান অনেকেরই আছে। Fascism শব্দের উৎপত্তি ইতালীয় শব্দ Fascio হতে, যার অর্থ Bundle বা Sheaf. এর থেকে

অভিসার

সঞ্চরদধরসুধামধুরধ্বনিমুখরিতমোহনবংশম্ — জয়দেব (গীতগোবিন্দ/দ্বিতীয় সর্গ) এবার মলাট খুলে আমাকে পড় হে তুমি এমন উলট-পালট, দুনিয়া কাঁপানো সে এক প্রকট রাগিনী সুরে, আমাকেই উঠ গেয়ে। বাজো লো বাঁশির সুর বাজো তার ঠোঁটে, অধর অমৃত তার সুরে সুরে আলোড়িত আকাশে বাতাসে হায় ছুটে। একি অনটন, অনিশ স্বপন

যুক্তাঞ্চল : আঞ্চলিক সত্তার সমন্বয় ও অদ্বৈত বিশ্বের রূপরেখা

জানি; মৃত্যু যেখানে মহিমাময়, সেইখানে, তোমাকে ঠেকানো বড় দায়! তবু বলি, …এইসব মৃত্যুর মিছিলে তুমি কী ধর্ম্ম করছ হে খ্যাপা? … ‘ধর্ মিতি মিতি’ রাগে (ধারণ যোগ ম-এ মনের ধরনে গাথা) ধর্ম্ম— যে ভাবের রসে মিলন বিরহে গাথা জীবনকলায়, ‘কর্ মিতি মিতি’ রাগে (করণ যোগ

ইসলাম, সংস্কৃতি ও নববর্ষ

প্রতিবছর নববর্ষের আগমনে ‘ইসলাম ও সংস্কৃতি’-প্রশ্ন মোটা দাগে হাজির হয়। বাঙ্গালী মুসলমানের দুই শিবিরে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নববর্ষের এই দিনে তাই আলাপ করা যাক ইসলামে সংস্কৃতি প্রশ্নের মোকাবেলা কীভাবে হতে পারে এবং নববর্ষ ইস্যুতে বাঙ্গালী মুসলমানের অবস্থান কী হতে পারে। আরব সীমানায় যখন ইসলামের

ভাষা ও সাহিত্য সমালোচনা তত্ত্ব

পর্ব্ব— ১ মাঝেমধ্যে শিল্প ও সাহিত্যের ভাল-মন্দ আলোচনা-সমালোচনা পড়ি বড় কাগজে, ছোট কাগজে। কিন্তু এটাও বুঝি আমাদের শিল্প-সাহিত্যকে ঘিরে সমালোচনা-সাহিত্য এখনো গড়ে ওঠেনি। কখনো খুবই ভাল সমালোচনা দেখতে পাই লিটল-ম্যাগগুলোতে, আর যা ছাপা হয় তাকে কী যে বলি বুঝতে পারি না। ওই সব পত্রিকার সমালোচকরা

গোধূলী

চিরদিন জোকার সেজে মনস্থ করে যায় আঙ্গুলের স্পর্শ তবুও নিস্তার নেই। শ্বাস ছেড়ে কুড়িয়ে নেয় আয়ু যতটুকু বেঁচে থাকে এ’সব ভান কেবল। ভানের শরীর পেরিয়ে অমোঘ সংসার নিয়ে সাদা পৃষ্ঠায় ভরে ওঠে কাঁটাছেড়া জীবন। যদিও পালানোর পথ নেই তবুও হাঁটু ভাঁজ করে খানিক নৈঃশব্দে কেঁদে

সুফিকণিকা : পর্ব্ব দুই

[শত শত বছর ধরে সুফী সাধকরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছোট ছোট গল্প ব্যবহার করতেন। অল্প কথায় সহজ ভাষায় সুফী সাধকরা তাদের অর্জ্জিত জ্ঞান ও উপলব্ধির কথা জানাতে পারতেন যা হাযার হাযার পৃষ্ঠার বর্ণনায়ও হয়ত দুঃসাধ্য। আমার সংগ্রহের সেইসব জ্ঞান ও উপলব্ধির কয়েকটা এখানে

প্রসঙ্গ : মৌলবাদ

গোড়ার কথা— এই শতাব্দীর সবথেকে সাড়াজাগানো পরিভাষাগুলোর মধ্যে একটি হল ‘মৌলবাদ’। এ যবে থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তবে থেকেই ধিক্কৃত-অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে আসছে। এর কথা শুনলেই বিষ্ণু শর্মার লোকেরা মুখ ভেঙচিয়ে বলে, ‘না না, আমরা তো ওর পূজো করি না, আর আমরা কোন দায়েই বা ওকে ‘নমঃ

ঘুম

বুকের ভিতর একটা ঘুঘু হুহু করে কাঁদে। কোমল হাতে নরম পালকের ভিতর সূর্য্য জ্বলে ওঠে। স্পর্শ পেয়ে সে আরো কাঁদে। বুকের ভিতর ঝাপটে ধরি যদি কান্না থামিয়ে ফিক করে হেসে ফেলে আদুরে পাখিটা। দূরে আরো দূরে আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে কলরব তুল্‌ছে হুজুর। কান্না মুঠোয় নিয়ে

বাঙ্গালাভাষার বানান-সমস্যা সমাধানের পথ (১ম খসড়া)

এক — বাঙ্গালাভাষার বানানে ব্যাপক নৈরাজ্য দেখে রবীন্দ্রনাথ তা দূর করার কথা ভাবেন ১৯৩৫ সালে। নিজেই তা দূর করবেন, এমন সময় বা উপায় নিশ্চয় তাঁর হাতে ছিল না। তাই তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য্য শ্রীযুক্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।