কবিতা : বা ড়া

… ‘ব’ যোগ ‘ড়’ সমান বড়! এইখানে ‘ব’ সমান বাহী কিংবা বাহক এবং ‘ড়’ সমান ডয়নের রহস্যরূপ। সুতরাং ‘বড়’ সমান বাহক কিংবা বাহীর ডয়নের রহস্যরূপ। ‘ব্’ যোগ ‘আ’ সমান ‘বা’। ওপরে জেনেছি, ব-এর মান … এক্ষণ জানব, ব্-এর মান ‘বহন’ এবং আ-এর মান ‘আধার’ অর্থাৎ

কবিতা : গজদন্ত

প্রিয় গজদন্ত, আজও তোমাকে ভালবাসি— প্রিয় তোমাকে ভজনা করি… দাঁতের ওপরে দাঁতের দাম্পত্যে— না বি/বাদে, না কলহে, বলি না কাউকে, একটা থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দেব! বরং দাঁতাল কাহিনীর জনপদে হাসির ঝর্ণাধারায় সবুজের বুকে জলের উচ্ছ্বাস দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর গজদন্ত শাখা ভালবাসি… প্রিয় গজদন্ত,

কবিতা : এ কা ন্ন ব র্ত্তী

… না, খাইয়া আসি নাই— তোয়ালে দিন, হাতমুখ ধুইয়া আসি, (পরমান্ন) গরম ভাতের ঘ্রাণে মোচড় মারিতেছে ক্ষুধার পাঁচালী! কমরেড্, আপনার কি মনে আছে? (পাঠশালায় পড়া) ‘একান্ন’ শব্দের সন্ধির ৰিচ্ছেদ— একান্ন = √এক্ + অন্ন! আমাদের হাটের হাঁড়িটি ভাঙ্গাভাঙ্গির ৰিপরীতে এক হৈতে পারিত— আমরা ত একান্নৰর্ত্তী

কবিতা : রোদনের পদাবলী

সেই কবে মারা গেছে, হাঁটুজল নদী, বাঁকে বাঁকে ঢেউয়ের দোলা, কাশফুলের ওড়না ওড়া বনে বাতাসের দোলা, সবুজের নৃত্য, দোলায়িত মন, মাঠের রাখাল, গরুর পালের হাঁটুজল পাড়ি, দড়ী ছেঁড়া গাভীটার পিছু ছোটা, রাখালিয়া বাঁশীটার মেঠোমনা সুরে নেচে নেচে খেলা করা ঘাসফুলটার মন, উদাস কুটীরে ফেরা সময়যাপন,

কবিতা : প্রিয়, ভোরের শিউলি ঝরা পথে যেতে যেতে আপনাকে যাহা বলেছিলাম

এই মহাবিশ্ব একটা কবিতা, একটা তত্ত্ব, সৌন্দর্য্যের আধার, কবিতায় তত্ত্ব থাকে, থাকিতে পারে, না-ও পারে! কথা হৈল, কবিতা কতদূর? তত্ত্বকে নিয়ে, তত্ত্বকে ছাপিয়ে টোটাল কবিতা হৈল কতটুকু? কেবল, তত্ত্ব-ও কবিতা হৈতে পারে, যেমন পরমাপ্রকৃতি … কবিতাবিহীন তত্ত্ব কবিতা না; তত্ত্ব হৈল— কবি যক্ষণ লেখে অবচেতনে

কবিতা : ফতোয়া

শিল্প ধর্ম্মসম্মত না হয় যদি … তবে ধর্ম্ম শিল্পসম্মত নয় … কিন্তু জীবন শিল্পময়! … এবং অদৃশ্য ভাস্কর জানে মানুষ বিমূর্ত্তের গর্ভে মূর্ত্তমান জীবন্ত ভাস্কর্য্য— দৃশ্যের সৌন্দর্য্যে প্রকাশিত অদৃশ্যের নন্দনকানন … এবং আমরাও … শিল্পের সত্তার সত্যায়ণে এইটুকু বলিতেছে, কালসময়কামনাপ্রিয় টবজ অর্কিড, প্রস্ফুটিত গোলাপ, কামিনী,

কবিতা : ভাষা

ভাষ্ যোগ আ সমান ভাষা অর্থাৎ ভাষের আবাস হৈল ভাষা! সোণালী আলোয় রাঙ্গা ভোরের উদ্ভাসে (ভাষ্) ক্রিয়ার কাজলে যাও কত কথা বলে চোখের ভাষায়! যাহাতে তোমাকে পাই প্রচ্ছন্ন আভাসে, ভাষাভাষাপ্রেমে, সৃজনবাগানে মূর্ত্তমান (লতা, পাতা, ফুল, পাখী …) বিবিধ অক্ষরে নিজেকে প্রকাশে! বল, এ কোন্ আভায়

কবিতা : বাঁক

আঁ-কা-বাঁ-কা সবুজ মাঠের পথ ধরে হেঁটেছি কেবল, উজান ভাটির ব্যাকরণে শুনি নাই জলের কাকলি। (…) এটুকু বুঝিনি, কতটা আঘাত পেলে বাঁক নেয় নদীটার মন, অভিমানে সরে সরে যায় নদীয়ার কূলে, জলজ ভাষায় ভেসে ভেসে যায় কাঁখের কলসী, কূলের কথণে ভেসে ভেসে যায় ঘাটের কাহন, মরমিয়াগাথা

কবিতা : নবনীতা জলের বোধন

নবনীতা জলের বোধনে যে নিজেকে ভেজায় না, সে সংঘাতকে জাগাতে জানে না! … যে সংঘাতকে ভালবাসে না, সে সম্ভাবনাকে বলতে পারে না, ভা-ল-বা-সি! … ভুল ও ফুলের গলায় গলায় ভাব, পরাগায়ণটুকুর অনুধ্যানে হতে পারে না পথের সমাজদার! … এইটুকু ভেবে ভেবে হাঁটছিলাম, মৌমাছির ইন্ধনে! …

কবিতা : একটুখানি পরিচয়

বাপু, এত সাদা কথা কও ক্যনে? একটু শ্যামল কথা কও, অব্যক্ত বর্ষায় জুড়াক পরাণ! … লোকমুখে শোন নাই? এইখানে রমনীরা নয়ন পিঞ্জরে পুষে শ্যামসুখপাখি! মওলার ইশকুলে পড়ো নাই? আমরা যে শ্যামলবরণ জাতি! … সাদা না, শ্যামল মনের মানস আমি! দেখি, সময়ে সময়ে রং বদলায় প্রকৃতি

কবিতা : অপরাধ বিষয়ক

আমাদের অপরাধটুকুর বর্ণনা মাত্রা লিখে রাখা যায়, বিজ্ঞানপাতায়! … সুন্দর মুহুর্তটুকু ফুটিয়ে তোলার জন্য অপরাধটুকুর প্রয়োজন ছিল! বর্ষার কাজল পরা চোখে, বৃষ্টির মুগ্ধতা ঝরা কিছু অপরাধ জমা থাক, কদম ফুলের কাছে! … এটুকু জানুক, ভোরের মানসি! আরও জানুক, অপরাধ বিপ্লবের ধাত্রী, ফুল ফোঁটার ব্যাকরণ! যারইই

প্রবন্ধ : লক্ষ্মী, লক্ষ্মীর পাঁচালী : নতুন আলোয় দেখা

এস মা লক্ষ্মী, কমল বরণী, কমলালতিকা দেবী কমলিনী। কমল আসনে, বিরাজ কমলা, কমলময়ী ফসলবাসিনী।। কমল বসন, কমল ভূষণ, কমনীয় কান্তি অতি বিমোহন। কোমল ক’রে, শোভিছে কমল, ধান্যরূপা, মাতঃ জগৎপালিনী।। কমল কিরিটি মণি মনোহরে, কমল সিঁদুরে শোভে দেখি শিরে। কোমল কন্ঠে কমল হারে, কোমল বদন দেখি