এগার সেপ্টেম্বরে তুমি বিতাড়িত, বিলুপ্ত, সমাহিত
পতিত গাছের নীচে, দিগন্ত উত্তোলিত গ্রামের কাছাকাছি
পাহাড়ী আশ্রমের ঘণ্টাধ্বনিতে
যেখানে তোমার বার বছর বয়সী কন্যার স্বপ্ন
উচ্ছেদ হচ্ছে
বুকের ভেতর থেকে কবিতা
সারি সারি বৃক্ষেরা সরে যাচ্ছে দৃষ্টির বাইরে
এগার সেপ্টেম্বর হৃৎপিণ্ড তলিয়ে যেতে থাকে
ঘণ্টাধ্বনিতে, বয়ষ্ক পৃষ্ঠাগুলোর অনভিজ্ঞ পাঠে
তাদের সম্মানে, যারা এসেছে আমাদের আগে
যারা ধ্যানমগ্ন ঠাণ্ডা কুঠুরীতে শান্তিতে ঘুমায়
তুমি দরযা আগলে দাঁড়াবে
প্রবল তুষার ঝড়ের মধ্যে, সুরক্ষিত হাত বাঁধা
এবং যাদুমন্ত্রের
বিশাল কক্ষে যেখানে পুরোহিত
একজন জ্বলজ্বলে উন্মাদ
কে তোমার হৃদয়ে খুঁজে পাবে
ব্যথা এবং স্থৈর্য্য, নেমে আসবে নীরবতায়
তারপর একটা কালো কাচের পাত্রে
ওলঙ্গ চা ভাগাভাগি করে নেবে
তুমি অশোধিত গ্রহের কথা বলছো এবং ঠেলে দিচ্ছো পাহাড়ের পাদদেশে,
গভীর তুষার
দূরবর্ত্তী স্বপ্নের আবরণ দিতে পারে, কিন্তু এখানে
জীবনের বোঝাপড়া ফ্যাকাশে হৈয়ে যায়,
উঁচু নিচু বিন্দুতে মিলায় না
যক্ষণ কন্ট্রাকটর আসে
তুমি তার হাতে টিকেট তুলে দাও
আর সে একটা চাকার কাঁটায় পাঞ্চ বসিয়ে দেয়
ইস্পাতে ইস্পাত ঘর্ষণ হয়
জন্ম হয় একটা পুলিশ রাষ্ট্রের
কোনটা কুমারী বনভূমী ছিল
আমরা সারিবদ্ধ হয়েছিলাম
একটা ধ্যানকক্ষে, শিকারের পাখী
সাহসী ঠাণ্ডা স্রোত, নাম দেওয়া হয়
গভীরভাবে অনুষ্ঠিত ভয়, মর্য্যাদার যাহায
হাতের কাছে নিকটবর্ত্তী, পুরুষদের জড় করা অন্ধকারে
কাছ থেকে দূরে
নয়-এগার একটা মহান উড়োজাহাজ
আমাদের সাধারণ জীবনের দিকে ঠেলে দেয়
আরশাদ সিদ্দিকী রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত অনুবাদ কবিতা, এগার সেপ্টেম্বর — প্রকৃতিপুরুষ বানান রীতিতে সম্পাদিত।