অনাথ
চাতকের জল পিপাসায় আমারি জন্মদাগ, অথচ হাত থেকে খসে পড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্লেটোর ধারণা …
অচিন পাখীর খাঁচাটা ভাঙ্গা হৈল না আর শিরদাঁড়ার প্রকারভেদে সেই জলাজমী
নিরম্বু অস্তিত্বের কাছে পথ দু’ভাগে বিভক্ত— এক : সপুস্পক, দুই : অপুস্পক …
দুঃসময় থেকে যে শিশু বেরিয়ে আসে সেও বুঝে গেছে আমলা আর আলপথ
শূন্যস্থানে আঙ্গুল ডুবাতেই দু’টা প্লেটের ধাক্কা, চালতা পাতার ফাঁক দিয়ে প্রজাপতি উড়ে যায়
কেটে যায় অপ্রস্তুত ইচ্ছে, তেতাল্লিশ তিপান্ন সঞ্জীবনী তুচ্ছ করে যুদ্ধ থামেনি আজো
কেবল ফুটে উঠছি ধানের ডগায় আর আকাশ তার আঁচল বুলিয়ে দেয়—
পরাগ
খালের ধারে দাঁড়াই, সূর্য্যোদয় থেকে সূর্য্যাস্ত পর্য্যন্ত সাঁতরে বেড়ায় গুমোট দুপুর—
ঢেউগুলি স্থির হতে হতে ভাটিয়াল হয়ে যায়—
কচুরিপানার কিনারায় জীবনগুলি ক্ষতবিক্ষত ও শান্ত— তার সাথে অনন্ত অবগাহন, লেপটে থাকা নিরন্তর পরিক্রমায় দূরত্বের খরতাপ, আকাশ বিস্তারের মরণ বাঁচনের বাঁশী
বাতাসের শব্দে দাঁড়কাকের লাস্যময় উঠানামা— কখনো জলে কখনো স্থলে— ঘাসের ওপরেই উত্তমের ঘর—
রুক্ষ খোঁপায় তখন সবুজ ফড়িংয়ের হাঁফছাড়া নিশ্বাস
কেঁপে উঠি রোজ
কতখানি অমানুষ
আগে পরে কে জানি না
ধানক্ষেতের জনপদে সহস্র চোখ, উন্মুক্ত পিঠে সেই উত্তরপথ—
পলে পলে বদলে যায় আকাশের রঙ—
কিছু ছায়া আর ইতিহাসগাছ— বুকে আঁকড়ে রাখে মাটী
কাছে আমার অপেক্ষা; বহন করে পরাগ— মাঠ পেরিয়ে যাই— এক উঠোন রোদ্দুর—
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, অনাথ ও পরাগ — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।