তালেবান উত্থানের কারণ অনুসন্ধানে বামাতী-জামাতী, যুক্তিমনা-চুক্তিমনা, ধার্ম্মিক-নাস্তিক ইত্যাদি বামন বনসাই পণ্ডিতেরা যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। কেহ আমেরিকা, কেহ রাশিয়া, কেহ পাকিস্তান, কেহ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, কেহ ইসলাম, কেহ আল্লাহর রহমতকে তালেবান উত্থানে মূখ্য কারণ দাবী করছেন। এভাবে জঙ্গিবাদ বা কট্টর ধর্ম্মমত প্রতিষ্ঠা পেলে দু’চারটী রাষ্ট্র ছাড়া সবদেশেই প্রতিষ্ঠা পেত, ধর্ম্ম যাই হোক। পাশ্চাত্যে অর্থোডক্স-রেডিক্যাল ক্রিশ্চিয়ানিটী বিলোপ হয়ে যায়নি, মুসলিম বিশ্বে দেশে দেশে শরীয়া প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে, ভারতে রামরাজ্য দাবী কম জনপ্রিয় না, একের পর এক ক্যু করেও বৌদ্ধ জাতিবাদ ভর করে মিয়ানমার জান্তা টিকে আছে— সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কেবল রোহিঙ্গাই নয়, থাইল্যান্ড সীমান্তে বিশাল বৌদ্ধ গ্রুপও যুদ্ধ করে। অথচ জঙ্গিবাদ কোথাও পুরোপুরি সফল হচ্ছে না, কিন্তু তালেবান পূর্ণ সফল না হলেও এখনও যথেষ্ট সফল। কেন আল-কায়দা, আইএস খেলাফত ঘোষণা করেও ব্যর্থতার দ্বার প্রান্তে মুসলিম বিশ্বেই? পাকিস্তানে জঙ্গিত্বের নানা ঘরনার দ্বন্দ্ব চলছে ইসলামী রাষ্ট্র হলেও, এখানে গণতন্ত্রীরাও উহ্য হওয়ার মত যথেষ্ট লঘিষ্ঠ নয়। কিন্তু তালেবান টিকে আছে! বাংলাদেশেও অমন সম্ভাবনা দেখেন অনেকেই, দেখেন না দেশে ইসলামের প্যাটার্ন। আসলে উপমহাদেশের ইসলাম, আফ্রিকান ইসলাম ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামে প্যাটার্নগত পার্থক্য আছে— এসব স্থানীয় ইসলামের আছে নানা উপধর্ম্ম। মাযহাব আলোচনায় এরা চার মাযহাবই চেনেন, চেনেন না— জায়দী, জাফরী, জাহিরী, সালাফী ইত্যাদি। জঙ্গিবাদকে এরা হানবালী মাযহাব ভুক্ত করেন, বাস্তবে সকল ইসলামী জঙ্গী সংগঠন ইমাম তাইমিয়া পন্থী। এরাই মুলতঃ সালাফী, ‘সালাফ’ আরবী শব্দ, অর্থ ‘পূর্ব্বপুরুষ’ (১); কাজেই পূর্ব্বপুরুষের আদর্শে বিশ্বাস ও তদানুযায়ী কর্ম্মজীবনে আস্থাই হল সালাফী। তাঈমিয়াকেই সালাফিবাদের জনক ধরা হয়, ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও জিহাদী মতাদর্শের তথা সালাফী ইসলামের রাজনৈতিক ব্যবহারের সুচনাও ইমাম তাঈমিয়ারই (২)। আধুনিক কালে অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে (যদিও তা হিজাজের আধুনিক কাল বলা যায় না) সালাফিবাদের প্রথম প্রয়োগ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের হাত ধরে, যা ওয়াহাবিজম নামে খ্যাত (৩)। এরা পৃথিবীর একমাত্র হানবালী দেশ সৌদিকে অনৈসলামিক ঘোষণা করে। তবে হানাফী মাযহাবের সিরিয়ান ওলামা ইবনে আবেদিন সালাফী মতকে ‘তাকফিরী’ (অর্থ নিজেদের ছাড়া অন্যদেরকে মুসলিম গণ্য করে না, বিপক্ষ মতের মুসলিমকে কাফির গণ্য করে) ঘোষণা করেন; সৌদি হানবালী ওলামা আবদুল আল-নজমিও ISIS, আল-কায়দাকে তাকফিরী ঘোষণা করেন (৪)।
দেশে দেশে জঙ্গিবাদ বিকাশে বিদেশী স্বার্থ ও সমর্থন থাকলেও অভ্যন্তরীণ সমাজ কাঠামো, অর্থনীতি, ডেমোগ্রাফী প্রধান নিয়ামক শক্তি তা প্রতিষ্ঠা প্রশ্নে। এখানে পরিবর্ত্তন আনতে পারলে কেবল বিদেশী শত চেষ্টায়ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা পাবে না। আফগানে এই অভ্যন্তরীণ কারণই মূখ্য। পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা পর্দ্দাপ্রথা নিয়ে দাঙ্গা করেছে দুই দুই বার এবং দুই বারই পর্দ্দাপ্রথা জয়ী হয়েছে বলিষ্ঠভাবে (৫); তখন আমেরিকা-রাশিয়া পরাশক্তি হয়ে ওঠেনি, পাকিস্তানের জন্মই হয়নি।
আলেকজান্ডার সমসাময়িক যুগে উন্নত ব্যকট্রিয়া (ভারতীয় পুরানেও এই নাম আছে) রাষ্ট্রটী গ্রীকে নয়, আফগানদের; প্রাচীন কুষাণ সম্রাজ্যেও আফগানের বড় অংশ অংশীভূত, বিখ্যাত গান্ধার সংস্কৃতি এ আমলেরই (৬)— দুই কাশ্মীরও এ সংস্কৃতি ভুক্ত। অন্ধ্র সমাজ্যেও (ভারতীয় পুরাণে সাতবাহন রাজ্য) আফগান যুক্ত ছিল (৭)। এগুলো বিদেশী শাসন না, কারণ আফগানরা এর অংশীদার ও সুবিধাভোগী। এজন্যই আফগানকে উপমহাদেশের অংশ ধরা হয়, এজন্যই আফগানে ভারতীয় দাবী ছিল; যদিও নেহেরুর পর কেহই আর এ দাবী তোলেননি। আফগানে ইসলাম আসেনি, আফগানই বরং ইসলামকে ডোমিনেট করেছে এক কালে; ইতিহাস না জানলে এ তথ্যে অনেকেই আকাশ থেকে পড়বে। আব্বাসী খেলাফতের প্রভাবশালী সেনানায়ক খোরাসানী (আফগান অংশের) বৌদ্ধ; আফগানী বৌদ্ধ প্রমুখ (আরবী অনুবাদে বারমাইক) পরিবার বংশ পরম্পরার আব্বাসীয় উজির ছিলেন (৮)। ইসলামী যুগে আফগান ছিল ইরানের (প্রাচীন পারস্য) অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত খোরাসান (যদিও খোরসানের ইতিহাস আরও প্রাচীন) ভুক্ত। খলিফায়ে রাশেদীন যুগে গোটা পারস্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেলেও খোরসানের আফগান অংশে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও স্থানীয় ধর্ম্মই মূল ধর্ম্ম, শাসক মুসলিম হলেও; দু-চার পরিবার ইসলামী থাকলেও তার কিছু বহিরাগত, বাকীটা স্থানীয় হলেও উহ্য থাকার মত লঘিষ্ঠ (৯)।
খলিফা হারুনুর রশিদের একমাত্র বৈধ পুত্র (বিবাহিত স্ত্রীর গর্ভে) আল-আমীন, বাকী সব পুত্রই দাসীর সন্তান, যারা তৎকালীন ইসলামী আইনে উত্তরাধিকারী নন (১০)। খলিফা হারুনের খোরসানী পারস্য দাসীর পুত্র আল-মামুন ছিলেন আফগান অংশের সেনানায়ক। হারুনের মৃত্যুর পর আইনিভাবে খলিফা হন আল-আমীন, আল-মামুন খোরসানের আফগান ও পারস্য সহায়তা নিয়ে বিদ্রোহ করে বসেন (১১)। খলিফা আল-আমিন খোরাসান ভাগ করে আফগান অংশের গভর্নর ঘোষণা করেন আল-মামুনকে ভাই সম্বোধন করে। কিন্তু মামুন আফগান-পারস্য বাহিনী নিয়ে বাগদাদ অবরোধ করেন এবং আল-আমিনকে হত্যা করে নিজেকে খলিফা ঘোষণা করেন, আফগানরা ম্যাসাকার চালায় বাগদাদে (১২)। এই খলিফা আল-মামুনের কালই আব্বাসীয় খেলাফতের স্বর্ণযুগের সর্ব্বোত্তম কাল সুন্নী ইসলামের ইতিহাসে। আফগান গোত্রপতীরা ইসলাম গ্রহন করে ও গোটা আফগানে ইসলাম বাধ্য করে। মূলগত ভাবে আব্বাসীয় খেলাফত শিয়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই প্রতিষ্ঠিত (১৩); কিন্তু ইতিহাসে এরাই পুঁথিগত সুন্নী ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা। উমাইয়া আমলে নৈরাজ্য চরম হলে বনু আব্বাস গুপ্ত সমিতীর মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন— সমগ্র পারস্য ও হিজাজে উমাইয়া বিরোধী সংগ্রামে তারা ফাতেমা-আলী বংশধর শিয়া পন্থীদের সমর্থন লাভ করেন, তাদের সহায়তায় মুহাম্মদ ইবনে আলী বিন আবদুল্লাহ (মুহাম্মদ ইবনে আলী আব্বাসীর ভাই, আব্বাসীর হত্যা হলে নেতৃত্বে আসেন) জারের যুদ্ধে উমাইয়ারাজকে পরাজিত করে নিজে খলিফা হন। ক্ষমতায় বসেই এক নতুন তত্ত্ব প্রচার করেন— ইমাম হোসেনের মৃত্যুর পর তার নাবালক পুত্র জয়নুল আবেদীনের (ফাতেমা-আলীর তৎকালীন শেষ বংশধর হিসেবে শিয়াদের ইমাম) প্রতি ইমামতি হস্তান্তর হয়নি; বরং হযরত আলীর মুহাম্মদ নামের পুত্র (ইনি আলীর ঔরসজাত হলেও ফাতেমার পুত্র নন) ইমামতি লাভ করেন; শিয়া ইতিহাসে আব্বাসীয় খেলাফত আজও বেঈমান (১৪)। তথাপি সুন্নী ইসলামে এই খেলাফতের অবদান মৌলিক।
আফগানিস্তান— আলোকচিত্র : গেটি ইমেজ
আফগানরা কখনোই কারো প্রত্যক্ষ উপনিবেশে ছিল না, এটী মুলত স্থলবেষ্ঠিত বাফার রাষ্ট্র, এটাই তাদের বড় রক্ষা কবচ। বাফার রাষ্ট্র হল, সাধারণত দুই বা ততধিক প্রভাবশালী বা শক্তিশালী রাষ্ট্রের মধ্যবর্ত্তী নিরপেক্ষ রাষ্ট্র যার সরাসরি সংঘাতে বাধা তৈরীর মত ভৌগলিক অবস্থান আছে। আফগান তেমনই রাষ্ট্র, ফলে এক পরাশক্তি দখলে নিলে অন্য পরাশক্তি আফগান পক্ষে অস্ত্রসহ যাবতীয় সহায়তা দেয়। তাছাড়াও আফগানরা যোদ্ধার জাতি, কখনো বিদেশী শাসন মানে না। মধ্যযুগে দূর্ধর্ষ চেঙ্গিস খান বাহিনীকেও পরাজয় হজম করতে হয়েছে আফগান যোদ্ধাদের কাছে (১৫); পরাক্রমশালী মোঘল বাহিনীকে শোচনীয় পরাজয় দিয়েছে আফগানরা, মোটা স্বর্ণ-টাকা-খাদ্যের বিনিময়ে মোঘল ছাড় পেয়েছে (১৬)। ভরা যৌবনে বৃটিশ পরাজিত হয়েছে আফগানে (১৭); তিন তিন বার যুদ্ধ করেও চুক্তি করেছে, সরাসরি শাসন করেনি। চুক্তি মত বৃটিশরা আফগান পররাষ্ট্র ভার নিয়ে সন্তুষ্ট থেকেছে (১৮)।
আফগান বুঝতে হলে তাদের নৃতাত্ত্বিক জনজাতি বুঝতে হবে। অসংখ্য গোত্রে বিভক্ত প্রত্যেক জনজাতির মধ্যে পাশতুন/পাঠান, তাজিক, উজবেক, হাজারা প্রধান (১৯); অন্যরা গৌণ ও স্বার্থ মত পক্ষাবলম্বনকারী। ২০টীর বেশী দেশীয় ভাষা ও সংস্কৃতি, এদের ভেতরে আছে রক্তক্ষয়ের মত দ্বন্দ্ব যা তালেবানী ঐক্যের বড় হুমকি (২০)। পাক-আফগান সম্পর্কও সরল না, দুই দুই বার যুদ্ধাবস্থা তৈরী হয়েছে, ছিন্ন হয়েছে কূটনৈতিক যোগাযোগ। পাক-আফগান রসায়ন বুঝতে হলে আফগানের ‘পাখতুনিস্থান’ দাবী বুঝতে হবে, বুঝতে হবে ‘ডুরান্ট লাইন’, পাক-আফগান যুদ্ধবিরোধী বাগদাদ প্যাক্ট। ডুরান্ট লাইন— যা বৃটিশ ভারত ও আফগান সিমান্ত নির্দ্ধারক লাইন, শুরু থেকেই আফগান এর বিরোধিতা করে আসছে, ৪৭-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর পাক-আফগান বিরোধের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তী এটী (২১)। মূলত এই লাইন এক নৃ-জাতিকে (পাশতুন/পাঠান) দুই দেশে ভাগ করেছে বাঙালীর মতই। এজন্যই আফগান পাকতুনিস্থান দাবী করে, আসলে আফগান বাবার (আফগানরা রাষ্ট্রপিতাকে বাবা বলে) শাসনামলে (১৭৪৭—১৭৭৩) পাকিস্তানের পাখতুন, বেলুচ আফগান ভুক্ত ছিল (২২)। পাকিস্তানে আফগান জঙ্গী লালনের রসায়নও এখানেই, যা পাকিস্তানকেও চরম পরিণতিতে বাধ্য করেছে। আফগান এ দাবী কখনোই ছাড়েনি, এমনকি তালেবান আমলেও না, এবারও তারা পাকিস্তানকে তা স্মরণ করিয়েছে লঘুভাবে। এজন্যই পাক সরকার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে বলেও একদিন পর ইমরান খান ঘোষণা করেছেন মিত্রদের সাথে আলোচনার পর তালেবানকে স্বীকৃতির বিবেচনা করবে। ১৯৪৭-এ আফগানরা ডুরান্ট লাইন ধরে পাক সিমানার বিরোধিতা করলেও বৃটিশ ভ্রক্ষেপ করেনি। ফলে পঞ্চাশ পরবর্ত্তী পাক-আফগান বিরোধ চরমে ওঠে, আফগানে পাকিস্তানী পতাকা পোড়ানো হয়, পাক কনস্যুলেট অফিস জ্বালিয়ে দেয়া হয়, উভয় দেশ চুড়ান্ত যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহন করে (২৩)। মুসলিম বিশ্বকে বিচলিত করে পাক-আফগান পরিস্থিতি। মিশর, সৌদি মধ্যস্ততার প্রস্তাব দেয়; ইরাক, তুরস্কও এগিয়ে আসে; এদের প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী সামঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় বাগদাদে, যদিও মূল দাবীর কোন মিমাংসা হয়নি; ইহাই বাগদাদ প্যাক্ট (২৪)। ত্রিদেশীয় (পাক-চীন-আফগান) আন্তর্জাতিক রোড ভারতেরও বড় মাথা ব্যাথা, আফগানের দুই কাশ্মীর দাবী বহু পুরানো, এটাও সমস্যা উভয় রাষ্ট্রের। এজন্যই পাক সংবিধানে আজাদ কাশ্মীর কোন প্রদেশ নয়, আশ্রিত রাজ্য (২৫)।
আফগানে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসা ও পশ্চিমা সৈন্য প্রত্যাহার গত কয়েক বছরের পরিকল্পনা, আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার ফল। ২০১৮ সালে তালেবান নেতাদের কাতারের দোহায় ডেকে নেয়া হয়। সেখানে রাশিয়া, চীন, ইরান, তুরস্ক প্রতিনিধীদের সাথে আলোচনা হয়; সবশেষে তালেবান প্রতিনিধীরা ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেন মার্কিন পক্ষের সাথে, সেখানে রক্তপাতহীন এক উইন উইন বাস্তবতার আকাঙ্ক্ষার সমঝোতা হয় (২৬)। অতপর কাতারের দোহায় ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ যুক্তরাষ্ট্র-আফগান চুক্তি হয়; এ চুক্তির শিরোনাম “আফগানিস্তান শান্তি চুক্তি” (২৬)। এখন এরই বাস্তবায়ন হচ্ছে আফগানে। আফগানে তালেবান সফল হোক বা না হোক— তাদের সামগ্রিক রক্ষণশীল বাস্তবতা খুব সহজে উঠে যাবে না, তাদের জনজাতি ও গোত্রীয় সম্পর্ক এবং মধ্যযুগীয় সামন্ত অর্থনীতি ভাঙতে না পারলে। তালেবান সফল হলেও আফগান জাতিরাষ্ট্র গঠন কঠিনই না, সুদূরপরাহত। বর্ত্তমানে তালেবান বিশ্বের বড় শক্তিগুলির সাথে সামঝোতা ও চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে। সময়ই বাকীটা বলবে। …
তথ্যসূত্রঃ
১) যার যা ধর্ম্ম— মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পৃ— ৩৩২।
২) জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা— পারভেজ আলম, পৃ— ৪৪।
৩) ঐ, পৃ— ৫৭।
৪) ঐ, পৃ— ৬১।
৫) আফগানিস্তান (অতীত ও বর্তমান)— ড. গোলাম কিবরিয়া ভুঁইয়া, পৃ— ৫৩।
৬) ঐ, পৃ— ১২-১৩।
৭) বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গে— জওহরলাল নেহেরু, পৃ— ৭৮।
৮) জিহাদ ও খেলাফতের সিলসিলা— পারভেজ আলম, পৃ— ২৪।
৯) আফগানিস্তান (অতীত ও বর্তমান)— ড. গোলাম কিবরিয়া ভুঁইয়া, পৃ— ১৪।
১০) আরবদের ইতিহাস— হেলাল উদ্দিন আহমেদ, পৃ -৪৬।
১১) ঐ, পৃ— ৪৬।
১২) ঐ, পৃ— ৪৭।
১৩) দ্য স্পিরিট অব ইসলাম (অনুবাদ)— স্যার সৈয়দ আমীর আলী, পৃ— ২৭৩-২৭৪।
১৪) ঐ, পৃ— ২৭৩-২৭৪।
১৫) আফগানিস্তান (অতীত ও বর্তমান)— ড. গোলাম কিবরিয়া ভুঁইয়া, পৃ— ১৫।
১৬) ঐ, পৃ— ১৯।
১৭) ঐ, পৃ— ২৩।
১৮) ঐ, পৃ— ২৬।
১৯) ঐ, পৃ— ১১।
২০) ঐ, পৃ— ১১।
২১) ঐ, পৃ— ৪৬।
২২) ঐ, পৃ— ৪৭।
২৩) ঐ, পৃ— ৪৭।
২৪) ঐ, পৃ— ৪৮।
২৫) কাশ্মীর ইতিহাস ও রাজনীতি— জাকারিয়া পলাশ, পৃ— ২২।
২৬) প্রথম আলো, ১৬ আগস্ট ২০২০।
২৭) দৈনিক যুগান্তর, ১৪ আগস্ট ২০২১।
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : মেহেরাজ হাসান শিশির
ভেড্ডিড আশরাফ রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত সমসাময়িক, আফগানিস্থান— প্রসঙ্গ : অতীত ও বর্ত্তমান — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।