সহস্র উলুর স্বর
হ্রেষা বেগে
রক্তরাও ছুটছে টগবগে
অবলীলায় পেরুচ্ছে খানাখন্দ, ঢাল
দুর্মার আবেগে ভুলছো ভয়
দৃষ্টিতেও থাকে সুরা, মদ্যময়-মাতাল।
গেরিলার ডাকে প্রকম্পিত বন
মেঘের কল্লোলে তারারা কাঁপে
উত্তুঙ্গ শিরে চলছে শৌর্য্যের আয়োজন,
বুকের খাপে নিশান্তের শিস
কুহকের সুর
বহ্নিতাপে ছেঁকে নিচ্ছ তীরের ফলা
ভাবছ– মধু না বিষ
কী দিয়ে মেটাবে জ্বালা-গোপন দহন!
ফুঁসছে দরিয়া
ভিড়ছে তরঙ্গ উর্ব্বশী ফণায়, মৃদঙ্গ তালে
কাঁপছে পাণকৌড়ির ঘর
বৈছে এলোমেলো ঝড়, মরিরা হয়ে ডাকছ কারে
উলঙ্গ চাতালে-যখন সহস্র উলুর স্বর!
গিটের মহিমা…
ভাবতে গেলে
প্রকট হয়ে ওঠে ভাব ও অভাব… অশান্ত শূন্য! বুদবুদ!!
যেখানে শূন্যতা… সেখানেই হাওয়ার দূরন্তপনা!
নির্বোধ! বেদখল!!!
কি রঙে কি ঢঙে
কোন্ তালে স্থিরতা পাবে মন, মনন। ভাবের অর্গলে ভাঙ্গে বাঁধ!
সীমানা ডিঙ্গিয়ে অনুপ্রবেশ করে দুর্ম্মদ আবর্জ্জনার স্রোত! দুর্ভাবনা…
ভাবের জটলায় দুর্ভেদ্য গিট! অনর্গল বুদবুদে ঘোলাজল! ক্ষীণ সম্ভাবনা!!!
চৈতন্য ডোবে অবচেতনে
ক্ষুদ্রাতীত ক্ষুদ্রতায়–
অতল গহ্বরে। গুপ্ত খোপে। অতন্দ্র অভিশাপে।
গিটের মহিমায় জাগে প্রত্যাশা। নব-চেতনা । অনুরাগের আলো, সুর, ছন্দ…
ণত্ব স্বভাব!…
কষ্টে আঁকে নতুন ভাবধারা। হারিয়ে খোঁজে ঠিকানা। আবেগের মন্দ্র রূপ।
ছোঁয়ার দূরত্বে ভাবের ভৈবব। মনোরম সুন্দর। স্থির জলে স্বচ্ছ চাতাল, মৃন্ময়ী সুখ…
আমি/আমরা তাকে ছুঁইনা
ফিরি বাঁকে
বক্র ভাবে, জটের বুকে খুঁজি গিটের মহিমা…
দাউদুল ইসলাম রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, দুইটা কবিতা — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।