কবিতা ‘চ’ ব র্গী য়


চ্-য়ে চয়ণ্, চ-য়ে চায়ী, চ-য়ে চার
এইটুকু না জেনেই
কা-না-কা-নি কথার গুঞ্জনে
আলাপনে
ফুলের পাপড়ির বাসরে নাচি নাচি
মৌমাছি
সঞ্চয়পুরাণে
করিতেছে (চয়ণ্) মধুর সংসার, মৌচাকবিতান,
বিনিময় দিয়ে চারের পরাগায়ণ! …

চাঁদ জানে না—
চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায়
(মানুষের মুখের ভাষায়) তাহার নাম চাঁদ!
রূপালী আলোর বিকিরণে
ঝলমলে রূপ হৈল
পূর্ণিমা— পূর্ণ-সক্রিয়ণ্-মিতির আধার!
ঝলমলে আলোয় রাঙ্গা গৃহদাহে
দেখে দেখে আষাঢ়ী পূর্ণিমা কে কোন্ ক্ষণে পায় মানবজনম …

চাঁদ
এও জানে না; অর্থ ও অনর্থে
চয়ণ্ রহস্যে
আলোকদাতায়
জুয়াড়ির আঙ্গুলের শিকারী টোকায় ঘুরিতেছে কয়েন,
চদ্রিমা সদৃশ!

এইসবের
কিছুই না জেনে তবুও সে চাঁদ— বাঁধভাঙ্গা
উছলে পড়া আলোয়
একি মুহূর্ত্তে
নানান রকম পরিবেশে রূপের মাধুরী খোলে
নানান রকম সৌন্দর্য্য!ে
চাঁদের আলোয়
রাঙ্গানো মনের বিবিধ খপর
বনের চাতক জানুক কিংবা না জানুক, আমি জানি—
(প্রণয়বিধুর) চাঁদের আলোর
চারের লীলার উৎস সাতের সূর্য্য—
তাই
ক্রিয়ার আলোকে
চাঁদের বানান ‘চ’ ও সূর্য্যরে বানান ‘স’ বর্ণ দিয়ে সুরু …

আরো জানি—
চয়ণে মধুর স্পর্শ, জয়
(চি কুৎ কুৎ কুৎ) ছোঁয়াছুঁওয়ি খেলায়
কিংবা
চলার পথেই
দৃষ্টির মায়াবী ক্যানভাসে
ছুড়ে মারিতেছ কলসির কাণা— পোড়া মাটির চাঁরা।
যাহা দেখে দেখে
সবুজের ভালবাসায় ফুল, ফল ও বীজের মন্ত্রণালয়ে
(চারের চয়ণে) মাটির মর্ম্মে
বাড়িতেছে (চারের আধার) চারা!

তাই
সাতের সলাতে
চয়ণে সৌয়াব; পাঁচের ওয়াক্তে পড় (দিনমান)
ফারদ্, ছুন্নত, নফল ও ওয়াযিব— চার রকম সলাত!

জেনে নাও, (চারের চয়ণে) ত্রিশ পারা কোরান আসে
(চারের দশক) চল্লিশের নবুয়্যতে,
(চারের চয়ণে)
ছিচল্লিশ রাকাত সলাতের
ডাক আসে পাঁচের দশক ‘পঞ্চাশে’ (পাঁচের পালনে)!

চতুর্ব্বেদের দেশে, স্বস্তিকা চিহ্নের পটভূমিকায়,
চার আর্য্য সত্যে
এইসব জানে
দেবী চতুর্ভুজাং নমঃ
আরো জানে,
(মূর্ত্তিমান) নগদ-নারায়ণের প্রদর্শিত চার হাত
ও আঙ্গুলের বিন্যাস
আর
মাথার পেছনে শোভিত
দেহের মাঝারে
কুণ্ডুলিণি সত্তার প্রকাশক পঞ্চমুখী সাপের প্রতীক (সাতের পালক)!

এবং
(পূর্ব্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে চয়ণ্ কারী)
সারাদিন কাজ শেষে
(চারের বিন্যাসে)
বুকের পকেটে টাকা রাখা
তুমিও;
নিস্তব্ধ সন্ধ্যার কোলে (কালের মন্দিরে) কর
চণ্ডী পাঠ!

কেউ হৃদয় ভরিয়ে দিলে কাণায় কাণায়
হ্ও প্রশংসায় পঞ্চমুখ!

হৃদয়ের
নিভৃত বন্ধনে অঙ্গুরীয় চয়ণ্ করা
তোমার
অনামিকাও জানে,
(পাঁচের পালনে)
বৃদ্ধা, তর্জ্জনী, মধ্যমা ও কনিষ্ঠার সংসারে
(চারের চয়ণে) চঞ্চলা চপল চ-বর্গীয় সকল শব্দ
বর্ণের সংখ্যাতত্ত্বে যাহা জানে,
শূন্যের ‘শ’
একের ‘এ’, দুইয়ের ‘দ’, তিনের ‘ত’
এবং
পাঁচের ‘প’, ছয়ের ‘ছ’, সাতের ‘স’, আটের ‘আ’,
নয়ের ‘ন’ বর্ণ!
এইবার, খাদ্যাভ্যাসে দেখ,
পাঁচের পালনে
পেটে
চারের চয়ণে, চল্লিশায়
মুখে করিতেছ যে দান, তাহার কাহিনী জানে

তোমার
হাতের রেখায় (প্রকৃতি-অঙ্কিত)
প্রথমতঃ
পাঁচ আঙ্গুলের চোদ্দটা ভাগ—
যাহা
চয়ণ্, অস্তিত্বাদিকরণ্, দান, দাতা! (…)
দ্বিতীয়তঃ
তালুর চারটা ভাগ—
যাহা
চয়ণ্, অস্তিত্ব, রক্ষক। (…)
তৃতীয়তঃ
কব্জী ও বাহুর দুইটা ভাগ—
যাহা;
পাঁচ আঙ্গুল ও তালুর
(আঠার সংখ্যার) হাতের মুঠোয় ধারণ করা অন্ন
মুখে পুরে দেওয়ায়
‘দানন্,
(নবরূপে) উত্তীর্ণন্,
সক্রিয়ণ্’ রূপে কাজ করে…
এইবার
প্রতিটা ভাগে কাঁচি চালাও,
কর টুকরা টুকরা, পাইবে (বিশ্বকর্ম্মার) বিশের সংবাদ—
বহন, সক্রিয়ণ্, অসীম শক্তিযোজক!
যাহা;
(চয়ণের) দুই হাতের ফলাফলে
চারের পূর্ণ দশকে আঁকা চল্লিশা পুরাণ!

এইভাবে
(ব্যক্তির পালক) সমাজসত্তার পালনে
চল্লিশ পরিবার
প্রতিবেশীর খপরাখপর না জানা
আলিবাবা
চল্লিশ চোরের দেশে;
জীবন
চিচিং ফাঁকের পটভূমিকা! …
তবু
আহরণে ফসলের গান,
চারু মজুমদার
মিছিল করিতেছেন— এই যুগের চাঁদ, কাস্তে!
তবে
এইটুকু জানি না, এইসব গোপন খপর
জানে কি জানে না
আকাশে উড্ডীন চাঁদ-তারা শোভিত পতাকা

এবং
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটী!
তবু
ভুবন ডাঙ্গায়
ঈদের আগমনী চাঁদের আলোয় নেচে ওঠে
মন উৎসবের রঙ্গে,
কবির বয়ানে
শ্যামাঙ্গী খুকির
(কাণের লতির) ললিতকলায় দোলে তৃতীয়ার চাঁদ!
এরিমাঝে
চয়ণে মুক্তির স্বাদ,
আন্তঃজাতিক মাতৃভাষা দিবস বলিতেছে;

বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় জেগে ওঠা
নদী মেখলা
শ্যামলী বাঙ্গালার নীড়ে
ধর্ম্মনিরেপক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র

আন্তঃজাতিকতাবাদের চার খলিফায়
পাঁচের ভিত্তির মর্ম্ম জানিতে পারিত বাহাত্তরের সংবিধান!

চোদ্দ কথা বলা, চোদ্দ ঘাটে ঘোরা
চাঁদ সদাগরের দেশে,
চয়ণ্রহস্যে, আলোকদাতায়
এইসব
(চাঁদ জানুক কিংবা না জানুক) আমি জানি!
আরো জানে, সত্যম্ সাতের (জ্ঞানের নন্দন)
চয়ণ্ রহস্যে, আলোকদাতায়,
মহেশ্বরের মাথায় শোভিত চন্দ্র/চতুর্ব্বেদ
এবং
(সত্তার) উচ্চারিত সত্যের
প্রকৃতিপুরুষে
চোদ্দটা ধ্বনির শিবসূত্র-জালে বেজে ওঠা
ডুগডুগির নন্দন; যাহা বাঁধা থাকে চারের ত্রিশূলে …

চ-এর ব্যঞ্জনার খপর;
অন্যরাও জেনে নিতে পারেন,
(তিনের মাত্রায়)
চলতি পথের চয়ণিকায় … জীবন; নৈব চ …

 

****
‘চ’ ব র্গী য়’ তাহের আলমাহদী সম্পাদিত https://www.jegeachi.com পত্রিকায় পূর্ব্বে প্রকাশিত। বর্ত্তমানে ইষৎ সংশোধিত/পরিবর্দ্ধিত রূপে প্রকৃতিপুরুষে প্রকাশিত হৈল। পূর্ব্বের প্রকাশিত লিঙ্ক— ‘চ’ বর্গীয় ছবি: ইণ্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রচিত ও প্রকৃতিপুরুষ কর্ত্তৃক প্রকাশিত কবিতা, ‘চ’ ব র্গী য় — তে সম্পাদিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *