আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে
এই কাল
সাক্ষ্য দিচ্ছে গোপনের,
নিশ্চয় আড়াল কর্ছে প্রকাশ্যের-ও;
লিখে রেখেছে স্বেচ্ছায়,
আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে।
… এই ক্ষণ হৈতে পার হয়ে গেল কথারা—
পার হয়ে গেলে গন্তব্য,
শ্রী বেরিয়ে পড়ে ভ্রম বিহারে—
ভ্রমর এসে জানান দেয়
অঙ্গ জ্বলনের গান
আগুন লাগার গান—
দা উ দা উ আ গু ন বধ হয়ে যায় হৃদয়…
জনশ্রুতি ঢুকে পড়ে মিথের ভেতর
এত কোলাহলে
জনশ্রুতির ওপর শুয়ে আছে যেনবা কেউ,
পাশাপাশি শুয়ে আছে প্রেম
তারো পাশে দ্রোহ।
অথচ কা’রো ভেতর জাগে না ঘোর,
জেগে থাকে কেবল এক প্রশস্ত অন্ধকার
…. এই অন্ধকার মাড়িয়ে কীভাবে যাই, বল— সমানে-সামনে!
পেছনে রয়ে যাই, সাথে রয়ে যায় কেবল বিবর্ণ ভান
ভান হারিয়ে গেলেই পাওয়া যায় জলের স্পর্শ
আর হারানো শেষে এইসব জনশ্রুতি ঢুকে পড়ে মিথের ভেতর।
দোল-রং
থাকে সঙ্গমে, থাকে সংযমে
যে’টুক থাকে না কেবল—
উড়ে যায় প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে।
তেড়ে আসে ঢেউ হয়ে
ফিরে যায়— মন্থর, পি-ছ-লি-য়ে
রেখে যায় দোল-রং
এই
র ম ণ ন গ রে …
শ্রী দেব রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, আমারে বধিবে যে হৃদয়ে বাড়িতেছে সে, জনশ্রুতি ঢুকে পড়ে মিথের ভেতর ও দোল-রং — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।
লেখার সাথে সাথে অলঙ্করণের মান বাড়ছে।