বুদ্ধ, তুমি কি পাথরের ওপর
আসন গেড়ে বসেছিলে?
গাছগুলো মেঘ ছুঁয়েছে
বিস্তীর্ণ তৃণভূমী থেকে
হরিণেরা খুঁটে নিচ্ছে ঘাস
সূর্য্যালোকের অস্পষ্টরেখা ছুঁতে
কিভাবে তুমি একটা হাত
না বাড়িয়ে থাকতে পার?
বুদ্ধ তোমার মাথার
ভেতর যে দেবতা
নড়েচড়ে ওঠেন,
মহান যোদ্ধা
যুদ্ধের আগে
ধনুর্বাণ বাঁকা করতে চায় না,
বোধহয় বৃষ্টির জন্য
অপেক্ষাই ভাল হৈবে
মাংসপিণ্ড বিদীর্ণ করে
তাকে পরাস্ত করার চেয়ে
বুদ্ধ তুমি
গোটা একটা বাগান,
লেবু, এভোকাডো, ফার্নসহ
নৃত্যরত আনন্দিত পরিপাটী ফুল
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৃক্ষের সমারোহ
বুদ্ধের স্বপ্নের শিশুদের
যখন প্রতিবেশী গোলাপে শোভিত করছে
গাড়ী চকচকে করে দিচ্ছে
নতুন টায়ার কিনে আনছে
ভীষণ বেগে রাজপথে নাম্তে
বুদ্ধ, তুমি
শিশুদের স্বপ্নে বিভোর
আশ্রয় চাইছ,
দশকের পর দশক ক্ষুধার্ত্ত,
দীর্ণ প্রাচীন পাথরে বসে
জাহান্নামে যাও,
ঝেঁটিয়ে আকাশ সাফ কর।
আরশাদ সিদ্দিকী রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত অনুবাদ কবিতা, বুদ্ধ — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।