কবিতা তিনটা কবিতা

ক্ষত বিষয়ক সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা

ভাবছি, ক্ষতটা সেলাই করে নেব; হাত দুখানি জুড়ে দেব
আর দুখানি হাতে।
ব্যাক্তিগত হতে হতে ক্রমান্বয়ে
বিষিয়ে উঠছি নিজের কাছে—
এপারের নুড়ীগুলো কান পেতে থাকে
ওপারের বালিদের আলাপনে—
হাত বাড়ালেই বুঝি
লোপ পাবে দূরত্বটুকু—
বেজে ওঠবে সমবেত কোলাহল—
পলির কারুকাজে মুছে যাবে স্রোতধারা।
নাহ্, থাক—
সব ক্ষত সারাতে নেই—
কিছু ক্ষত ভাল; পূর্ণতার সমান—
নদীর মত জারি রাখে প্রিয়নাম, প্রিয় প্রতিকৃতির যাতায়ত।

 

নিরুদ্দেশ ইশারা

শেফালীরা ঝরে গিয়ে
জানতে চেয়েছিল, বিচ্ছেদে কাঁদে কিনা
কাননের কেউ।
আহা, কত যে বকুল
কেঁদে কেঁদে অন্তর্লীন
(বি)লুপ্তির আঁধারে!
সব ফুল জেনেছে সে কথা,
জানেনি শুধু ঝরা শেফালীরা কেউ!

 

হেমন্তের চিরকুট

চল
ধানের গন্ধে মেলে দিই হৃদয়
দুঃখ গুলো মুছে নিই দূর্ব্বাঘাসে
চল
চোখে মুখে মেখে নিই নদী
চাষ করি সবুজের বর্ণমালা
ভুল না
মাটী ছাড়া আমাদের
আর কোন নিরাময় নাই

রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, তিনটা কবিতা — তে সম্পাদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *