কবিতা (Page ৭)

অর্ব্বাচীন

অজস্র কীটের ভিড়ে ও দংশনে সেও কি হয়ে ওঠেছিল বিষের ভয়াবহ কুণ্ডলী জীবনের পরতে পরতে পরাজয় উৎযাপন শেষে ফিরত জঘন্য আঁস্তাকুড়ের ঠিকানায় চারপাশে তার হাজার হাজার জীবন্ত মৃত্যুকূপ খুঁড়ে রেখেছিল যে প্রিয় স্বজনেরা অনায়াসে তারা বলতে পারত, এই তো ভালবাসা, স্নেহ-পর্ব্ব, প্রণয় উপাখ্যান ভীষণ উল্লাসে

সাফাইর

সাফাইর আর্য্যভট্ট! কোথায় শূন্য+তা? কোন্ নীল শূন্যতায় আকাশকে আকাশে ছড়িয়ে… (0) শ্যুন্যেয়া হয়ে যাও নিমফুলের পাতায়। এক অসম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন অস্তিত্বে নিরপেক্ষ আওয়াজ; বিদীর্ণ করছে নালন্দার প্রত্নতত্ত্ব। নাহ! তুমি___ ধনাত্মক কিংবা ঋণাত্মক। কোনটাই নও! আমি এক পাই। আমাকে নির্ণয় কর মাইক্রোওয়েভে; দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাবিহীন একমাত্রিক রেখায়,

ভাষা

ভাষ্ যোগ আ সমান ভাষা অর্থাৎ ভাষের আবাস হৈল ভাষা! সোণালী আলোয় রাঙ্গা ভোরের উদ্ভাসে (ভাষ্) ক্রিয়ার কাজলে যাও কত কথা বলে চোখের ভাষায়! যাহাতে তোমাকে পাই প্রচ্ছন্ন আভাসে, ভাষাভাষাপ্রেমে, সৃজনবাগানে মূর্ত্তমান (লতা, পাতা, ফুল, পাখী …) বিবিধ অক্ষরে নিজেকে প্রকাশে! বল, এ কোন্ আভায়

একলব্য

ডান হাতের বুড়া আঙ্গুল কতটা প্রয়োজনীয় বুঝেছিল দ্রোণাচার্য্য একলব্যের মতন আমি হারতে চাই না যুদ্ধে লিখব কবিতা, আর্য্য। কী কারণে কী ব্যথায় ডান হাতের অবশ হল বুড়া আঙ্গুলের ‘পর মায়া সভ্যতার মহারাণী কাৎরাচ্ছে একা একা কি-বোর্ড অক্ষরে জ্বর। ছন্দ-মাত্রা-অন্ত্যমিল মিলে স্নায়ুতন্ত্রে দিল টান চলে না

মেশিন

আবার প্রথম থেকে, নতুন করে লিখছি পুরোটা। বিগত সময়ের কর্মকে কেটেকুটে, ব্যাপক কাটাকাটি হলেও নূতনে রয়েছে ছাপ, পুরানের। চিহ্নিত হচ্ছে ধীরে না-লেখা কলম, তেলের কাগজ। তা-হোক, তবু আবিষ্কৃত হোক প্রকৃত যাপন… আদিম শ্রমিক আমি; মেশিন চালাই। মেশিনে লুকানো আছে পুঁজির জিন চালাতে চালাতে দেখি আমিই

বিশ্বরূপ

দু’চোখ মুড়িয়েছি রঙ্গীন কফিনে; দেখতে পাচ্ছি না কিছু, বিজ্ঞাপনে; তবু রেলগাড়ি চলে রঙ্গীন পিঁপড়ের মত। ঘষা কাঁচের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছি সুখানুভূতি। কী হতাশার জীবন গোঁসাই! আলোরা ডালপালা ছড়িয়েছে বন বনান্তরে। চর্ব্বিত মগজের পাশে হাতঘড়ী ঝুলে আছে হৃদয়ের গোপন কোটরে। পাল্টে গেছে ঋতুবতী শৈশবের ঘ্রাণ। শুকনা

উদভ্রান্ত

একঝাঁক মুগ্ধতা জমে জমে এক বিরাট কৃষ্ণচূড়া জন্ম নিয়েছিল; তুমি কি আমার আত্মকে ছুঁয়ে দেখেছিলে?   সেই কৃষ্ণচূড়া ─ কী আশ্চর্য্য এক্ষণো দাঁড়িয়ে আছে অকপটে; শুনতে পেরেছিলে কক্ষণো মৃত্যুর ডাক?   হৃৎপিণ্ড থেকে বিকিরিত হয় মুগ্ধরঙ্গীন আলো; তোমার লালজামার রং কি রক্তের প্রতিনিধিত্ব করে?  

বন্ধু

একটা নতুন সকালের রোদ, বয়ঃসন্ধিকালের লাবণ্য নিয়ে আমাকে ঘাসের ভিতর এনে দিয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশিরের প্রণয়। আমি একটা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পিছনে, হিরোশিমার সব ক্ষত ভুলে গিয়ে, সামনে এগোতে হাতে তুলে নিয়েছিলাম সভ্যতার প্রথম সুমেরীয় চাকা। নূহের প্লাবনের পর, তুমিই ত আমার ভুবনে বিবর্ত্তন ঘটিয়েছিলে… এককোষী অ্যামিবা

চেয়ার

একটা চেয়ারের জন্যই তো এতো সভা, মিছিলের আযোজন। অথচ একটি চেয়ার যেটা কিনা মৃত ডালের তৈরি, তার সোনালি শৈশব ফেলে এসেছে বৃক্ষের পরিবারে, এখন সে নিস্প্রাণ, উবু হয়ে বসে আছে। কোন অভিযোগ নেই, চাহিদা নেই, ঘুরছে অনবরত এ অফিস থেকে ও অফিসে… কর্তার মর্জিমতো… একদা

প্রেম শুধু ডুপেমিন নয়

৮.২ সেকেন্ড কোন রমনীর দিকে গভীর দৃষ্টিতে থাকালেই যদি পিটুইটারি গ্রন্হিতে প্রেমের রসায়ন শুরু হয়, তাহলে এরকম শেক্সপীয়ারিয়ান লাভ তো কতো সহস্র জনের জন্যই ছিল, সে খবর কী রোমিও-জুলিয়েটরা জানে? সত্যিই যদি প্রেম শুধু ডুপেমিনের খেলা হতো, সমাজ আমার এ অপকর্মের জন্য কয়েক’শ ক্যারেকটার সার্টিফিকেট

ঝরা পাতার কবিতা

প্রিয় কবিতা, তুমি একটু সেলুলয়েড জগত থেকে ফিরে এসে দেখো। কয়েকটা গুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া ফুল, দোকানের কাছে গুটিকতেক গোলাপের উপচে পড়া ফুলের ঢেউয়ে, তুমি ভেসে যেওনা। তারা তোমাকে সুন্দরের সংজ্ঞা শিখাবে না, তারা তোমাকে জীবন দেখাবে না। গাঢ় কালচে সবুজের দিকে তাকাও, চারপাশে ন্যাড়া বৃক্ষগুলোর দিকে

এক নিশীথের মিথ্যা

কিছু কিছু মিথ‍্যা আছে সত‍্যকে বাঁচায় কথায় বলে না— চাচা আপন পরাণ বাঁচা সবাইতো জানি— জান্ বাঁচানো ফরজ! আজ যদি সত‍্য বলি এক নিরীহ প্রাণের দফারফা হবে ঘরণীর ধ‍্যাঁতানির চোটে অবশিষ্ট মাথায় যে’কটা চুল মায়াদয়া পিছুটান ছাড়া তাও ঝরে যাবে সহসাই— কড়া নাড়বার আগে ঠিক