ডান হাতের বুড়া আঙ্গুল কতটা প্রয়োজনীয়
বুঝেছিল দ্রোণাচার্য্য
একলব্যের মতন আমি হারতে চাই না যুদ্ধে
লিখব কবিতা, আর্য্য।
কী কারণে কী ব্যথায় ডান হাতের অবশ হল
বুড়া আঙ্গুলের ‘পর
মায়া সভ্যতার মহারাণী কাৎরাচ্ছে একা একা
কি-বোর্ড অক্ষরে জ্বর।
ছন্দ-মাত্রা-অন্ত্যমিল মিলে স্নায়ুতন্ত্রে দিল টান
চলে না আঙ্গুল আর
কী করে লিখব মহাকাব্য, ‘একলব্য শোক’। বল—
নিঃসীম রাজাধিরাজ।
দুঃখ-শোক যখনই আসে… সুনামির বেগে আসে
আত্মজার বুক ছিলে
আশা মরিচীকায় তবুও বেঁধেছি যে ভেলা একা
তাও সাঙ্গ করে দিলে।
প্রভু, যাই বলেন আপনি— ‘সমর্পণ কক্ষণোই
পাণ্ডুলিপির প্রধান চরিত্র হয় না।’
ঋজু রেজওয়ান রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, একলব্য — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।