আরণ্যক টিটো (Page ১৯)

সম্পাদক— প্রকৃতিপুরুষ

ব্যক্ত> ব্যক্তি> বক্তা> প্রতিষ্ঠান

… যিনি ব্যক্ত করেন তিনিই ব্যক্তি ও বক্তা! … ব্যক্ত(ই)র ব্যক্ত হওয়ার যে প্রবণতা, তাহার মাঝেই প্রতিষ্ঠানের রূপচিন্তন নিহিত! যা সে প্রয়োগ করেছে জীবন আচারের মর্ম্মে, এখানেই তাহার প্রবাহ, বিকাশ! প্রবাহের নাম, নদী! প্রবাহিত স্রোতধারায় নদী বাঁক নেয়, রূপ বদলায়! … তেমনি ব্যক্ত(ই)র ব্যক্তভাববিশ্বের প্রবাহমানতায়

মজিব মহমমদ এর কবিতা

ক. গোলের খেলা ফুটবল ফুটবলও গোল শুটিংয়ের গয়নাবোঝাই বউয়ের মতো সাজানো বাপ-দাদার এ শহরে কৃষকের ক্ষেতে পঁচতে থাকা সবজির চেয়েও কমদামে মানুষের কাটা তাজা মাথা পাওয়া যায় মাথাও গোল। বারুদে ঠাসা ককটেল গোল গোল সলটেড বিস্কুটের মতো মোড়ানো ও প্যাচানো সূর্যের বোটা খুলে কে যে

মা

জায়েদা বেওয়া স্বপ্ন দেখছিল। তার নয়নেরমণি কলিজার ধন তাদের তিন শতাংশ ভিটামাটির জমিন ছেড়ে সাত আসমানের উপরে উড়ে যাচ্ছে। তিনি স্বপ্নের ভেতরেও অবাক হন, ও মুরাদ তুই কেমনে উড়তিছিস বাপ? মুরাদের চোখ ভেজা ভেজা। ছায়া মাখা। শরীর ছুঁয়ে মেঘ ঘিরে যাচ্ছে। কত রঙের মেঘ। যেন

গাছঠাকুর

অমরাবতীর তীরে ছোট্ট ছনের ঘরের উঠোনে বৃষ্টি পড়লেই কাদা জমে যায়। প্লাবনের জল ঢুকে পরে ঘরে। নদী আর নদীর পাড় আলাদা করে চেনা যায় না। বানের জলে ভেসে যায় কতশত গাছ আর পশু। সবাই কেঁদে কেঁদে উঠে, ক্ষমা করো অমরাবতী, ক্ষমা কর। সেই ঘরের এককোণায়

ফ্যাসিবাদের উত্থান এবং মধ্যবিত্ত

বার্লিনের এক ব্যাংকারে আধপোড়া একটি মৃতদেহ হয়ে পরে রইলেন অ্যাডলফ হিটলার, তারিখ ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৫। তার আগে পার্টিজানরা মিলানের রাস্তায় চিনতে পেরে যায় ছদ্মবেশে থাকা বেনিতো মুসোলিনিকে; আর তারপর তাকে তার উত্থানভূমি মিলানের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দেয়। এতোটাই ঘৃণা মৃতদেহটা নামাতেও আসেনি ইতালির কোনো মানুষ।

দ্বীপ দিদারের কবিতা

প্রাচীরের ঘাস ও শ্যামল সমাচার এসব জীর্ণ প্রাচীরে ঘাসের বর্ণমালায় মুদ্রিত হচ্ছে শ্যামল সমাচার* এ শহর একদিন ছাই হবে মানুষেরই নিঃশ্বাসে** সভ্যতার পোড়া রসায়নে* জীবনের জৈবসারে* অঙ্কুরিত হবে পুনরায় সবুজের আচ্ছাদন** কিছু ঘাস অপেক্ষায় আছে* একদিন যারা মাটি ভালোবেসে মাটিচাপা দিয়েছিলো মানুষি পরিচয় পত্রখানা** আবার

নাচো হে ঘুঙুর জড়ানো সন্ধ্যা

নাচো হে ঘুঙুর জড়ানো সন্ধ্যা-নাচো সারসের চঞ্চুতে-সময়ের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে মলিন হয়েছে চিঠি-কৃষ্ণআখর, যতোগুলো ধ্বনি আছে ধাতুর ঝংকারে, আছে ততোগুলো সুর, তবু কেনো থেমে আছে গান? ভেঙেছে সেতার? একেকটা তারা যেনো সরে যায় একেকটা চুম্বন থেকে দূরে, একেকটা যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে থাকে ঘোড়াদের মৃত চোখে ফুলের

নস্টালজিয়া

ধ্রুপদ মুদ্রায় ঘুরে আসে নস্টালজিয়া হাত ধরলেই সিঁড়ি বেয়ে চিলেকোঠা গনগনে ভর দুপুর, ছায়া শিকার চুরি চুরি লুকোচুরি, মানিপ্ল্যান্ট লতায় তুমিও এক একদিন, ক্লান্তিহীন ঊর্ধ্বমুখ ব্যগ্র বাইসাইকেল, সময়ের ডাকনাম ছিল ‘অফুরান’ আকাশে স্থির একটা ভুবন চিল শ্যাওলা জমেছে ঐ কোণাটায় ঐখানটায় ছায়া দিনমান, শীতল একটা

দুইটা কবিতা

সহস্র উলুর স্বর হ্রেষা বেগে রক্তরাও ছুটছে টগবগে অবলীলায় পেরুচ্ছে খানাখন্দ, ঢাল দুর্মার আবেগে ভুলছো ভয় দৃষ্টিতেও থাকে সুরা, মদ্যময়-মাতাল। গেরিলার ডাকে প্রকম্পিত বন মেঘের কল্লোলে তারারা কাঁপে উত্তুঙ্গ শিরে চলছে শৌর্য্যের আয়োজন, বুকের খাপে নিশান্তের শিস কুহকের সুর বহ্নিতাপে ছেঁকে নিচ্ছ তীরের ফলা ভাবছ–

আরণ্যক টিটোর তিনটা কবিতার অনুবাদ

 RIVERS CRYING Walking by the Green grassed curved field freely I hear the song of river never. Never, I understand the painful feelings of the River that’s why She crying by Surge Even I can’t understand her corrugated mind That’s why you have to know

কর্ণসারথি : একটি পুনরাধুনিক কবিতা

। কৃষ্ণ : বসুষেণ, হাতে নিলে রথের লাগাম।        তা তুমি সারথ্য নিয়ে ভালোই করেছ-        কথাগুলো হবে আজ একান্ত গোপনে।        শ্রোতা নেই। সাক্ষী নেই। দিব্যচোখ নেই।        তবে দেখো অঙ্গরাজ, যদি শেষে তুমি        পথ ভুলে চলে যাও কৌরব শিবিরে-        গোপাল আটক

শারীরিক

জেনেছে পৃথিবী… মাটীর শরীরে জমেছে যে মনজল … মনজল ছোঁয়াল শরীর পিপাসায়… ভালবেসে শারীরিক ললিতকলার উপাচার, চুষে মনজল, করিতেছি রচনা, মাটীর ধরায় সবুজ সদন! … সবুজ সদনে ফিরিতেছি আমিই > বৃক্ষ > ফুল > ফল > বীজ > চারা > বৃক্ষ > রূপের মাধুরী মম!